ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত বলছেন পরিবেশবিদরা Logo অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ করা হবে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী Logo শিক্ষা কার্যক্রম সচলে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী Logo এম বদিউজ্জামান বিদ্যা নিকেতনে কোরআনখানী ও দোয়া মাহফিল Logo এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী Logo ইকুয়েডরে রেস্তোরাঁয় প্রকাশ্যে গুলি করে মডেলকে হত্যা Logo চারদিনের ঢাকা সফরে আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ Logo নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ট্রফি নিয়ে ছবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী Logo সাংবাদিক ফরিদের ওপর হামলাকারীকে গ্রেপ্তারে সাতদিনের আল্টিমেটাম ক্র্যাবের Logo কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী

থাইল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ ও গতিশীল অংশীদার: শেখ হাসিনা

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:০১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ৩২ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার জানায় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ সমঝোতা ও চুক্তি সই

নিকটতম প্রতিবেশী থাইল্যান্ডকে ‘গুরুত্বপূর্ণ ও গতিশীল’ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ দেখে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে এবং ভাষাগত ও অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও গভীরে প্রোথিত।

শুক্রবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ছেড়ে দেওয়া হবে। বিনিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে হাইটেকপার্কে। চলতি বছরই থাইল্যান্ড-বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের কথা জানালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা ৬ দিনের সফরে থাইল্যান্ড রয়েছেন। সফরকালে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ড-বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক, একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্রসহ পাঁচটি কূটনৈতিক দলিল স্বাক্ষর হয়েছে।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব দলিলে সই করেন সংশ্লিষ্টরা। এর পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন।


প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানান।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন অভ্যর্থনা জানান এবং এরপর সেখানে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে তাকে উষ্ণ লাল গালিচা সংবর্ধনা জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার জানায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনী। এরপর থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন শেখ হাসিনা। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।


বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও জানান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

থাইল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ ও গতিশীল অংশীদার: শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০৩:০১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

 

থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ সমঝোতা ও চুক্তি সই

নিকটতম প্রতিবেশী থাইল্যান্ডকে ‘গুরুত্বপূর্ণ ও গতিশীল’ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ দেখে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে এবং ভাষাগত ও অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও গভীরে প্রোথিত।

শুক্রবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ছেড়ে দেওয়া হবে। বিনিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে হাইটেকপার্কে। চলতি বছরই থাইল্যান্ড-বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের কথা জানালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা ৬ দিনের সফরে থাইল্যান্ড রয়েছেন। সফরকালে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ড-বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক, একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্রসহ পাঁচটি কূটনৈতিক দলিল স্বাক্ষর হয়েছে।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব দলিলে সই করেন সংশ্লিষ্টরা। এর পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন।


প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানান।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন অভ্যর্থনা জানান এবং এরপর সেখানে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে তাকে উষ্ণ লাল গালিচা সংবর্ধনা জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার জানায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনী। এরপর থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন শেখ হাসিনা। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।


বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও জানান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।