ঢাকা ১১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

মুন্সিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে মন্দিরের সামনে বোমা বিস্ফোরণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ৩২৯ বার পড়া হয়েছে

প্রতীকি ছবি

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঘটনাস্থল থেকে আটক দুই যুবকের স্বীকারোক্তি

 

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। শুক্রবার রাতে উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের ফুরশাইল গ্রামের পোদ্দার বাড়ি শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দিরের ফটকের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করে এলাকাবাসী। তারা এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে পরে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

আটক দু’জন ফুরশাইল গ্রামের রিফাত ও কাজীরবাগ গ্রামের তুহিন। তাদের সঙ্গে থাকা সমিত বেপারি ঘটনার পর পালিয়ে যায়।

আটক দুই যুবক স্বীকার করে, মালখানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খানের নির্দেশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। স্বীকারোক্তির পর পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে রাধাগোবিন্দ মন্দিরের ফটকের সামনে একটি বোমা ফাটায় তিন যুবক। এ সময় এলাকাবাসী জড়ো হয়ে রিফাত ও তুহিনকে ধরে ফেলে।

৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দোলোয়ার হোসেন জানান, বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির ঘটনা সত্য। তবে আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা অভিযুক্ত দু’জনকে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দিয়ে দেন। খবর পেয়ে শনিবার বেলা ১১টায় মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদে সেনাসদস্যরা আসেন। কিন্তু রিফাত ও তুহিন রাতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ খানও পালিয়ে গেছে বলে জানান এলাকাবাসী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জামান বলেন, সেনাবাহিনী এসেছিল। তবে তারা আসার আগেই দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে গেছে। আর কোনো নাশকতার ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে আমরা সজাগ আছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মুন্সিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে মন্দিরের সামনে বোমা বিস্ফোরণ

আপডেট সময় :

 

ঘটনাস্থল থেকে আটক দুই যুবকের স্বীকারোক্তি

 

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। শুক্রবার রাতে উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের ফুরশাইল গ্রামের পোদ্দার বাড়ি শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দিরের ফটকের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করে এলাকাবাসী। তারা এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে পরে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

আটক দু’জন ফুরশাইল গ্রামের রিফাত ও কাজীরবাগ গ্রামের তুহিন। তাদের সঙ্গে থাকা সমিত বেপারি ঘটনার পর পালিয়ে যায়।

আটক দুই যুবক স্বীকার করে, মালখানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খানের নির্দেশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। স্বীকারোক্তির পর পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে রাধাগোবিন্দ মন্দিরের ফটকের সামনে একটি বোমা ফাটায় তিন যুবক। এ সময় এলাকাবাসী জড়ো হয়ে রিফাত ও তুহিনকে ধরে ফেলে।

৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দোলোয়ার হোসেন জানান, বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির ঘটনা সত্য। তবে আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা অভিযুক্ত দু’জনকে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দিয়ে দেন। খবর পেয়ে শনিবার বেলা ১১টায় মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদে সেনাসদস্যরা আসেন। কিন্তু রিফাত ও তুহিন রাতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ খানও পালিয়ে গেছে বলে জানান এলাকাবাসী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জামান বলেন, সেনাবাহিনী এসেছিল। তবে তারা আসার আগেই দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে গেছে। আর কোনো নাশকতার ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে আমরা সজাগ আছি।