ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

জীবনের মূল্য কী ত্রিশ টাকা…

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাত্র ৩০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন হন। নিহতের নাম মমিন হোসেন। বন্ধু রাকিবের ছুরিকাঘাতে হত্যাকান্ডের শিকার হন মমিন। আসামি বিজ্ঞ আদালতে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত মমিনের বাবা ফিরোজ শেষ জানান, আম চুরির পর বিক্রির টাকার ভাগ বাঁটোয়ার ৩০ টাকা নিয়ে বিরোধে মমিন খুনের ঘটনা ঘটে। মাত্র ৩০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাজধানীর মতিঝিলে হত্যাকান্ডের ঘটনায় একমাত্র আসামি রাকিব হোসনেক (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের পাশে পীর জঙ্গী মাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মতিঝিল থানা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মো. মমিন (২০) ও রাকিব হোসেন (১৯) দুই বন্ধু। রাকিব পরিচ্ছন্ন কর্মী ও মমিন দোকান কর্মচারী। গত ১২ মে সন্ধ্যার রাকিব ও মমিন আরেক বন্ধু আলামিনসহ এজিবি কলোনি ও আল হেলাল জোনের আম গাছ থেকে আম পেড়ে এজিবি কলোনি কাঁচা বাজারে ৩৯০ টাকায় বিক্রি করে।
পুলিশ জানায়, আলামিনকে আম বিক্রির ১৩০ টাকা দেয়া হলেও অবশিষ্ট ২৬০ টাকা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। ১২ মে রাতে মতিঝিল পোস্টাল অফিসার্স কলোনির সামনে রাকিব মমিনকে আম বিক্রির ১০০ টাকা দেয়। এসময় মমিন আরও ৩০ টাকা দাবি করলে দুজনের মধ্যে বাকবিত-া হয়। একপর্যায়ে দুজন বাড়ি চলে যায়।
মতিঝিল থানা পুলিশ জানায়, পরের দিন সকাল ১০টার দিকে একই জায়গায় আবার দেখা হলে তাদের মধ্যে ওই টাকা নিয়ে তর্ক হয়। তর্কের মধ্যে মমিন, আসামির মা বোনকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করলে রাকিব, মমিনকে থাপ্পর মারে। একপর্যায়ে রাকিবকে ইট দিয়ে আঘাত করার প্রস্তুতি নিলে রাকিব তার হাতে থাকা আম কাটার ছুরি দিয়ে মমিনের গলার নিচে ডান পাশে মারাত্মক জখম করে। আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে গেলে রিকশাযোগে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায় রাকিব। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মমিনকে মৃত ঘোষণা করার পর রাকিব কৌশলে পালিয়ে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ চলে যায়।
পরে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে ভুক্তভোগীর বাবা ফিরোজ শেখ লাশ গ্রহণ করে ও মতিঝিল থানায় আসামি রাকিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাত দিনের মধ্যে রাকিব হোসেনকে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের পাশ থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি বিজ্ঞ আদালতে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত রয়েছে কিনা পুলিশ তা তদন্ত করে দখছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জীবনের মূল্য কী ত্রিশ টাকা…

আপডেট সময় : ১২:৩৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

মাত্র ৩০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন হন। নিহতের নাম মমিন হোসেন। বন্ধু রাকিবের ছুরিকাঘাতে হত্যাকান্ডের শিকার হন মমিন। আসামি বিজ্ঞ আদালতে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত মমিনের বাবা ফিরোজ শেষ জানান, আম চুরির পর বিক্রির টাকার ভাগ বাঁটোয়ার ৩০ টাকা নিয়ে বিরোধে মমিন খুনের ঘটনা ঘটে। মাত্র ৩০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাজধানীর মতিঝিলে হত্যাকান্ডের ঘটনায় একমাত্র আসামি রাকিব হোসনেক (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের পাশে পীর জঙ্গী মাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মতিঝিল থানা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মো. মমিন (২০) ও রাকিব হোসেন (১৯) দুই বন্ধু। রাকিব পরিচ্ছন্ন কর্মী ও মমিন দোকান কর্মচারী। গত ১২ মে সন্ধ্যার রাকিব ও মমিন আরেক বন্ধু আলামিনসহ এজিবি কলোনি ও আল হেলাল জোনের আম গাছ থেকে আম পেড়ে এজিবি কলোনি কাঁচা বাজারে ৩৯০ টাকায় বিক্রি করে।
পুলিশ জানায়, আলামিনকে আম বিক্রির ১৩০ টাকা দেয়া হলেও অবশিষ্ট ২৬০ টাকা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। ১২ মে রাতে মতিঝিল পোস্টাল অফিসার্স কলোনির সামনে রাকিব মমিনকে আম বিক্রির ১০০ টাকা দেয়। এসময় মমিন আরও ৩০ টাকা দাবি করলে দুজনের মধ্যে বাকবিত-া হয়। একপর্যায়ে দুজন বাড়ি চলে যায়।
মতিঝিল থানা পুলিশ জানায়, পরের দিন সকাল ১০টার দিকে একই জায়গায় আবার দেখা হলে তাদের মধ্যে ওই টাকা নিয়ে তর্ক হয়। তর্কের মধ্যে মমিন, আসামির মা বোনকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করলে রাকিব, মমিনকে থাপ্পর মারে। একপর্যায়ে রাকিবকে ইট দিয়ে আঘাত করার প্রস্তুতি নিলে রাকিব তার হাতে থাকা আম কাটার ছুরি দিয়ে মমিনের গলার নিচে ডান পাশে মারাত্মক জখম করে। আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে গেলে রিকশাযোগে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায় রাকিব। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মমিনকে মৃত ঘোষণা করার পর রাকিব কৌশলে পালিয়ে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ চলে যায়।
পরে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে ভুক্তভোগীর বাবা ফিরোজ শেখ লাশ গ্রহণ করে ও মতিঝিল থানায় আসামি রাকিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাত দিনের মধ্যে রাকিব হোসেনকে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের পাশ থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি বিজ্ঞ আদালতে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত রয়েছে কিনা পুলিশ তা তদন্ত করে দখছেন।