ঢাকা ১০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

চাহিদার চেয়ে ২৮ লাখ বেশি কোরবানির পশু মজুদ: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪ ৩০৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

এবারের কোরবানি পশু ঘাটতি তো নয়ই, বর চাহিদার চেয়ে ২৮ লাখ বেশি পশু মজুদ রয়েছে। বাংলাদেশে কোরবানির পশুর চাহিদা ১ কোটি ৭ লক্ষ। যেখানে প্রস্তুত প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ পশু। ফলে এবারের কোরবানিতে পশু আমদানির কোন প্রয়োজন হবে না। চোরাই পথে যাতে কোন পশু দেশের অভ্যন্তরে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন।

ফলে স্থানীয় খামরে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানি সম্ভব বলে জানালেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান।

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে মুসলামনদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পালন হয়ে থাকে। মূলত ঈদুল আজহা হচ্ছে ত্যাগের প্রতীক।

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঢাকার ২টি স্থায়ী হাটসহ মোট ২২টি পশুর হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ)। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ৯টি অস্থায়ী এবং গাবতলীতে স্থায়ী পশুর হাট বসবে।

এদিকে গেল রবিবার বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট’র (বিএলআরআই) বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা-২০২৪ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রহমন বলেছেন, স্থানীয়ভাবে যে পশু উৎপাদিত হয়েছে, তা দিয়েই কোরবানির চাহিদা মিটানোর সম্ভব হবে। চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। অবৈধভাবে কোন পশু দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

কোরবানির পশু আমদানি করার অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। চোরাচালানের মাধ্যমে যারা দেশে পশু আনছে তারা অবৈধ পথ অবলম্বন করছেন।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ঈদুল আজহায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটসহ সারা দেশে চলাচলকারী পশুবাহী ট্রাক থেকে যারা চাঁদা নেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা। ঘাটে পশুবাহী গাড়ির নজরদারির জন্য লাইভস্টক বিভাগের নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে বিশেষ টিম নিয়োজিত থাকবে। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার জন্য জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনও তদারকি করবে বলে জানান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ দেশের সম্পদ, তাদের গবেষণার কারণে দেশের প্রান্তিক খামারি ও কৃষি খাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের খাদ্যের গুণগত মান যেমন নিশ্চিত করতে হবে তেমনি পশু খাদ্যেরও গুণগতমান সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চাহিদার চেয়ে ২৮ লাখ বেশি কোরবানির পশু মজুদ: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৩৬:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

 

এবারের কোরবানি পশু ঘাটতি তো নয়ই, বর চাহিদার চেয়ে ২৮ লাখ বেশি পশু মজুদ রয়েছে। বাংলাদেশে কোরবানির পশুর চাহিদা ১ কোটি ৭ লক্ষ। যেখানে প্রস্তুত প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ পশু। ফলে এবারের কোরবানিতে পশু আমদানির কোন প্রয়োজন হবে না। চোরাই পথে যাতে কোন পশু দেশের অভ্যন্তরে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন।

ফলে স্থানীয় খামরে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানি সম্ভব বলে জানালেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান।

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে মুসলামনদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পালন হয়ে থাকে। মূলত ঈদুল আজহা হচ্ছে ত্যাগের প্রতীক।

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঢাকার ২টি স্থায়ী হাটসহ মোট ২২টি পশুর হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ)। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ৯টি অস্থায়ী এবং গাবতলীতে স্থায়ী পশুর হাট বসবে।

এদিকে গেল রবিবার বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট’র (বিএলআরআই) বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা-২০২৪ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রহমন বলেছেন, স্থানীয়ভাবে যে পশু উৎপাদিত হয়েছে, তা দিয়েই কোরবানির চাহিদা মিটানোর সম্ভব হবে। চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। অবৈধভাবে কোন পশু দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

কোরবানির পশু আমদানি করার অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। চোরাচালানের মাধ্যমে যারা দেশে পশু আনছে তারা অবৈধ পথ অবলম্বন করছেন।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ঈদুল আজহায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটসহ সারা দেশে চলাচলকারী পশুবাহী ট্রাক থেকে যারা চাঁদা নেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা। ঘাটে পশুবাহী গাড়ির নজরদারির জন্য লাইভস্টক বিভাগের নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে বিশেষ টিম নিয়োজিত থাকবে। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার জন্য জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনও তদারকি করবে বলে জানান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ দেশের সম্পদ, তাদের গবেষণার কারণে দেশের প্রান্তিক খামারি ও কৃষি খাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের খাদ্যের গুণগত মান যেমন নিশ্চিত করতে হবে তেমনি পশু খাদ্যেরও গুণগতমান সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।