নাটোরে চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার সহ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার মারুফাত হোসাইন। পুলিশ সুপার প্রেস বিফিংয়ে জানান, নাটোর থানার বনবেলঘড়িয়া বাইপাস শান্তি ফিলিং স্টেশনের সামনে নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপন করে নীল রংয়ের একটি পিকআপ গাড়ীকে থামানোর জন্য সংকেত দিলে পিকআপ গাড়িটি গতি কমানোর সাথে সাথে উক্ত গাড়িতে থাকা সাতজন চোর চক্রের সদস্য গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর কালে ঘটনাস্থল হতে ০৭ জনকে ধরা হয়।

এ ঘটনায় আটঘরিয়া হায়দারপুর নতুনপাড়া এলাকার মৃত বেলাল মৃধার ছেলে মাহতাব মৃধা, একই এলাকার মৃত বেলাল মেধার ছেলে মোবারক হোসেন, পাবনা সদর থানার দক্ষিণ মাসুমপুর এলাকার আব্বাস আকবর আলীর ছেলে লিটন ড্রাইভার, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার উত্তর চন্দনগাতী এলাকার হামিদ শেখের ছেলে হাফিজুর রহমান, পাবনা চাটমোহর খৈরাস গ্রামের শাহজাহান মৃধার ছেলে আলতাফ মৃধা,গাজীপুরের জয়দেবপুর চানমিয়া বেপারীর ছেলে জামির হোসেন, পাবনা কামারগাঁ মালঞ্চী এলাকার নবাব আলীর ছেলে হেলাল। তাদের কাছ থেকে ৪ টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের ৭ টি তামার কয়েল, ১ টি হলুদ রংয়ের কাটার,১ টি প্লাষ্টিকের পাইপ (যা বৈদ্যুতিক ফেইজ ফেলার কাজে ব্যবহৃত), ২টি লোহার রড, বৈদ্যুতিক তার (লাল ও কাল রং) ১২ (বার) গজ, নাইলনের (লাল ও সাদা রং) ০২ টি রশি, ১ টি নীল রংয়ের পিকআপ আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়। এ সময় প্রেস বিপিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইমস ও অপস) একরামুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাটোর সদর সার্কেল মাহমুদা শারমিন নেলী লালপুর থানা ওসি নুরুজ্জামান সহ আরো অনেকে গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।