কালকিনিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, দুদকের অভিযান পরিচালনা

- আপডেট সময় : ০৫:০৮:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫ ৩২ বার পড়া হয়েছে
মাদারীপুরের কালকিনিতে উত্তর রমজানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
আজ বুধবার ১১ টা থেকে ১২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সংক্রান্ত নানা অনিয়ম ধরা পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায় যে, ২০১৫ সালের ১৪ই এপ্রিল শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের নিমিত্তে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির আলোকে গত ১৫-১০-১৫ ইং তারিখে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে দেখা যায়, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত ব্যক্তি মোঃ রোকনুজ্জামান সুপারিশ প্রাপ্ত হলেও তার পরিবর্তে মোঃ শিপন খাঁনকে নিয়োগ প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।
এক্ষেত্রে শিপন খাঁন কে নিয়োগ প্রদানের জন্য একই তারিখের আরেকটি জাল নম্বর পত্র তৈরির মাধ্যমে জালিয়াতির মাধ্যমে নম্বর পরিবর্তন করা হয়।
এতে করে প্রকৃত সুপারিশ প্রাপ্ত ব্যক্তি নিয়োগ হতে বঞ্চিত হন। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বিগত ১০ বছর যাবত নানা দপ্তরে দপ্তরে ধরনা ধরেও কোন প্রতিকার না পেয়ে দুদকের আশ্রয় গ্রহণ করেন। সমস্ত প্রমাণাদি দাখিল করে দুদকে অভিযোগ প্রদান করেন। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করে এবং ঘটনার সত্যতা পান।
অভিযান পরিচালনার শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের অভিযানের বিষয়ে বর্ণনা দেন, তিনি বলেন সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজকের এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে এবং আমরা প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি এ বিষয়ে আমরা আমাদের রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো পরবর্তী ব্যবস্হা গ্রহণের জন্য।
এছাড়াও সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল হকের বিএড এর সার্টিফিকেটটি প্রাথমিকভাবে জাল বলে প্রতীয়মান হওয়ায় সার্টিফিকেটি যাচাইপূর্বক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
অভিযান পরিচালনার সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষক হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর সেখানেই যদি দুর্নীতি করা হয় তাহলে করার কিছু থাকে না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রমণীকান্ত ভক্ত নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের কথা স্বীকার করেন এবং বলেন সভাপতির চাপে তিনি অনিয়ম করেছেন এক্ষেত্রে তার কিছুই করার ছিল না।
এ বিষয়ে তৎকালীন সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলামকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,এ নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের সাথে তিনি কোনভাবেই জড়িত নয়।