ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ছাড়া কোন কোম্পানি টিকে থাকতে পারে না’

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ছাড়া কোন কোম্পানি টিকে থাকতে পারে না। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এই স্বচ্ছতা ও জবাবাদিহিতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থা, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনায় জড়িত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি সকলেরই। পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও পপুলার লাইফের স্বপ্নদ্রষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বি এম ইউসুফ আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা শুধু নৈতিক প্রশ্ন নয়- এটি প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকা ও দীর্ঘমেয়াদি সফলতার মৌলিক ভিত্তি। তার ভাষায়, যে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ শাসনব্যবস্থা স্বচ্ছ হবে এবং যেখানে সঠিক জবাবদিহিতা থাকবে, সেই প্রতিষ্ঠান যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। তিনি পপুলার লাইফের ব্যবস্থাপনা টিমের প্রশংসা করে বলেন, পেশাদারিত্ব ও গ্রাহকের স্বার্থকে মূল্য দেয়ার যে ধারাবাহিকতা তারা বজায় রেখেছেন, তা প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের শীর্ষ বীমা কোম্পানির কাতারে পৌঁছে দিয়েছে।
দেশের বীমা খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, দেশে এখনও বেশ কিছু বীমা কোম্পানি গ্রাহকের দাবি যথাসময়ে পরিশোধ করতে পারছে না, যা মানুষের আস্থা নষ্ট করে। অথচ বীমার মূল শক্তি হলো নির্ভরযোগ্যতা- গ্রাহকের সঙ্কটে পাশে দাঁড়ানো। তিনি বলেন, এই খাতের সার্বিক উন্নয়নের জন্য শক্তিশালী রেগুলেটরি রিফর্ম জরুরি; নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পর্যন্ত সবার মধ্যে উচ্চমানের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের আর্থিক ব্যবস্থায় দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করে স্বচ্ছ একটি পরিবেশ তৈরি হলে বীমা খাতের কার্যকারিতা আরও বাড়বে বলে তিনি মত দেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিগত ২৫ বছর ধরে গ্রাহকের আস্থা ও সেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছে পপুলার লাইফ। একটি প্রতিষ্ঠান তখনই এগিয়ে যায় যখন তার কর্মকর্তা-কর্মচারি, এজেন্ট, পরিচালনা পর্ষদ ও গ্রাহকেরা একসঙ্গে কাজ করে। ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় খুব দ্রুতই পপুলার লাইফ দেশের শীর্ষস্থানে অধিষ্ঠিত হতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম ইউসুফ আলী বলেন, পপুলার লাইফ শুধু একটি বীমা প্রতিষ্ঠান নয়- এটি দেশের সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। গত দুই দশকে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে, যা শুধু আর্থিক নয় সামগ্রিক সামাজিক স্থিতিশীলতাতেও ভূমিকা রাখছে। তিনি উল্লেখ করেন, কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে ক্রেডিট রেটিংয়ের ক্ষেত্রে ‘AAA’ অবস্থান ধরে রেখেছে, যা তাদের আর্থিক শক্তি এবং গ্রাহকের দাবি পরিশোধের সক্ষমতার দৃঢ় প্রমাণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ছাড়া কোন কোম্পানি টিকে থাকতে পারে না’

আপডেট সময় :

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ছাড়া কোন কোম্পানি টিকে থাকতে পারে না। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এই স্বচ্ছতা ও জবাবাদিহিতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থা, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনায় জড়িত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি সকলেরই। পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও পপুলার লাইফের স্বপ্নদ্রষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বি এম ইউসুফ আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা শুধু নৈতিক প্রশ্ন নয়- এটি প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকা ও দীর্ঘমেয়াদি সফলতার মৌলিক ভিত্তি। তার ভাষায়, যে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ শাসনব্যবস্থা স্বচ্ছ হবে এবং যেখানে সঠিক জবাবদিহিতা থাকবে, সেই প্রতিষ্ঠান যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। তিনি পপুলার লাইফের ব্যবস্থাপনা টিমের প্রশংসা করে বলেন, পেশাদারিত্ব ও গ্রাহকের স্বার্থকে মূল্য দেয়ার যে ধারাবাহিকতা তারা বজায় রেখেছেন, তা প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের শীর্ষ বীমা কোম্পানির কাতারে পৌঁছে দিয়েছে।
দেশের বীমা খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, দেশে এখনও বেশ কিছু বীমা কোম্পানি গ্রাহকের দাবি যথাসময়ে পরিশোধ করতে পারছে না, যা মানুষের আস্থা নষ্ট করে। অথচ বীমার মূল শক্তি হলো নির্ভরযোগ্যতা- গ্রাহকের সঙ্কটে পাশে দাঁড়ানো। তিনি বলেন, এই খাতের সার্বিক উন্নয়নের জন্য শক্তিশালী রেগুলেটরি রিফর্ম জরুরি; নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পর্যন্ত সবার মধ্যে উচ্চমানের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের আর্থিক ব্যবস্থায় দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করে স্বচ্ছ একটি পরিবেশ তৈরি হলে বীমা খাতের কার্যকারিতা আরও বাড়বে বলে তিনি মত দেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিগত ২৫ বছর ধরে গ্রাহকের আস্থা ও সেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছে পপুলার লাইফ। একটি প্রতিষ্ঠান তখনই এগিয়ে যায় যখন তার কর্মকর্তা-কর্মচারি, এজেন্ট, পরিচালনা পর্ষদ ও গ্রাহকেরা একসঙ্গে কাজ করে। ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় খুব দ্রুতই পপুলার লাইফ দেশের শীর্ষস্থানে অধিষ্ঠিত হতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম ইউসুফ আলী বলেন, পপুলার লাইফ শুধু একটি বীমা প্রতিষ্ঠান নয়- এটি দেশের সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। গত দুই দশকে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে, যা শুধু আর্থিক নয় সামগ্রিক সামাজিক স্থিতিশীলতাতেও ভূমিকা রাখছে। তিনি উল্লেখ করেন, কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে ক্রেডিট রেটিংয়ের ক্ষেত্রে ‘AAA’ অবস্থান ধরে রেখেছে, যা তাদের আর্থিক শক্তি এবং গ্রাহকের দাবি পরিশোধের সক্ষমতার দৃঢ় প্রমাণ।