কারো কথাই মানছিলেন না, জয় বোঝানোর পরই পদত্যাগে রাজি হন হাসিনা

- আপডেট সময় : ১১:৩১:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪ ২৫৪ বার পড়া হয়েছে
কারো কথাই মানছিলেন না। ছেলে জয় বোঝানোর পরই পদত্যাএগ রাজি হন শেখ হাসিনা। শেষ সময়েও আরও রক্তপাতের ঘটিয়ে ক্ষমতায় থাকতে উর্ধতন কর্মকর্তাদের চাপ দিচ্ছেলেন শেখ হাসিনা। পদত্যাগের আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের চাপ দিচ্ছিলেন শেখ হাসিনা। পরিস্থিতি একেবারেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে, সেটা কিছুতেই মানতে রাজি ছিলেন হাসিনা।
সূত্রের খবর, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিন বাহিনীর প্রধান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ডাকা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী কেন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না, সেটার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাসিনা। আন্দোলনকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁজোয়া যানে ওঠে লাল রং দিয়ে দিচ্ছেন, সামরিক যানে পর্যন্ত উঠে পড়ছেন এর পরও কেন তারা কঠোর হচ্ছে না, সেটা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিশ্বাস করে কর্মকর্তাদের শীর্ষ পদে বসিয়েছেন সেটাও তিনি উল্লেখ করেন।
বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরে রোববার রাতেই শেখ হাসিনার এক উপদেষ্টাসহ কয়েকজন নেতা বোঝানোর চেষ্টা করেন। শীর্ষ কর্মকর্তাদের তরফে থেকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, বল প্রয়োগ করে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা সেটা মানতে চাচ্ছিলেন না। তখন কর্মকর্তারা শেখ রেহানার সঙ্গে আরেক কক্ষে আলোচনা করেন। তাকে পরিস্থিতি জানিয়ে শেখ হাসিনাকে বোঝাতে অনুরোধ করেন। শেখ রেহানা এরপর বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু তিনি ক্ষমতা ধরে রাখতে অনড় থাকেন।
একপর্যায়ে বিদেশে থাকা ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন এক শীর্ষ কর্মকর্তা। এরপর জয় তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর শেখ হাসিনা পদত্যাগে রাজি হন। তিনি তখন একটা ভাষণ রেকর্ড করতে চান জাতির উদ্দেশে প্রচারের জন্য। ততক্ষণে গোয়েন্দা তথ্য আসে যে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা শাহবাগ ও উত্তরা থেকে গণভবন অভিমুখে রওনা হয়েছে। শাহবাগ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে গণভবনে আন্দোলনকারীরা চলে আসতে পারে এই আশঙ্কায় ভাষণ রেকর্ড করতে দিলে গণভবন থেকে বের হওয়ার সময় না-ও পাওয়া যেতে পারে। তারপরই শেখ হাসিনা ছোট বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে গণভবন ছাড়েন।
আমিনুল হক, ঢাকা