ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo `জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার’ Logo ডামুড্যায় গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo বিশ্বনাথে আলোকিত সুর সাংস্কৃতিক ফোরাম অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা Logo বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা Logo সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo ঝিনাইদহে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo ভালো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল ভূমিকা রাখছে Logo বন্ধু একাদশ হাকিমপুরকে হারিয়ে মুন্সিপাড়া ওয়ারিয়ার্স দিনাজপুর চ্যাম্পিয়ান Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা

ব্যাংক থেকে ৮৮৯ কোটি টাকা তুলে নিতে ব্যর্থ হলো এস আলম

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৫৩৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বেনামি ঋণের মাধ্যমে অর্থ তুলে নেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয় এস আলমের গ্রুপ। ইসলামী ব্যাংক থেকে বেশ কয়েকটি চেকের মাধ্যমে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ব্যাংক খোলার প্রথম দিনেই ৮৮৯ কোটি টাকা তুলে নেবার চেষ্টা করা হয়।

কিন্তু কর্মকর্তাদের তৎপরতায় তা আটকে যায়। গ্লোডেন স্টার ও টপ টেন ট্রেডিং হাউজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা বক্তব্য টাকা উত্তোলন ঠেকিয়ে দেওয়া দুটি প্রতিষ্ঠানই ব্যাংকের মালিকপক্ষ তথা এস আলম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত।

জানা গেছে, মঙ্গলবার ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায় সোনালী, জনতা, রূপালী, পূবালী ও সিটি ব্যাংকের পাঁচটি চেক নগদায়নের জন্য পাঠানো হয়। সাধারণত একটি নির্ধারিত পরিমাণ অর্থের চেক শাখা ব্যবস্থাপকই নগদায়ন করে দিতে পারেন। কিন্তু বেশি অঙ্কের চেক নগদায়নের জন্য ব্যাংকের হেড অফিসের অনুমোদন নিতে হয়।

গ্লোডেন স্টার নামে প্রতিষ্ঠানটি পাঁচটি চেক ইস্যু করেছিল। প্রতিষ্ঠানের মূল হিসাব ছিল চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায়। ওই পাঁচটি চেক আগ্রাবাদ শাখার ম্যানেজার প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়ার পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে ৩৪৬ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের তৎপরতায় তা আটকে যায়।

একই দিন টপ টেন ট্রেডিংয়ের ৫৪৮ কোটি টাকার বেনামি ঋণও আটকে দেয় ব্যাংকটি।

 

গ্লোডেন স্টার ও টপ টেন ট্রেডিং হাউজ নামক প্রতিষ্ঠান দুটি মূলত ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি ও সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলমের পিএস আকিজ উদ্দিন ও এস আলম গ্রুপের সুবিধাভোগী বেনামি প্রতিষ্ঠান।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আকিজ উদ্দিন বেনামি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বরাবরের মতোই টাকা তুলে নিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আকিজ উদ্দিনের সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানের চেক বুঝতে পেরে টাকা আটকে দেয় ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ব্যাংক থেকে ৮৮৯ কোটি টাকা তুলে নিতে ব্যর্থ হলো এস আলম

আপডেট সময় :

 

সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বেনামি ঋণের মাধ্যমে অর্থ তুলে নেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয় এস আলমের গ্রুপ। ইসলামী ব্যাংক থেকে বেশ কয়েকটি চেকের মাধ্যমে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ব্যাংক খোলার প্রথম দিনেই ৮৮৯ কোটি টাকা তুলে নেবার চেষ্টা করা হয়।

কিন্তু কর্মকর্তাদের তৎপরতায় তা আটকে যায়। গ্লোডেন স্টার ও টপ টেন ট্রেডিং হাউজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা বক্তব্য টাকা উত্তোলন ঠেকিয়ে দেওয়া দুটি প্রতিষ্ঠানই ব্যাংকের মালিকপক্ষ তথা এস আলম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত।

জানা গেছে, মঙ্গলবার ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায় সোনালী, জনতা, রূপালী, পূবালী ও সিটি ব্যাংকের পাঁচটি চেক নগদায়নের জন্য পাঠানো হয়। সাধারণত একটি নির্ধারিত পরিমাণ অর্থের চেক শাখা ব্যবস্থাপকই নগদায়ন করে দিতে পারেন। কিন্তু বেশি অঙ্কের চেক নগদায়নের জন্য ব্যাংকের হেড অফিসের অনুমোদন নিতে হয়।

গ্লোডেন স্টার নামে প্রতিষ্ঠানটি পাঁচটি চেক ইস্যু করেছিল। প্রতিষ্ঠানের মূল হিসাব ছিল চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায়। ওই পাঁচটি চেক আগ্রাবাদ শাখার ম্যানেজার প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়ার পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে ৩৪৬ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের তৎপরতায় তা আটকে যায়।

একই দিন টপ টেন ট্রেডিংয়ের ৫৪৮ কোটি টাকার বেনামি ঋণও আটকে দেয় ব্যাংকটি।

 

গ্লোডেন স্টার ও টপ টেন ট্রেডিং হাউজ নামক প্রতিষ্ঠান দুটি মূলত ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি ও সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলমের পিএস আকিজ উদ্দিন ও এস আলম গ্রুপের সুবিধাভোগী বেনামি প্রতিষ্ঠান।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আকিজ উদ্দিন বেনামি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বরাবরের মতোই টাকা তুলে নিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আকিজ উদ্দিনের সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানের চেক বুঝতে পেরে টাকা আটকে দেয় ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।