ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

নগর ভবন তুমি কার

হালিম মোহাম্মদ
  • আপডেট সময় : ১১:৫১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়া এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেট অনুযায়ী শপথের মেয়াদও শেষ হয়ে যাওয়ায়, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নেয়ার আইনি কোনো সুযোগ নেই। তারপরও আইনকে বৃদ্ধাংঙ্গুল দেখিয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ন গায়ের অর্থ্যাৎ পেশী শক্তির জোরে ইশরাক ও তার অনুসারীদের আন্দোলন চলমান রয়েছে। প্রায় একমাস আন্দোলনে অস্থিরতার ফলে সিটি করপোরেশনের নাগরিক সেবার ব্যাঘাত ঘটছে। এমন অভিযোগ করেন খোদ স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।
এদিকে টানা গণ অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঈদের পরে পঞ্চম দিনের মতো গত বৃহস্পতিবার সকালেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। দলে দলে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন বিএনপির নেতাকর্মী ও নগরবাসী। ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়িয়ে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে এ অবস্থান তাদের। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াকে শপথ না পড়ানোর পেছনে দায়ী করেন তারা। এসময় সমর্থকরা বলেন, ইশরাকের নেতৃত্বে এই আন্দোলন চলবে। আসিফ ভূঁইয়ার সব ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে। সিটি কর্পোরেশনে কোনো দোসর, কোনো ফ্যাসিবাদী থাকতে পারবে না। নাগরিক ভোগান্তির দায় একমাত্র আসিফের।
এ উদ্ভট পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নগর ভবনের মেয়র পদ নিয়ে রাষ্ট্র ও একটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিরাজমান রোষানলে পড়ছেন জনসাধারন। তারা প্রায় একমাস সেবা থেকে বঞ্চিত হ্েচ্ছন গ্রাহকরা। দুই পক্ষের এহেন কাজের কারনে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, কার কথায় চলবে নগর ভবনের কার্যক্রম। কবে নাগাদ এ অচলাবস্থায় অবসান হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নগরভবন তুমি কার। এমন প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে নগরবাসীর মধ্যে। তারা এর আশু সমধান চান।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, মেয়াদ শেষ, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের মেয়র পদে শপথ নেয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। গত বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। উপদেষ্টা আসিফ বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেট অনুযায়ী শপথের মেয়াদও শেষ হয়ে যাওয়ায়, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নেয়ার আইনি কোনো সুযোগ নেই।এ সময় ইশরাক ও তার অনুসারীদের আন্দোলনে সিটি করপোরেশনের নাগরিক সেবাদানে বিঘ্ন ঘটছে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৫ শতাংশ নাগরিক সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। ইশরাক হোসেনের কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থায় সম্পূর্ণ নাগরিক সেবা ভেঙে পড়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার মতে, ইশরাক হোসেন আইন ভঙ্গ করেছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এটি করা হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিএনপির দলীয় হস্তক্ষেপ প্রয়োজন উল্লেখ করে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার একটি বৈঠকের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সেটি আমরা ধরে রাখতে চাই। মেয়রের বিষয়টি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে, বিএনপি যথাযথ উদ্যোগ নেবে আশা করি।
গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। আদালত ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। এ রায় পাওয়ার পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর আগে ২২ মে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুসা।
২০২০ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস।
সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান মিয়া।
এর মধ্যে গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। আদালত ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। এ রায় পাওয়ার পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নগর ভবন তুমি কার

আপডেট সময় : ১১:৫১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়া এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেট অনুযায়ী শপথের মেয়াদও শেষ হয়ে যাওয়ায়, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নেয়ার আইনি কোনো সুযোগ নেই। তারপরও আইনকে বৃদ্ধাংঙ্গুল দেখিয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ন গায়ের অর্থ্যাৎ পেশী শক্তির জোরে ইশরাক ও তার অনুসারীদের আন্দোলন চলমান রয়েছে। প্রায় একমাস আন্দোলনে অস্থিরতার ফলে সিটি করপোরেশনের নাগরিক সেবার ব্যাঘাত ঘটছে। এমন অভিযোগ করেন খোদ স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।
এদিকে টানা গণ অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঈদের পরে পঞ্চম দিনের মতো গত বৃহস্পতিবার সকালেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। দলে দলে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন বিএনপির নেতাকর্মী ও নগরবাসী। ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়িয়ে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে এ অবস্থান তাদের। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াকে শপথ না পড়ানোর পেছনে দায়ী করেন তারা। এসময় সমর্থকরা বলেন, ইশরাকের নেতৃত্বে এই আন্দোলন চলবে। আসিফ ভূঁইয়ার সব ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে। সিটি কর্পোরেশনে কোনো দোসর, কোনো ফ্যাসিবাদী থাকতে পারবে না। নাগরিক ভোগান্তির দায় একমাত্র আসিফের।
এ উদ্ভট পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নগর ভবনের মেয়র পদ নিয়ে রাষ্ট্র ও একটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিরাজমান রোষানলে পড়ছেন জনসাধারন। তারা প্রায় একমাস সেবা থেকে বঞ্চিত হ্েচ্ছন গ্রাহকরা। দুই পক্ষের এহেন কাজের কারনে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, কার কথায় চলবে নগর ভবনের কার্যক্রম। কবে নাগাদ এ অচলাবস্থায় অবসান হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নগরভবন তুমি কার। এমন প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে নগরবাসীর মধ্যে। তারা এর আশু সমধান চান।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, মেয়াদ শেষ, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের মেয়র পদে শপথ নেয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। গত বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। উপদেষ্টা আসিফ বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেট অনুযায়ী শপথের মেয়াদও শেষ হয়ে যাওয়ায়, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নেয়ার আইনি কোনো সুযোগ নেই।এ সময় ইশরাক ও তার অনুসারীদের আন্দোলনে সিটি করপোরেশনের নাগরিক সেবাদানে বিঘ্ন ঘটছে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৫ শতাংশ নাগরিক সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। ইশরাক হোসেনের কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থায় সম্পূর্ণ নাগরিক সেবা ভেঙে পড়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার মতে, ইশরাক হোসেন আইন ভঙ্গ করেছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এটি করা হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিএনপির দলীয় হস্তক্ষেপ প্রয়োজন উল্লেখ করে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার একটি বৈঠকের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সেটি আমরা ধরে রাখতে চাই। মেয়রের বিষয়টি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে, বিএনপি যথাযথ উদ্যোগ নেবে আশা করি।
গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। আদালত ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। এ রায় পাওয়ার পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর আগে ২২ মে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুসা।
২০২০ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস।
সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান মিয়া।
এর মধ্যে গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। আদালত ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। এ রায় পাওয়ার পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।