ঢাকা ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১৫২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি চাকরি সংক্রান্ত সদ্য জারি করা অধ্যাদেশ পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে আয়োজিত কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
বাদিউল কবীর বলেন, আজ (গতকাল) স্বরাষ্ট্র ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এ অধ্যাদেশ পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা আটটি বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি। আলোচনার নামে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা আমাদের আস্থা ভেঙেছেন, বিশ্বাস নষ্ট করেছেন। আমরা ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ফ্যাসিস্ট আমলাদের হটানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজ যেমন আপনারা আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে এসেছেন, আগামীকালও প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা মিছিল নিয়ে আন্দোলনে যোগ দিন। আগামী দিনের কর্মসূচি হবে আরও দুর্দান্ত। এর আগে চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে– এমন বিধান রেখে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন হয়। এরপর ২৫ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। সরকারি কর্মচারীরা অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে অবহিত করছেন। এটি বাতিল করার জন্য সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল, কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ছাড়াও কয়েকজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে থেকে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন

আপডেট সময় :

সরকারি চাকরি সংক্রান্ত সদ্য জারি করা অধ্যাদেশ পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে আয়োজিত কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
বাদিউল কবীর বলেন, আজ (গতকাল) স্বরাষ্ট্র ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এ অধ্যাদেশ পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা আটটি বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি। আলোচনার নামে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা আমাদের আস্থা ভেঙেছেন, বিশ্বাস নষ্ট করেছেন। আমরা ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ফ্যাসিস্ট আমলাদের হটানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজ যেমন আপনারা আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে এসেছেন, আগামীকালও প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা মিছিল নিয়ে আন্দোলনে যোগ দিন। আগামী দিনের কর্মসূচি হবে আরও দুর্দান্ত। এর আগে চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে– এমন বিধান রেখে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন হয়। এরপর ২৫ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। সরকারি কর্মচারীরা অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে অবহিত করছেন। এটি বাতিল করার জন্য সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল, কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ছাড়াও কয়েকজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে থেকে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।