ঢাকা ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ত্রিশালে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই শতাধিক পেঁপে গাছ নিধনের অভিযোগ Logo দাগনভূঞায় সেতু আছে, সড়ক নেই। জনভোগান্তি চরমে Logo বাগেরহাটে জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে Logo নিয়ামতপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক Logo পুষ্টির সচেতনতা বিষয়ক  প্রশিক্ষন কর্মশালা Logo শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ১৫ বছর পর চালু হলো ৩ কেবিন  Logo পাথরঘাটায় প্রবাসী স্ত্রীকে মারধর করে টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, ১৮ লাখ চাঁদা দাবি  Logo নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ Logo মামলার বাদীকে ভয়ভীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo নাটোরে জুঁই হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম, দিল বৈষম্যছাত্র বিরোধী আন্দোলন

রামগতিতে বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে  আ.লীগ নেতার মার্কেট নির্মাণ 

জহির, রামগতি (লক্ষ্মীপুর)
  • আপডেট সময় : ০২:৩৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ ২৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে চরগাজী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আছিয়া মার্কেট সংলগ্ন চরআফজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে   উপজেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম বিপ্লব।বিপ্লব, চরগাজী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মাহফুজুল হক শের আলীর ছেলে এবং  উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ এর ভাতিজা। স্কুলটি তাদের বাড়ীর দরজায় হওয়ায় তিনি প্রভাব বিস্তার করে স্কুলের জায়গায় ৬ টি দোকান নির্মাণ করে। বর্তমানে প্রতি দোকান থেকে ৪ হাজার করে মাসে ২৪ হাজার টাকা ভাড়া উত্তোলন করে। বিগত ৭ বছরে তিনি ২০ লাখ ১৬ হাজার টাকা ভাড়া ভোগ করছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। আছিয়া মার্কেট এলাকার তিনজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে  বলেন, ২০১৮ সালের দিকে দলের প্রভাবে স্কুলের এ জায়গা দখল করে ৬ রুম বিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণ করেন বিপ্লব ও তার ভাই মাহবুবুল আলম রাসেল। এদিকে বিপ্লব ও রাসেল প্রভাবশালী হওয়া তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। অন্যদিকে বিপ্লবের আরেক ভাই মোঃ সোহেল ওই স্কুলের পাশেই জারিরদোনা শাখা খাল দখল করে তিনটি দোকানঘর নির্মাণ করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে সোহেল তার অন্য ভাইদের নিয়ে প্রতিবাদকারীদের অপমান অপদস্ত করার চেষ্টা করে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল আলম বিপ্লব বলেন, স্কুলের সব জায়গা আমরা দিয়েছি। প্রয়োজনে আরও দিবে কিন্তু  এটা নিয়ে হৈ চৈ করার কি আছে। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক সুবির চন্দ্র দে এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে।
 উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু ইউছুফ বলেন, বিদ্যালয়ের জমি দখল করে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রামগতিতে বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে  আ.লীগ নেতার মার্কেট নির্মাণ 

আপডেট সময় : ০২:৩৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে চরগাজী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আছিয়া মার্কেট সংলগ্ন চরআফজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে   উপজেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম বিপ্লব।বিপ্লব, চরগাজী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মাহফুজুল হক শের আলীর ছেলে এবং  উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ এর ভাতিজা। স্কুলটি তাদের বাড়ীর দরজায় হওয়ায় তিনি প্রভাব বিস্তার করে স্কুলের জায়গায় ৬ টি দোকান নির্মাণ করে। বর্তমানে প্রতি দোকান থেকে ৪ হাজার করে মাসে ২৪ হাজার টাকা ভাড়া উত্তোলন করে। বিগত ৭ বছরে তিনি ২০ লাখ ১৬ হাজার টাকা ভাড়া ভোগ করছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। আছিয়া মার্কেট এলাকার তিনজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে  বলেন, ২০১৮ সালের দিকে দলের প্রভাবে স্কুলের এ জায়গা দখল করে ৬ রুম বিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণ করেন বিপ্লব ও তার ভাই মাহবুবুল আলম রাসেল। এদিকে বিপ্লব ও রাসেল প্রভাবশালী হওয়া তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। অন্যদিকে বিপ্লবের আরেক ভাই মোঃ সোহেল ওই স্কুলের পাশেই জারিরদোনা শাখা খাল দখল করে তিনটি দোকানঘর নির্মাণ করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে সোহেল তার অন্য ভাইদের নিয়ে প্রতিবাদকারীদের অপমান অপদস্ত করার চেষ্টা করে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল আলম বিপ্লব বলেন, স্কুলের সব জায়গা আমরা দিয়েছি। প্রয়োজনে আরও দিবে কিন্তু  এটা নিয়ে হৈ চৈ করার কি আছে। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক সুবির চন্দ্র দে এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে।
 উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু ইউছুফ বলেন, বিদ্যালয়ের জমি দখল করে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশনা প্রদান করা হবে।