ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আগামী ২৮শে মার্চ বেইজিংয়ে শির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস Logo শ্রীপুরে আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, ধর্ষণে অভিযুক্তের বাড়িতে জনতার আগুন Logo তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo ডামুড্যায় জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা ইসির অধীনে রাখতে মানববন্ধন Logo সব সাংবাদিক আমার কাছে সমান, কোন অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয়া হবে না : চকরিয়ার নবাগত ওসি Logo ময়মনসিংহে মিশুক চালকের মরদেহ উদ্ধার Logo নাটোরে আদিবাসীদের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo না ফেরার দেশে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু Logo ত্রিশালে নির্বাচন অফিসের মানববন্ধন  অবস্থান কর্মসূচি   Logo এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে নরসিংদীতে মানববন্ধন

ফেরেনি শতাধিক জেলেসহ ছয় ট্রলার, সাগরে নিখোঁজ ২৭

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:০৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় শতাধিক জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নোয়াখালীর হাতিয়ার ২৭ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ জেলেদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এখনো ঘাটে ফিরেনি শতাধিক জেলেসহ ৬টি ট্রলার। এসব ট্রলারের সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তবে যোগাযোগে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এসব ট্রলার নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মালিকরা। উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, ঘাটের আড়ৎদার ও ট্রলার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

হাতিয়া আমতলী ঘাটের মাছের আড়তের মালিক দুলাল উদ্দিন জানান, নিখোঁজ ২৭ জেলের মধ্যে আমতলি ঘাটের কামরু মাঝির ট্রলারের ১৫ জন। এই ট্রলারের ১৭ জনের মধ্যে দুজনকে কক্সবাজারের একটি ট্রলার উদ্ধার করেছে। পরে কক্সবাজার থেকে উদ্ধার হওয়া জেলেরা মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

একই ঘাটের রহিম মাঝির ট্রলারের ১২জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। ওই ট্রলারের ১৪ মাঝি মাল্লার মধ্যে দুজনকে নিঝুমদ্বীপের একটি ট্রলার উদ্ধার করে তীরে নিয়ে যান।

দুলাল উদ্দিন আরও জানান, একই ঘাটের মেরাজ মাঝির একটি ট্রলার ডুবে গেলে ১৭ মাঝি মাল্লা সবাইকে স্থানীয় অন্য একটি ট্রলার উদ্ধার করে তীরে নিয়ে যান। এই তিনটি ট্রলার তার আড়তে মাছ বিক্রির জন্য আসে।
জাহাজমারার ট্রলার মালিক লুৎফুল্লাহিল নিশান জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শনিবার বিকেল পর্যন্ত ৬টি ট্রলার ঘাটে ফিরে আসেনি। এরমধ্যে নিঝুমদ্বীপের ৪টি ও জাহাজমারা কাটাখালী ঘাটের দুটি ট্রলার এখনো ঘাটে ফেরেনি। এসব  ট্রলারের সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।

তিনি আরও জানান, ঘাটে ফিরে আসা অন্যান্য ট্রলারের মাঝি মাল্লারা এসব ট্রলার সাগরে দেখেননি। এতে এসব ট্রলারের বর্তমান কী অবস্থা, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মালিকরা। এই ৬টি ট্রলারে প্রায় ১০০ মাঝি মাল্লা রয়েছে।

তবে ট্রলারডুবির ঘটনায় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান।
তিনি জানান, গত দুদিনে হাতিয়ার বিভিন্ন ঘাটে ও নদীর তীরে ছোট বড় ২৯টি ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ ট্রলারের মাঝি-মাল্লারা সাঁতরে ও অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় তীরে উঠে আসেন। তবে এসব ঘটনায় নিঝুমদ্বীপের একজন এবং আমতলী ঘাটের চারজন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে তার কাছে তথ্য রয়েছে। এ ছাড়া অন্যরা উদ্ধার হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিল্টন চাকমা জানান, নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড কাজ করছে। এরই মধ্যে অনেক জেলে ফিরে এসেছেন। তবে এখনো নিঝুমদ্বীপের একজন এবং আমতলী ঘাটের চারজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।  সাগর উত্তাল থাকায় উদ্ধার অভিযান করা যাচ্ছে না। তবে স্থানীয়ভাবে ট্রলার মালিকরাও উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফেরেনি শতাধিক জেলেসহ ছয় ট্রলার, সাগরে নিখোঁজ ২৭

আপডেট সময় : ০৩:০৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় শতাধিক জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নোয়াখালীর হাতিয়ার ২৭ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ জেলেদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এখনো ঘাটে ফিরেনি শতাধিক জেলেসহ ৬টি ট্রলার। এসব ট্রলারের সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তবে যোগাযোগে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এসব ট্রলার নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মালিকরা। উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, ঘাটের আড়ৎদার ও ট্রলার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

হাতিয়া আমতলী ঘাটের মাছের আড়তের মালিক দুলাল উদ্দিন জানান, নিখোঁজ ২৭ জেলের মধ্যে আমতলি ঘাটের কামরু মাঝির ট্রলারের ১৫ জন। এই ট্রলারের ১৭ জনের মধ্যে দুজনকে কক্সবাজারের একটি ট্রলার উদ্ধার করেছে। পরে কক্সবাজার থেকে উদ্ধার হওয়া জেলেরা মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

একই ঘাটের রহিম মাঝির ট্রলারের ১২জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। ওই ট্রলারের ১৪ মাঝি মাল্লার মধ্যে দুজনকে নিঝুমদ্বীপের একটি ট্রলার উদ্ধার করে তীরে নিয়ে যান।

দুলাল উদ্দিন আরও জানান, একই ঘাটের মেরাজ মাঝির একটি ট্রলার ডুবে গেলে ১৭ মাঝি মাল্লা সবাইকে স্থানীয় অন্য একটি ট্রলার উদ্ধার করে তীরে নিয়ে যান। এই তিনটি ট্রলার তার আড়তে মাছ বিক্রির জন্য আসে।
জাহাজমারার ট্রলার মালিক লুৎফুল্লাহিল নিশান জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শনিবার বিকেল পর্যন্ত ৬টি ট্রলার ঘাটে ফিরে আসেনি। এরমধ্যে নিঝুমদ্বীপের ৪টি ও জাহাজমারা কাটাখালী ঘাটের দুটি ট্রলার এখনো ঘাটে ফেরেনি। এসব  ট্রলারের সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।

তিনি আরও জানান, ঘাটে ফিরে আসা অন্যান্য ট্রলারের মাঝি মাল্লারা এসব ট্রলার সাগরে দেখেননি। এতে এসব ট্রলারের বর্তমান কী অবস্থা, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মালিকরা। এই ৬টি ট্রলারে প্রায় ১০০ মাঝি মাল্লা রয়েছে।

তবে ট্রলারডুবির ঘটনায় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান।
তিনি জানান, গত দুদিনে হাতিয়ার বিভিন্ন ঘাটে ও নদীর তীরে ছোট বড় ২৯টি ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ ট্রলারের মাঝি-মাল্লারা সাঁতরে ও অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় তীরে উঠে আসেন। তবে এসব ঘটনায় নিঝুমদ্বীপের একজন এবং আমতলী ঘাটের চারজন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে তার কাছে তথ্য রয়েছে। এ ছাড়া অন্যরা উদ্ধার হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিল্টন চাকমা জানান, নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড কাজ করছে। এরই মধ্যে অনেক জেলে ফিরে এসেছেন। তবে এখনো নিঝুমদ্বীপের একজন এবং আমতলী ঘাটের চারজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।  সাগর উত্তাল থাকায় উদ্ধার অভিযান করা যাচ্ছে না। তবে স্থানীয়ভাবে ট্রলার মালিকরাও উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।