ঢাকা ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

- হত্যার পর ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানো হয়েছে: আলমগীর কুমকুম

সালমান শাহের মৃত্যুর জন্য সামিরাই দায়ী

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বপ্নের নায়ক সালমান শাহকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। সালমান শাহর মৃত্যুর কারণ তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। সামিরার অনৈতিক কাজ এবং মানসিক নির্যাতন, পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় সামিরা ও তার প্রেমিক এবং স্বজনদের নিয়েপরিকল্পিত ভাবে সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, হত্যার পর ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানো হয়েছে। এ তথ্য দিয়েছেন নিহত স্বপ্নের নায়ক সালমান শাহের মামা চিত্র পরিচালক আলমগীর কুমকুম।
আলমগীর কুমকুমের দাবি, শালমান শাহের মৃত্যুর কারণ হিসেবে তিনি জানান, সামিরার সাথে সম্পর্কিত কিছু রহস্যময় ঘটনার কথা। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট যেসব প্রশ্নের যুক্তিসঙ্গত কোনো উত্তর পাননি তারা।
গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে আলমগীর কুমকুমের দেয়া চাঞ্চল্যকর তথ্যে রয়েছে, মৃত্যুর আগে সালমানের ব্যবহৃত সেলফোনটি কোথায়, তা আজও পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর আগের কয়েক দিনের কলরেকর্ডগুলো তদন্ত করা হয়নি। সালমান শাহর মৃত্যুর পর প্রথম যখন ফ্ল্যাট খোলা হয় তখন ডিবি ডিসি বজলুল করিমসহ ও পুলিশ কর্মকর্তারা ছিলেন। তারা প্রথমে ফাঁসির দড়িটি মাপেন। সালমান শাহ যতটুকু লম্বা এবং ওর গলায় যেখানে ফাঁসির দাগ সে অনুযায়ী ঝোলানো রশি পরিমাপ করে দেখা যায়, সালমান শাহর পা মাটিকে স্পর্শ করে। তাহলে সালমান শাহর মৃত্যু কি ভাবে হয়েছে। কক্ষের জানালার পর্দা ছেঁড়া ও জানালার গ্লাসে কাদের অসংখ্য আঙুলের ছাপ। তা ছাড়া শয়ন কক্ষের বাথরুমে পাওয়া গেছে লক করা একটি স্যুটকেস। তাতে ভেজা কাপড়ের রহস্য কি। ফ্লোরে পাওয়া গেছে ডানহিল সিগারেট। কোনো ভদ্রলোক সিগারেট খেলে সেটি কি তার নিজের ঘরে ফ্লোরে ফেলবে? তা ছাড়া সিগারেট সালমান শাহ খায় না। তাহলে ওই সিগারেট কে এনেছিল এবং পান করেছে কে?। পাশের ফ্ল্যাটের প্রতিবেশি সাক্ষী দিয়েছে, মধ্যরাতে সালমান শাহর ড্রেসিং রুমে মারামারি হয়েছে, তারা জানালা দিয়ে দেখেছে। তবে কাঁচ ঘোলাটে থাকায় স্পষ্ট দেখেননি। তারা মনে করেছেন, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া। অপরদিকে ফ্যানে ঝুলতে দেখে সামিরা বলেছে, সে রশি কেটে সালমানকে নামায়। এরপর তাকে গোসল করায়। তার শরীরে তেল মালিশ করে। ফাঁসি দিলে তো পাশের ফ্ল্যাটের লোকজনদের ডাকার কথা। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করার কথা। তা না করে সালমানকে গোসল করালো। নতুন হাফপ্যান্ট পরানো হলো। এদিকে তাড়াহুড়ায় সে হাফ প্যান্টের স্টিকারও খোলা হয়নি দেখেছিলাম। হাসপাতালে না নিয়ে দুই চারজনকে দিয়ে নিথর শরীরে তেল মালিশ করিয়েছে সামিরা। এসকল তথ্যের উত্তর খুঁজলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। এমনটাই দাবি করেছেন আলমগীর কুমকুম।
অপরদিকে দীর্ঘ ২৯ বছর বাংলা চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুরহস্যের জট খোলেনি। সম্প্রতি অভিনেতা সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলা রূপ নিয়েছে হত্যা মামলায়। এরপরই চলছে পুলিশি তদন্ত। আর এ তদন্তে নায়কের ভাড়া নেয়া ইস্কাটনের সেই ফ্ল্যাটটি পরিদর্শন করেছে রমনা থানা পুলিশ। তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গত রোববার পুলিশ ফোর্স নিয়ে নায়কের বসবাসকৃত ‘ইস্কাটন প্লাজার’ ফ্ল্যাট পরিদর্শন করেন রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক। প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি স্থানের ছবি তোলেন।
পুলিশ জানায়, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্ত্রীকে নিয়ে সালমান শাহ এ ফ্ল্যাটটিতেই ভাড়া থাকতেন। এ ফ্ল্যাটেই জড়িয়ে রয়েছে নায়কের অসংখ্য স্মৃতি। তবে নায়কের মৃত্যুর পর সিলগালা করে দেয়া হয়েছিল ফ্ল্যাটটি। বর্তমানে ফ্ল্যাটের মালিক সেখানে বসবাস করছেন। তদন্তের খাতিরে পরিদর্শন শেষে ফ্ল্যাটের মালিকের সঙ্গেও কথা বলেন ওসি গোলাম ফারুক।
সালমান শাহের স্বজনরা বলেছেন, মৃত্যুর আগে সালমান শাহর ব্যবহৃত মোবাইলটি আজও পাওয়া যায়নি। প্রয়াত নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর কারণ নিয়ে দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে বিতর্ক চলেছে। অভিনেতার মৃত্যুকে সাবেক স্ত্রী সামিরা হক আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও পরিবারের দাবি এটি একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড। কারণ নায়কের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একাধিক রহস্যময় প্রশ্ন।
স্বজনদের অভিযোগ, পরিবারের কেউ মারা গেলে পুলিশ মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পরিবারের সদস্যদের জেরা করে। প্রয়োজনে রিমান্ডে নেবে। এটাই আইনি প্রক্রিয়া। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো সালমানের হঠাৎ মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হয়। এ কারণে বাড়ির ৪ জনের কাউকেই (দুই গৃহকর্মী ডলি ও মনোয়ারা, কাজের লোক আবুল, স্ত্রী সামিরা) থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। প্রথম পর্যায়ে এ মামলা তদন্তে তৎকালিন পুলিশের গাফিলতির প্রমান রয়েছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার একটি ফ্ল্যাটে মারা যান ঢালিউডের ‘স্বপ্নের নায়ক’ খ্যাত সালমান শাহ। তার মৃত্যুকে স্ত্রী সামিরা হক আত্মহত্যা দাবি করলেও নায়কের মা, বাবা ও পুরো পরিবারের দাবি এটি একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
দীর্ঘ ২৯ বছর মামলা চলমান থাকার পর অভিনেতার মৃত্যুরহস্য জানতে সম্প্রতি সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলাটি রূপ নিয়েছে হত্যা মামলায়। এ হত্যা মামলায় সর্বমোট ১১ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যার প্রধান আসামি নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। অন্য ১০ আসামি হলেন প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রেজভী আহমেদ ফরহাদ। সংশ্লিষ্ট ১১ জনের বিরুদ্ধে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ প্রতিবেদনে নায়কের অকাল মৃত্যুর রহস্যের জট খুলবে এমনটাই প্রত্যাশা সালমান ভক্তদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

- হত্যার পর ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানো হয়েছে: আলমগীর কুমকুম

সালমান শাহের মৃত্যুর জন্য সামিরাই দায়ী

আপডেট সময় :

স্বপ্নের নায়ক সালমান শাহকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। সালমান শাহর মৃত্যুর কারণ তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। সামিরার অনৈতিক কাজ এবং মানসিক নির্যাতন, পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় সামিরা ও তার প্রেমিক এবং স্বজনদের নিয়েপরিকল্পিত ভাবে সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, হত্যার পর ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানো হয়েছে। এ তথ্য দিয়েছেন নিহত স্বপ্নের নায়ক সালমান শাহের মামা চিত্র পরিচালক আলমগীর কুমকুম।
আলমগীর কুমকুমের দাবি, শালমান শাহের মৃত্যুর কারণ হিসেবে তিনি জানান, সামিরার সাথে সম্পর্কিত কিছু রহস্যময় ঘটনার কথা। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট যেসব প্রশ্নের যুক্তিসঙ্গত কোনো উত্তর পাননি তারা।
গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে আলমগীর কুমকুমের দেয়া চাঞ্চল্যকর তথ্যে রয়েছে, মৃত্যুর আগে সালমানের ব্যবহৃত সেলফোনটি কোথায়, তা আজও পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর আগের কয়েক দিনের কলরেকর্ডগুলো তদন্ত করা হয়নি। সালমান শাহর মৃত্যুর পর প্রথম যখন ফ্ল্যাট খোলা হয় তখন ডিবি ডিসি বজলুল করিমসহ ও পুলিশ কর্মকর্তারা ছিলেন। তারা প্রথমে ফাঁসির দড়িটি মাপেন। সালমান শাহ যতটুকু লম্বা এবং ওর গলায় যেখানে ফাঁসির দাগ সে অনুযায়ী ঝোলানো রশি পরিমাপ করে দেখা যায়, সালমান শাহর পা মাটিকে স্পর্শ করে। তাহলে সালমান শাহর মৃত্যু কি ভাবে হয়েছে। কক্ষের জানালার পর্দা ছেঁড়া ও জানালার গ্লাসে কাদের অসংখ্য আঙুলের ছাপ। তা ছাড়া শয়ন কক্ষের বাথরুমে পাওয়া গেছে লক করা একটি স্যুটকেস। তাতে ভেজা কাপড়ের রহস্য কি। ফ্লোরে পাওয়া গেছে ডানহিল সিগারেট। কোনো ভদ্রলোক সিগারেট খেলে সেটি কি তার নিজের ঘরে ফ্লোরে ফেলবে? তা ছাড়া সিগারেট সালমান শাহ খায় না। তাহলে ওই সিগারেট কে এনেছিল এবং পান করেছে কে?। পাশের ফ্ল্যাটের প্রতিবেশি সাক্ষী দিয়েছে, মধ্যরাতে সালমান শাহর ড্রেসিং রুমে মারামারি হয়েছে, তারা জানালা দিয়ে দেখেছে। তবে কাঁচ ঘোলাটে থাকায় স্পষ্ট দেখেননি। তারা মনে করেছেন, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া। অপরদিকে ফ্যানে ঝুলতে দেখে সামিরা বলেছে, সে রশি কেটে সালমানকে নামায়। এরপর তাকে গোসল করায়। তার শরীরে তেল মালিশ করে। ফাঁসি দিলে তো পাশের ফ্ল্যাটের লোকজনদের ডাকার কথা। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করার কথা। তা না করে সালমানকে গোসল করালো। নতুন হাফপ্যান্ট পরানো হলো। এদিকে তাড়াহুড়ায় সে হাফ প্যান্টের স্টিকারও খোলা হয়নি দেখেছিলাম। হাসপাতালে না নিয়ে দুই চারজনকে দিয়ে নিথর শরীরে তেল মালিশ করিয়েছে সামিরা। এসকল তথ্যের উত্তর খুঁজলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। এমনটাই দাবি করেছেন আলমগীর কুমকুম।
অপরদিকে দীর্ঘ ২৯ বছর বাংলা চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুরহস্যের জট খোলেনি। সম্প্রতি অভিনেতা সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলা রূপ নিয়েছে হত্যা মামলায়। এরপরই চলছে পুলিশি তদন্ত। আর এ তদন্তে নায়কের ভাড়া নেয়া ইস্কাটনের সেই ফ্ল্যাটটি পরিদর্শন করেছে রমনা থানা পুলিশ। তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গত রোববার পুলিশ ফোর্স নিয়ে নায়কের বসবাসকৃত ‘ইস্কাটন প্লাজার’ ফ্ল্যাট পরিদর্শন করেন রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক। প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি স্থানের ছবি তোলেন।
পুলিশ জানায়, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্ত্রীকে নিয়ে সালমান শাহ এ ফ্ল্যাটটিতেই ভাড়া থাকতেন। এ ফ্ল্যাটেই জড়িয়ে রয়েছে নায়কের অসংখ্য স্মৃতি। তবে নায়কের মৃত্যুর পর সিলগালা করে দেয়া হয়েছিল ফ্ল্যাটটি। বর্তমানে ফ্ল্যাটের মালিক সেখানে বসবাস করছেন। তদন্তের খাতিরে পরিদর্শন শেষে ফ্ল্যাটের মালিকের সঙ্গেও কথা বলেন ওসি গোলাম ফারুক।
সালমান শাহের স্বজনরা বলেছেন, মৃত্যুর আগে সালমান শাহর ব্যবহৃত মোবাইলটি আজও পাওয়া যায়নি। প্রয়াত নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর কারণ নিয়ে দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে বিতর্ক চলেছে। অভিনেতার মৃত্যুকে সাবেক স্ত্রী সামিরা হক আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও পরিবারের দাবি এটি একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড। কারণ নায়কের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একাধিক রহস্যময় প্রশ্ন।
স্বজনদের অভিযোগ, পরিবারের কেউ মারা গেলে পুলিশ মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পরিবারের সদস্যদের জেরা করে। প্রয়োজনে রিমান্ডে নেবে। এটাই আইনি প্রক্রিয়া। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো সালমানের হঠাৎ মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হয়। এ কারণে বাড়ির ৪ জনের কাউকেই (দুই গৃহকর্মী ডলি ও মনোয়ারা, কাজের লোক আবুল, স্ত্রী সামিরা) থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। প্রথম পর্যায়ে এ মামলা তদন্তে তৎকালিন পুলিশের গাফিলতির প্রমান রয়েছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার একটি ফ্ল্যাটে মারা যান ঢালিউডের ‘স্বপ্নের নায়ক’ খ্যাত সালমান শাহ। তার মৃত্যুকে স্ত্রী সামিরা হক আত্মহত্যা দাবি করলেও নায়কের মা, বাবা ও পুরো পরিবারের দাবি এটি একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
দীর্ঘ ২৯ বছর মামলা চলমান থাকার পর অভিনেতার মৃত্যুরহস্য জানতে সম্প্রতি সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলাটি রূপ নিয়েছে হত্যা মামলায়। এ হত্যা মামলায় সর্বমোট ১১ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যার প্রধান আসামি নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। অন্য ১০ আসামি হলেন প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রেজভী আহমেদ ফরহাদ। সংশ্লিষ্ট ১১ জনের বিরুদ্ধে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ প্রতিবেদনে নায়কের অকাল মৃত্যুর রহস্যের জট খুলবে এমনটাই প্রত্যাশা সালমান ভক্তদের।