ঢাকা ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

যুক্তরাজ্যে সালমানপুত্র শায়ানের সম্পত্তি জব্দ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১২:৪৩:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জব্দ সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে লন্ডনের ১৭ গ্রোসভেনর স্কয়ারে অবস্থিত বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট। এটি ২০১০ সালে ছয় দশমিক পাঁচ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়। দ্বিতীয় অ্যাপার্টমেন্টটি উত্তর লন্ডনের গ্রেশাম গার্ডেন্সে ২০১১ সালে এক দশমিক দুই মিলিয়ন পাউন্ডে অধিগ্রহণ করা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানের লন্ডনে থাকা দুটি সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ পেয়েছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। পতিত শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত চলার মধ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
জব্দ সম্পত্তির একটি হলো লন্ডনের ১৭ গ্রোসভেনর স্কয়ারে অবস্থিত বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট। এটি ২০১০ সালে ছয় দশমিক পাঁচ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়। দ্বিতীয় সম্পত্তি উত্তর লন্ডনের গ্রেশাম গার্ডেন্সে অবস্থিত। এটি পরের বছর ২০১১ সালে এক দশমিক দুই মিলিয়ন পাউন্ডে অধিগ্রহণ করা হয়।
যুক্তরাজ্যের নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য অনুসারে, শেখ হাসিনার বোন এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক নগর মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের মা শেখ রেহানা গ্রেশাম গার্ডেন্সের ওই অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করতেন। অবশ্য তিনি এখনো সেখানে থাকেন কি না তা স্পষ্ট নয়।
এনসিএ বলছে, চলমান একটি তদন্তের অংশ হিসেবে লন্ডনের ১৭ গ্রোসভেনর স্কয়ার এবং গ্রেশাম গার্ডেন্সে অবস্থিত সম্পত্তি দুটি ফ্রিজিংয়ের আদেশ সুরক্ষিত করেছে এনসিএ। এর বেশি এখন আর কিছু বলা যাবে না। এফটি জানিয়েছে, এসব সম্পত্তি অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা হয়েছিল বলে নথিতে উঠে এসেছে। এফটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালত থেকে ফ্রিজ বা জব্দের আদেশ হলে কোনো সম্পত্তি বিক্রি বা স্থানান্তর করা যায় না।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনের বরাত দিয়ে এফটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালমান ও শায়ান দুদকের অর্থ আত্মসাতের তদন্তের সন্দেহভাজন। শায়ান ফজলুর রহমানের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘যেকোনো কথিত অন্যায়ে জড়িত থাকার বিষয়টি দৃঢ়ভাবে নাকচ করেছেন আমাদের মক্কেল। যুক্তরাজ্যে যেকোনো তদন্ত হলে অবশ্যই তাতে সহযোগিতা করবেন তিনি। অভিযোগের বিষয়ে শেখ রেহানা ও সালমান এফ রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এফটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যুক্তরাজ্যে সালমানপুত্র শায়ানের সম্পত্তি জব্দ

আপডেট সময় : ১২:৪৩:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

জব্দ সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে লন্ডনের ১৭ গ্রোসভেনর স্কয়ারে অবস্থিত বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট। এটি ২০১০ সালে ছয় দশমিক পাঁচ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়। দ্বিতীয় অ্যাপার্টমেন্টটি উত্তর লন্ডনের গ্রেশাম গার্ডেন্সে ২০১১ সালে এক দশমিক দুই মিলিয়ন পাউন্ডে অধিগ্রহণ করা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানের লন্ডনে থাকা দুটি সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ পেয়েছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। পতিত শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত চলার মধ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
জব্দ সম্পত্তির একটি হলো লন্ডনের ১৭ গ্রোসভেনর স্কয়ারে অবস্থিত বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট। এটি ২০১০ সালে ছয় দশমিক পাঁচ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়। দ্বিতীয় সম্পত্তি উত্তর লন্ডনের গ্রেশাম গার্ডেন্সে অবস্থিত। এটি পরের বছর ২০১১ সালে এক দশমিক দুই মিলিয়ন পাউন্ডে অধিগ্রহণ করা হয়।
যুক্তরাজ্যের নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য অনুসারে, শেখ হাসিনার বোন এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক নগর মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের মা শেখ রেহানা গ্রেশাম গার্ডেন্সের ওই অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করতেন। অবশ্য তিনি এখনো সেখানে থাকেন কি না তা স্পষ্ট নয়।
এনসিএ বলছে, চলমান একটি তদন্তের অংশ হিসেবে লন্ডনের ১৭ গ্রোসভেনর স্কয়ার এবং গ্রেশাম গার্ডেন্সে অবস্থিত সম্পত্তি দুটি ফ্রিজিংয়ের আদেশ সুরক্ষিত করেছে এনসিএ। এর বেশি এখন আর কিছু বলা যাবে না। এফটি জানিয়েছে, এসব সম্পত্তি অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা হয়েছিল বলে নথিতে উঠে এসেছে। এফটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালত থেকে ফ্রিজ বা জব্দের আদেশ হলে কোনো সম্পত্তি বিক্রি বা স্থানান্তর করা যায় না।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনের বরাত দিয়ে এফটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালমান ও শায়ান দুদকের অর্থ আত্মসাতের তদন্তের সন্দেহভাজন। শায়ান ফজলুর রহমানের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘যেকোনো কথিত অন্যায়ে জড়িত থাকার বিষয়টি দৃঢ়ভাবে নাকচ করেছেন আমাদের মক্কেল। যুক্তরাজ্যে যেকোনো তদন্ত হলে অবশ্যই তাতে সহযোগিতা করবেন তিনি। অভিযোগের বিষয়ে শেখ রেহানা ও সালমান এফ রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এফটি।