ঢাকা ০১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পালিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় ব্যাকের ডেপুটি গভর্নর-উপদেষ্টারা

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪ ১৮০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ব্যাংক খাতে লুটপাট, দখল, অনৈতিক সুবিধা প্রদান ও নানা অনিয়মের সহযোগিতার আখড়ায় পরিণত হয়েছিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নানা মুখী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ডেপুটি গভর্নর ও উপদেষ্টারা আজ বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে বিক্ষোভের মুখে তারা ব্যাংক পালিয়ে যান। ঘটনার সময় গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার কার্যালয়ে ছিলেন না।

আন্দোলনরত কর্মকর্তারা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা প্রথমে বিক্ষাভ শুরু করেন। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় কর্মকর্তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে অবস্থান নেন।

এ সময় কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান দুই ডেপুটি গভর্নর খোরশেদ আলম, ড. হাবিবুর রহমান, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।

অপর দুই ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান ও নুরুন নাহার চাকরি থেকে রিজাইন করতে বাধ্য হন। আন্দোলনরত কর্মকর্তারা ৩০ তলা ভবনের নিচে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা বলেন, দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী এ বিক্ষোভে যোগ দেন। বিক্ষোভরত একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংক খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব শীর্ষ কর্মকর্তা দায়ী এবং তারা দায়িত্বে থাকলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে যে পরিবর্তনের আবহ তৈরি হয়েছে ব্যাংক খাতে সুশাসন ফিরবে না। তাই আমরা এ বিক্ষোভ করছি।

আন্দোলনকারী প্রথমে ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের কক্ষে গিয়ে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এ সময় কাজী ছাইদুর রহমান একটি সাদা কাগজে পদত্যাগের কথা লিখে স্বাক্ষর করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যান। এরপর ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহারও একই ভাবে চলে যান।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পালিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় ব্যাকের ডেপুটি গভর্নর-উপদেষ্টারা

আপডেট সময় : ০১:৪১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

 

ব্যাংক খাতে লুটপাট, দখল, অনৈতিক সুবিধা প্রদান ও নানা অনিয়মের সহযোগিতার আখড়ায় পরিণত হয়েছিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নানা মুখী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ডেপুটি গভর্নর ও উপদেষ্টারা আজ বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে বিক্ষোভের মুখে তারা ব্যাংক পালিয়ে যান। ঘটনার সময় গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার কার্যালয়ে ছিলেন না।

আন্দোলনরত কর্মকর্তারা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা প্রথমে বিক্ষাভ শুরু করেন। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় কর্মকর্তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে অবস্থান নেন।

এ সময় কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান দুই ডেপুটি গভর্নর খোরশেদ আলম, ড. হাবিবুর রহমান, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।

অপর দুই ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান ও নুরুন নাহার চাকরি থেকে রিজাইন করতে বাধ্য হন। আন্দোলনরত কর্মকর্তারা ৩০ তলা ভবনের নিচে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা বলেন, দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী এ বিক্ষোভে যোগ দেন। বিক্ষোভরত একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংক খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব শীর্ষ কর্মকর্তা দায়ী এবং তারা দায়িত্বে থাকলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে যে পরিবর্তনের আবহ তৈরি হয়েছে ব্যাংক খাতে সুশাসন ফিরবে না। তাই আমরা এ বিক্ষোভ করছি।

আন্দোলনকারী প্রথমে ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের কক্ষে গিয়ে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এ সময় কাজী ছাইদুর রহমান একটি সাদা কাগজে পদত্যাগের কথা লিখে স্বাক্ষর করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যান। এরপর ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহারও একই ভাবে চলে যান।