ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

মানবিক পুলিশ গঠনে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: রিজওয়ানা হাসান

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৪:০৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

তিপান্ন বছরের বাংলাদেশে পুলিশ দলীয় বাহিনী হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এ কারণে তারা বাংলাদেশ পুলিশ তথা মানবিক পুলিশ হয়ে ওঠতে পারেনি। অন্তর্বর্তী সরকার একটি পরিবার হিসাবে দেশ গঠনের ডাক দিয়েছে। দীর্ঘ দিনের সংস্কৃতি ইচ্ছে করলে একদিনেই ধূলোর মতো জেরে ফেলা সম্ভব নয়। পর্যায়ক্রমে আমরা করার চষ্টো করবো।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

জনবান্ধন পুলিশ গঠনে উপদেষ্টা দৃষ্টি ফেরান ১৮৬১ সালের দিকে। বলেন, ব্রিটিশ আমলের পুলিশি আইন দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পুলিশ চালাচ্ছেন। ব্রিটিশরা কি বাংলাদেশে এসেছিল জনমুখী একটা পুলিশ দিতে?

পুলিশ কমিশন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সামনেই জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলো আমরা পাবো। এরপর সবাইকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে জনমুখী পুলিশ গড়ে তোলার ইচ্ছে বর্তমান সরকারের রয়েছে।

ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় সম্প্রতি একটি লোমহর্ষক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, একটি ভ্যানে পুলিশ সদস্যরা একের পর এক মরদেহ তুলছে। এক পর্যায়ে মরদেহের স্তুপ হয়ে ওঠে ভ্যানটি।

এছাড়াও একটি পুলিশ ভ্যানে মরদেহ রেখে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনি নৃশংস ঘটনার পর সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। যদিও বা পরিবেশ-পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসছিলো।

এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, কিছুদিনের মধ্যে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন আসছে। তাদের কার্যপরিধিতে উল্লেখ আছে, এই ঘটনা যাতে আর কখনো না ঘটে, সেজন্য সিকিউরিটি রিফর্মস কি কি নিতে হবে সেগুলোর ব্যাপারেও তারা আমাদেরকে বলবে।

এছাড়া একটা পুলিশ কমিশনের কথা বলা হয়েছে। এগুলোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে যা ঘটে গেছে সেটা তো আর ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না, তবে এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে।

উপেদেষ্টা বলেন, শৈশবের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা পড়েছিলাম দুষ্ট লোকেরা পুলিশ দেখলে ভয় পায়, কিন্তু আমরা এমন একটা সমাজে বাস করেছি যে ভালো লোকেরাই পুলিশকে দেখলে ভয় পায়।

পুলিশ যে জনগণের বন্ধু তা প্রমাণ করা এখনও সম্ভব হয়নি। পুলিশ দলীয়ভাবে ব্যবহার হয়েছে। পুলিশ আর বাংলাদেশের পুলিশ হয়ে ওঠা হয়নি। পুলিশের মধ্যেও কিন্তু পরিবর্তনের একটা বিশাল তাগিদ রয়েছে। তারা বুঝতে পারছে জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্য ফেরাতে অনেক কাজ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মানবিক পুলিশ গঠনে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: রিজওয়ানা হাসান

আপডেট সময় : ০৪:০৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

তিপান্ন বছরের বাংলাদেশে পুলিশ দলীয় বাহিনী হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এ কারণে তারা বাংলাদেশ পুলিশ তথা মানবিক পুলিশ হয়ে ওঠতে পারেনি। অন্তর্বর্তী সরকার একটি পরিবার হিসাবে দেশ গঠনের ডাক দিয়েছে। দীর্ঘ দিনের সংস্কৃতি ইচ্ছে করলে একদিনেই ধূলোর মতো জেরে ফেলা সম্ভব নয়। পর্যায়ক্রমে আমরা করার চষ্টো করবো।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

জনবান্ধন পুলিশ গঠনে উপদেষ্টা দৃষ্টি ফেরান ১৮৬১ সালের দিকে। বলেন, ব্রিটিশ আমলের পুলিশি আইন দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পুলিশ চালাচ্ছেন। ব্রিটিশরা কি বাংলাদেশে এসেছিল জনমুখী একটা পুলিশ দিতে?

পুলিশ কমিশন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সামনেই জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলো আমরা পাবো। এরপর সবাইকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে জনমুখী পুলিশ গড়ে তোলার ইচ্ছে বর্তমান সরকারের রয়েছে।

ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় সম্প্রতি একটি লোমহর্ষক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, একটি ভ্যানে পুলিশ সদস্যরা একের পর এক মরদেহ তুলছে। এক পর্যায়ে মরদেহের স্তুপ হয়ে ওঠে ভ্যানটি।

এছাড়াও একটি পুলিশ ভ্যানে মরদেহ রেখে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনি নৃশংস ঘটনার পর সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। যদিও বা পরিবেশ-পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসছিলো।

এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, কিছুদিনের মধ্যে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন আসছে। তাদের কার্যপরিধিতে উল্লেখ আছে, এই ঘটনা যাতে আর কখনো না ঘটে, সেজন্য সিকিউরিটি রিফর্মস কি কি নিতে হবে সেগুলোর ব্যাপারেও তারা আমাদেরকে বলবে।

এছাড়া একটা পুলিশ কমিশনের কথা বলা হয়েছে। এগুলোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে যা ঘটে গেছে সেটা তো আর ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না, তবে এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে।

উপেদেষ্টা বলেন, শৈশবের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা পড়েছিলাম দুষ্ট লোকেরা পুলিশ দেখলে ভয় পায়, কিন্তু আমরা এমন একটা সমাজে বাস করেছি যে ভালো লোকেরাই পুলিশকে দেখলে ভয় পায়।

পুলিশ যে জনগণের বন্ধু তা প্রমাণ করা এখনও সম্ভব হয়নি। পুলিশ দলীয়ভাবে ব্যবহার হয়েছে। পুলিশ আর বাংলাদেশের পুলিশ হয়ে ওঠা হয়নি। পুলিশের মধ্যেও কিন্তু পরিবর্তনের একটা বিশাল তাগিদ রয়েছে। তারা বুঝতে পারছে জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্য ফেরাতে অনেক কাজ করতে হবে।