ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সীমান্তে  হত্যাকান্ড চায় না বাংলাদেশ

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ৯৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে কোনও ধরনের হত্যাকান্ড চায় না বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই সীমান্তে এ ধরনের কোনও ঘটনা যেন না ঘটে। সরকারের পক্ষ থেকে বিজিবির মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং সীমান্ত বৈঠক হয়েছে।

অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি জানান, ২৫ মার্চ লালমনিরহাটে কিছু বাংলাদেশি কাঁটাতারের বেড়া কেটে ওপারে যায়। বিএসএফের ভাষ্য হচ্ছে, তারা যখন চ্যালেঞ্জ করে তখন তারা (অনুপ্রবেশকারীরা) সংখ্যায় অনেক বেশি ছিল এবং তারা বিএসএফকে ঘেরাও করে। তখন বিএসএফ গুলি ছোড়ে এবং দুই জন আহত হয়।

আহত এক বাংলাদেশি এপাশে চলে আসে। অপরজনকে আহত অবস্থায় ওপারে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। অপর ঘটনায় নওগাঁ সীমান্তে ২৬ মার্চ একই ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে ঘটেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং সীমান্ত বৈঠক হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমরা অনেক দিন ধরে আলাপ-আলোচনা করছি। আমি যখন সম্প্রতি ভারত সফরে গিয়েছিলাম তখনও গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি, যাতে সীমান্তে নন-লিথাল (প্রাণঘাতী নয় এমন) অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।

এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। সে কারণে রাবার বুলেট বা ছররা গুলিতে অনেকে আহত হন এবং তারা বাংলাদেশে চলে আসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সীমান্তে  হত্যাকান্ড চায় না বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

 

সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে কোনও ধরনের হত্যাকান্ড চায় না বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই সীমান্তে এ ধরনের কোনও ঘটনা যেন না ঘটে। সরকারের পক্ষ থেকে বিজিবির মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং সীমান্ত বৈঠক হয়েছে।

অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি জানান, ২৫ মার্চ লালমনিরহাটে কিছু বাংলাদেশি কাঁটাতারের বেড়া কেটে ওপারে যায়। বিএসএফের ভাষ্য হচ্ছে, তারা যখন চ্যালেঞ্জ করে তখন তারা (অনুপ্রবেশকারীরা) সংখ্যায় অনেক বেশি ছিল এবং তারা বিএসএফকে ঘেরাও করে। তখন বিএসএফ গুলি ছোড়ে এবং দুই জন আহত হয়।

আহত এক বাংলাদেশি এপাশে চলে আসে। অপরজনকে আহত অবস্থায় ওপারে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। অপর ঘটনায় নওগাঁ সীমান্তে ২৬ মার্চ একই ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে ঘটেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং সীমান্ত বৈঠক হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমরা অনেক দিন ধরে আলাপ-আলোচনা করছি। আমি যখন সম্প্রতি ভারত সফরে গিয়েছিলাম তখনও গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি, যাতে সীমান্তে নন-লিথাল (প্রাণঘাতী নয় এমন) অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।

এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। সে কারণে রাবার বুলেট বা ছররা গুলিতে অনেকে আহত হন এবং তারা বাংলাদেশে চলে আসেন।