ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

রাজশাহীতে সঞ্চয়ী হিসাবের ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে উধাও পোস্ট মাস্টার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রাজশাহীতে সঞ্চয়ী হিসাব থেকে ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে উধাও হয়ে গেছেন পোস্ট মাস্টার মকছেদ আলী। এ ঘটনায় রাজশাহীর ডাক বিভাগের পরিদর্শক মজিবুর রহমান থানায় জিডি করেছেন।

তানোর ডিজিটাল পোস্ট অফিসের গ্রাহকের ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন মকছেদ আলী। রাজশাহী ডাক বিভাগের তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এ ঘটনায় দ্বিতীয় দফা তদন্তে নেমেছে সংশ্লিষ্টরা।

রাজশাহী আঞ্চলিক ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল (তদন্ত) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে জানান, গ্রাহকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডাক বিভাগের অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছিল। টাকা গায়েবের বিষয়টির সত্যতা মেলায় মকছেদ আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। টাকা খোয়া যাবার বিষয়টি বহু গ্রাহক জানতেন না। তাই মাইকিং করে সব গ্রাহককে হিসাব বইসহ আসতে বলা হয়েছে।

সোমবার পর্যন্ত ৩৩ লাখ টাকার খোয়া যাবার তথ্য পাওয়া গেছে। আনুমানিক প্রায় অর্ধকোটি টাকার মতো সরিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সব গ্রাহকের হিসাবটা পাওয়া পর সঠিক পরিমাণটা বলা যাবে।

অরুপ কুমার নামে এক গ্রাহকের পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার, পুষ্পা রানীর পাঁচ লাখ, সাবিয়া খাতুনের চার লাখ, কৃষ্ণা রানীর পাঁচ লাখ, রাশেদুলের তিন লাখ, পার্থ দাসের এক লাখ, আঙ্গুরা খাতুনের পাঁচ লাখ, রেজিয়া খাতুনের পাঁচ লাখ টাকাসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার হদিস পেতে কাজ করছে ডাক বিভাগ।

তানোর থানার ওসি আব্দুর রহিম জানান, এ ঘটনায় জিডি হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাজশাহীতে সঞ্চয়ী হিসাবের ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে উধাও পোস্ট মাস্টার

আপডেট সময় : ১০:১৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

 

রাজশাহীতে সঞ্চয়ী হিসাব থেকে ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে উধাও হয়ে গেছেন পোস্ট মাস্টার মকছেদ আলী। এ ঘটনায় রাজশাহীর ডাক বিভাগের পরিদর্শক মজিবুর রহমান থানায় জিডি করেছেন।

তানোর ডিজিটাল পোস্ট অফিসের গ্রাহকের ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন মকছেদ আলী। রাজশাহী ডাক বিভাগের তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এ ঘটনায় দ্বিতীয় দফা তদন্তে নেমেছে সংশ্লিষ্টরা।

রাজশাহী আঞ্চলিক ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল (তদন্ত) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে জানান, গ্রাহকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডাক বিভাগের অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছিল। টাকা গায়েবের বিষয়টির সত্যতা মেলায় মকছেদ আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। টাকা খোয়া যাবার বিষয়টি বহু গ্রাহক জানতেন না। তাই মাইকিং করে সব গ্রাহককে হিসাব বইসহ আসতে বলা হয়েছে।

সোমবার পর্যন্ত ৩৩ লাখ টাকার খোয়া যাবার তথ্য পাওয়া গেছে। আনুমানিক প্রায় অর্ধকোটি টাকার মতো সরিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সব গ্রাহকের হিসাবটা পাওয়া পর সঠিক পরিমাণটা বলা যাবে।

অরুপ কুমার নামে এক গ্রাহকের পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার, পুষ্পা রানীর পাঁচ লাখ, সাবিয়া খাতুনের চার লাখ, কৃষ্ণা রানীর পাঁচ লাখ, রাশেদুলের তিন লাখ, পার্থ দাসের এক লাখ, আঙ্গুরা খাতুনের পাঁচ লাখ, রেজিয়া খাতুনের পাঁচ লাখ টাকাসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার হদিস পেতে কাজ করছে ডাক বিভাগ।

তানোর থানার ওসি আব্দুর রহিম জানান, এ ঘটনায় জিডি হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।