ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশু: প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৯:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে

মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

গেল কোরবানির ঈদে ১৯ লাখ গবাদি পশু অবিক্রিত ছিলো। বাংলাদেশে কোরবানিতে যে পরিমাণ পশুর প্রয়োজন হয়, তার পুরোটাই এখন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হচ্ছে। কোরবানির ঈদকে ঘিরে কোনরকমের পশু আমদানি প্রয়োজন হবে না। অথচ এক সময় পশু আমদানি করা না হলে ঈদ বাজারে কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো দুষ্কর ছিলো।

আজ সেই দিন অতীত। প্রাণি সম্পদের বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। কোরবানির জন্য ১ কোটি ৩০ লাখ পশু মজুদ। পশুর কোন সংকট হবে না। বরং অতিরিক্ত পশুর যোগান থাকবে।

গত বছর কুরবানীর পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৫ লক্ষ। এর মধ্যে ২২ লক্ষ অবিক্রিত ছিল। এ বছর কুরবানীর জন্য ১ কোটি ৩০ লক্ষ পশু তৈরি থাকার কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। বিধায় কুরবানিতে পশুর সংকট থাকার কোন সুযোগ নেই। কুরবানী উপলক্ষ্যে আমাদের সকল ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও সতর্ক রয়েছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

গবাদি পশু : ছবি সংগ্রহ

মন্ত্রী বলেন, আসন্ন কুরবানী ইদে চাহিদার তুলনায় গবাদি পশুর যোগান বেশি নিশ্চিত করা হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান এসময় আরও বলেন, আগামী কুরবানী ঈদ উপলক্ষ্যে বাজারে গবাদি পশু সরবরাহে আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। কোরবানির ঈদে গবাদি পশুর কোন ঘাটতি নেই।

এ সময় মন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কুরবানী উপলক্ষ্যে মধ্যস্বত্বভোগীরা যেন বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে, সে বিষয়ে সরকার সতর্ক। তাছাড়া কুরবানির পশু যেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে বিষয়েও সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

দেশে খামারিরা ও মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যে পরিমান পশু উৎপাদিত হয়, তাতে আমাদের গবাদি পশুর কোন অপ্রতুলতা নেই।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, কুরবানী উপলক্ষ্যে চাঁদাবাজী, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে দাম বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি প্রতিরোধে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে তা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা যেহেতু গবাদি পশু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ সেহেতু আমাদের গরু আমদানির কোনো প্রশ্নই উঠে না। বরং অবৈধ্য পথে যেন গরু আসতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সীমান্তে দায়িত্ব পালনকারীদের নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশু: প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

 

গেল কোরবানির ঈদে ১৯ লাখ গবাদি পশু অবিক্রিত ছিলো। বাংলাদেশে কোরবানিতে যে পরিমাণ পশুর প্রয়োজন হয়, তার পুরোটাই এখন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হচ্ছে। কোরবানির ঈদকে ঘিরে কোনরকমের পশু আমদানি প্রয়োজন হবে না। অথচ এক সময় পশু আমদানি করা না হলে ঈদ বাজারে কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো দুষ্কর ছিলো।

আজ সেই দিন অতীত। প্রাণি সম্পদের বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। কোরবানির জন্য ১ কোটি ৩০ লাখ পশু মজুদ। পশুর কোন সংকট হবে না। বরং অতিরিক্ত পশুর যোগান থাকবে।

গত বছর কুরবানীর পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৫ লক্ষ। এর মধ্যে ২২ লক্ষ অবিক্রিত ছিল। এ বছর কুরবানীর জন্য ১ কোটি ৩০ লক্ষ পশু তৈরি থাকার কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। বিধায় কুরবানিতে পশুর সংকট থাকার কোন সুযোগ নেই। কুরবানী উপলক্ষ্যে আমাদের সকল ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও সতর্ক রয়েছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

গবাদি পশু : ছবি সংগ্রহ

মন্ত্রী বলেন, আসন্ন কুরবানী ইদে চাহিদার তুলনায় গবাদি পশুর যোগান বেশি নিশ্চিত করা হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান এসময় আরও বলেন, আগামী কুরবানী ঈদ উপলক্ষ্যে বাজারে গবাদি পশু সরবরাহে আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। কোরবানির ঈদে গবাদি পশুর কোন ঘাটতি নেই।

এ সময় মন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কুরবানী উপলক্ষ্যে মধ্যস্বত্বভোগীরা যেন বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে, সে বিষয়ে সরকার সতর্ক। তাছাড়া কুরবানির পশু যেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে বিষয়েও সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

দেশে খামারিরা ও মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যে পরিমান পশু উৎপাদিত হয়, তাতে আমাদের গবাদি পশুর কোন অপ্রতুলতা নেই।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, কুরবানী উপলক্ষ্যে চাঁদাবাজী, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে দাম বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি প্রতিরোধে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে তা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা যেহেতু গবাদি পশু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ সেহেতু আমাদের গরু আমদানির কোনো প্রশ্নই উঠে না। বরং অবৈধ্য পথে যেন গরু আসতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সীমান্তে দায়িত্ব পালনকারীদের নির্দেশনা প্রদান করা হবে।