ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নাটোরে ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে  জেলা যুবদলের বর্ণাঢ্য র‍্যালি Logo কুড়িগ্রামে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাগেরহাটে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালী Logo মনোহরগঞ্জে পরিবেশ দূষণে প্রস্তুত হচ্ছে অবৈধ ইটভাটা Logo বেনাপোলে নিখোঁজের দুই দিন পর ডোবায় মিলল যুবকের মরদেহ Logo রামুতে ৯২০০ পিস বার্মিজ ইয়াবাসহ একজন আটক Logo জয়পুরহাটে সফল পোল্ট্রি উদ্যোক্তা টুকু-কর্মসংস্থান শতাধিক Logo বগুড়ায় বাপা জেলা শাখার নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক Logo এনসিপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারী ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে: সারজিস Logo কুড়িগ্রামে চোরাকারবারিদের হামলায় চার বিজিবি সদস্য আহত

ময়মনসিংহে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা

পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীর আমৃত্যু কারাদন্ড

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২৭৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় স্বামীকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীর আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ময়মনসিংহ পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলী মনসুর এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হাফিজা খাতুন (৪২) ও তার পরকীয়া প্রেমিক আবদ্ল্লুাহ আল মাসুম (৩৬)। আমৃত্যু কারাদন্ড দেওয়ার পাশাপাশি দুজনকে ১ লাখ টাকা করে অর্থদন্ডও দেওয়া হয়েছে। মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর আসামী মো. আরমান মামলার স্বাক্ষ্য চলাকালে মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। পলাতক থাকায় আবদুল্লাহ আল মাসুমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

আদালত ও মামলার নথির বরাত দিয়ে সহকারী সরকারি আইন কর্মকর্তা (এপিপি) মো: শামীম উল আজম খান জানান, ২০১১ সালের ২৮ জুন খুন হয় মুক্তাগাছা উপজেলার ভাবকীর মোড় এলাকার দুবাই প্রবাসী হেলাল উদ্দিন। হাফিজা খাতুন তার প্রবাস ফেরত স্বামীকে হত্যার জন্য সদর উপজেলার চরঘাগড়া গ্রামের আবদুল্লাহ আল মাসুমকে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে ঘুম পাড়ান স্ত্রী হাফিজা খাতুন। তারপর মাসুম ও তার এক সহযোগী বাড়িতে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে হেলাল উদ্দিনকে। পরে এ ঘটনাকে ডাকাতির নাটক সাজিয়েছিলেন তারা।

ঘটনার পরদিন নিহত হেলাল উদ্দিনের বোন সাফিয়া আক্তার বাদি হয়ে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ হাফিজা খাতুন, তার পরকীয়া প্রেমিক আবদুল্লাহ আল মাসুম এবং মো. আরমানসহ তিনজনের নামে আদালতে চার্জশিট দেয়। মামলায় আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাজেদুর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সহকারী সরকারি আইন কর্মকর্তা (এপিপি) মো. শামীম উল আজম খান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ময়মনসিংহে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা

পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীর আমৃত্যু কারাদন্ড

আপডেট সময় :

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় স্বামীকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীর আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ময়মনসিংহ পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলী মনসুর এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হাফিজা খাতুন (৪২) ও তার পরকীয়া প্রেমিক আবদ্ল্লুাহ আল মাসুম (৩৬)। আমৃত্যু কারাদন্ড দেওয়ার পাশাপাশি দুজনকে ১ লাখ টাকা করে অর্থদন্ডও দেওয়া হয়েছে। মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর আসামী মো. আরমান মামলার স্বাক্ষ্য চলাকালে মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। পলাতক থাকায় আবদুল্লাহ আল মাসুমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

আদালত ও মামলার নথির বরাত দিয়ে সহকারী সরকারি আইন কর্মকর্তা (এপিপি) মো: শামীম উল আজম খান জানান, ২০১১ সালের ২৮ জুন খুন হয় মুক্তাগাছা উপজেলার ভাবকীর মোড় এলাকার দুবাই প্রবাসী হেলাল উদ্দিন। হাফিজা খাতুন তার প্রবাস ফেরত স্বামীকে হত্যার জন্য সদর উপজেলার চরঘাগড়া গ্রামের আবদুল্লাহ আল মাসুমকে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে ঘুম পাড়ান স্ত্রী হাফিজা খাতুন। তারপর মাসুম ও তার এক সহযোগী বাড়িতে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে হেলাল উদ্দিনকে। পরে এ ঘটনাকে ডাকাতির নাটক সাজিয়েছিলেন তারা।

ঘটনার পরদিন নিহত হেলাল উদ্দিনের বোন সাফিয়া আক্তার বাদি হয়ে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ হাফিজা খাতুন, তার পরকীয়া প্রেমিক আবদুল্লাহ আল মাসুম এবং মো. আরমানসহ তিনজনের নামে আদালতে চার্জশিট দেয়। মামলায় আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাজেদুর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সহকারী সরকারি আইন কর্মকর্তা (এপিপি) মো. শামীম উল আজম খান।