ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে গণভবন

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪ ২৫০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এক বিকেল ও এক রাত সাধারণ মানুষ ও সুযোগ সন্ধানীদের দখলে ছিল গণভবন। লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর বর্তমানে তা সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

শত শত উৎসুক জনতা এখনো গণভবনের সামনে জড়ো হলেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাতেও অনেক মানুষ গণভবনে ছিল। ভোর ৬টায় গণভবন নিয়ন্ত্রণে নেন তারা। এর আগে উৎসুক জনতাকে গণভবনের ভেতর থেকে বের করা হয়।

এদিন সকালেও ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে তখনও গণভবনে আসছেন উৎসুক জনতা। তারা গণভবনের গেট ও আশপাশে অবস্থান করছেন। শত মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে সংসদ ভবন ও গণভবনের মাঝের রাস্তায়ও। অনেকে দেয়ালের ওপর উঠে ভেতরে দেখছেন, ছবি তুলছেন। গণভবন দেখতে আসাদের তালিকায় আছে নারী ও শিশুও।

তবে গণভবনের গেট ও ভাঙা দেয়ালের স্থানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়ে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না।

এর মধ্যে গণভবনের গেটের সামনে ভ্যানে করে সিঙ্গারাও বিক্রি করতে দেখা যায় এক বিক্রেতাকে।

জসিম উদ্দিন নামের এক উৎসুক জনতা বলেন, গতকাল টিভিতে গণভবনে মানুষের উচ্ছ্বাস দেখেছি। গতকাল আসতে পারিনি। তাই আজ সকাল সকাল চলে এলাম গণভবন দেখতে। কিন্তু ভেতরে কাউকে যেতে দিচ্ছে না।

এর আগে সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার পর বিকেলে লাখ লাখ জনতা গণভবনে প্রবেশ করেন। রাতেও অনেকে সেখানে অবস্থান করেন। লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় গণভবনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে গণভবন

আপডেট সময় : ০১:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪

 

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এক বিকেল ও এক রাত সাধারণ মানুষ ও সুযোগ সন্ধানীদের দখলে ছিল গণভবন। লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর বর্তমানে তা সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

শত শত উৎসুক জনতা এখনো গণভবনের সামনে জড়ো হলেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাতেও অনেক মানুষ গণভবনে ছিল। ভোর ৬টায় গণভবন নিয়ন্ত্রণে নেন তারা। এর আগে উৎসুক জনতাকে গণভবনের ভেতর থেকে বের করা হয়।

এদিন সকালেও ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে তখনও গণভবনে আসছেন উৎসুক জনতা। তারা গণভবনের গেট ও আশপাশে অবস্থান করছেন। শত মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে সংসদ ভবন ও গণভবনের মাঝের রাস্তায়ও। অনেকে দেয়ালের ওপর উঠে ভেতরে দেখছেন, ছবি তুলছেন। গণভবন দেখতে আসাদের তালিকায় আছে নারী ও শিশুও।

তবে গণভবনের গেট ও ভাঙা দেয়ালের স্থানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়ে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না।

এর মধ্যে গণভবনের গেটের সামনে ভ্যানে করে সিঙ্গারাও বিক্রি করতে দেখা যায় এক বিক্রেতাকে।

জসিম উদ্দিন নামের এক উৎসুক জনতা বলেন, গতকাল টিভিতে গণভবনে মানুষের উচ্ছ্বাস দেখেছি। গতকাল আসতে পারিনি। তাই আজ সকাল সকাল চলে এলাম গণভবন দেখতে। কিন্তু ভেতরে কাউকে যেতে দিচ্ছে না।

এর আগে সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার পর বিকেলে লাখ লাখ জনতা গণভবনে প্রবেশ করেন। রাতেও অনেকে সেখানে অবস্থান করেন। লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় গণভবনে।