ঢাকা ০১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্যাংক থেকে ৮৮৯ কোটি টাকা তুলে নিতে ব্যর্থ হলো এস আলম

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪ ২৩৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বেনামি ঋণের মাধ্যমে অর্থ তুলে নেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয় এস আলমের গ্রুপ। ইসলামী ব্যাংক থেকে বেশ কয়েকটি চেকের মাধ্যমে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ব্যাংক খোলার প্রথম দিনেই ৮৮৯ কোটি টাকা তুলে নেবার চেষ্টা করা হয়।

কিন্তু কর্মকর্তাদের তৎপরতায় তা আটকে যায়। গ্লোডেন স্টার ও টপ টেন ট্রেডিং হাউজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা বক্তব্য টাকা উত্তোলন ঠেকিয়ে দেওয়া দুটি প্রতিষ্ঠানই ব্যাংকের মালিকপক্ষ তথা এস আলম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত।

জানা গেছে, মঙ্গলবার ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায় সোনালী, জনতা, রূপালী, পূবালী ও সিটি ব্যাংকের পাঁচটি চেক নগদায়নের জন্য পাঠানো হয়। সাধারণত একটি নির্ধারিত পরিমাণ অর্থের চেক শাখা ব্যবস্থাপকই নগদায়ন করে দিতে পারেন। কিন্তু বেশি অঙ্কের চেক নগদায়নের জন্য ব্যাংকের হেড অফিসের অনুমোদন নিতে হয়।

গ্লোডেন স্টার নামে প্রতিষ্ঠানটি পাঁচটি চেক ইস্যু করেছিল। প্রতিষ্ঠানের মূল হিসাব ছিল চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায়। ওই পাঁচটি চেক আগ্রাবাদ শাখার ম্যানেজার প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়ার পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে ৩৪৬ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের তৎপরতায় তা আটকে যায়।

একই দিন টপ টেন ট্রেডিংয়ের ৫৪৮ কোটি টাকার বেনামি ঋণও আটকে দেয় ব্যাংকটি।

 

গ্লোডেন স্টার ও টপ টেন ট্রেডিং হাউজ নামক প্রতিষ্ঠান দুটি মূলত ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি ও সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলমের পিএস আকিজ উদ্দিন ও এস আলম গ্রুপের সুবিধাভোগী বেনামি প্রতিষ্ঠান।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আকিজ উদ্দিন বেনামি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বরাবরের মতোই টাকা তুলে নিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আকিজ উদ্দিনের সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানের চেক বুঝতে পেরে টাকা আটকে দেয় ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ব্যাংক থেকে ৮৮৯ কোটি টাকা তুলে নিতে ব্যর্থ হলো এস আলম

আপডেট সময় : ০১:০৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

 

সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বেনামি ঋণের মাধ্যমে অর্থ তুলে নেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয় এস আলমের গ্রুপ। ইসলামী ব্যাংক থেকে বেশ কয়েকটি চেকের মাধ্যমে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ব্যাংক খোলার প্রথম দিনেই ৮৮৯ কোটি টাকা তুলে নেবার চেষ্টা করা হয়।

কিন্তু কর্মকর্তাদের তৎপরতায় তা আটকে যায়। গ্লোডেন স্টার ও টপ টেন ট্রেডিং হাউজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা বক্তব্য টাকা উত্তোলন ঠেকিয়ে দেওয়া দুটি প্রতিষ্ঠানই ব্যাংকের মালিকপক্ষ তথা এস আলম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত।

জানা গেছে, মঙ্গলবার ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায় সোনালী, জনতা, রূপালী, পূবালী ও সিটি ব্যাংকের পাঁচটি চেক নগদায়নের জন্য পাঠানো হয়। সাধারণত একটি নির্ধারিত পরিমাণ অর্থের চেক শাখা ব্যবস্থাপকই নগদায়ন করে দিতে পারেন। কিন্তু বেশি অঙ্কের চেক নগদায়নের জন্য ব্যাংকের হেড অফিসের অনুমোদন নিতে হয়।

গ্লোডেন স্টার নামে প্রতিষ্ঠানটি পাঁচটি চেক ইস্যু করেছিল। প্রতিষ্ঠানের মূল হিসাব ছিল চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায়। ওই পাঁচটি চেক আগ্রাবাদ শাখার ম্যানেজার প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়ার পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে ৩৪৬ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের তৎপরতায় তা আটকে যায়।

একই দিন টপ টেন ট্রেডিংয়ের ৫৪৮ কোটি টাকার বেনামি ঋণও আটকে দেয় ব্যাংকটি।

 

গ্লোডেন স্টার ও টপ টেন ট্রেডিং হাউজ নামক প্রতিষ্ঠান দুটি মূলত ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি ও সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলমের পিএস আকিজ উদ্দিন ও এস আলম গ্রুপের সুবিধাভোগী বেনামি প্রতিষ্ঠান।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আকিজ উদ্দিন বেনামি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বরাবরের মতোই টাকা তুলে নিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আকিজ উদ্দিনের সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানের চেক বুঝতে পেরে টাকা আটকে দেয় ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।