ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাইকগাছায় হিতামপুর এলাকার বেড়িবাধ ভেঙে যেকোনো সময় এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা

আব্দুল মজিদ, পাইকগাছা (খুলনা)
  • আপডেট সময় : ৪২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খুলনার পাইকগাছার হিতামপুর এলাকায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ খুবই ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলার হিতামপুর মৌজাস্থ চরেরবিল নামক স্থানে কপোতাক্ষ নদের ওয়াপদার বাঁধ বার বার ভেঙ্গে নদে বিলীন হচ্ছে। সম্প্রতি ভাঙ্গনে ১৭০ মিটার ওয়াপদা বাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলে উক্ত বাঁধ নির্মাণে ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাধের চলমান কাজের মাটি ধ্বসে পড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে এলাকাবাসী আতংকিত হয়ে পড়ে। বিষয়টি কতৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক ভাবে অবহিত করা হলে উপ বিভাগীয় সহকারী প্রৌকশলী এসএম রিফাত বিন রফিক (এসডিও)বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে স্থানীয় চরের বিলের জমির মালিক তৈয়েবুর রহমান বলেন, ইতিপূর্বে একবছর আগে প্রচন্ড ভাঙ্গনে চরের বিল সম্পুর্ন প্লাবিত হয়ে ১৬ শত বিঘা জমির মাছ ও ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। পরবর্তীতে বিকল্প বাঁধ নির্মান করা হয়, আবারও সে বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ঘের মালিক মিনারুল ইসলাম জানান, আমার কয়েকটা চিংড়ী ঘের রয়েছে। কিছুদিন পর ধান রোপন করা হবে। এমতস্থায় দ্রুততম সময়ে ওয়াপদার বাঁধ মজবুত করা না গেলে ধান ও মাছ চাষে মারাত্মকভাবে বাঁধাগ্রস্থ হবে। পাউবি’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এসএম রিফাত বিন রফিক বলেন, পানির চাপ প্রচন্ড। এজন্য ভাঙ্গন যেনতেন ভাবে রোধ করা যাবেনা। নতুন করে ব্যবস্থা নিতে হবে। উর্ধতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাইকগাছায় হিতামপুর এলাকার বেড়িবাধ ভেঙে যেকোনো সময় এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা

আপডেট সময় :

খুলনার পাইকগাছার হিতামপুর এলাকায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ খুবই ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলার হিতামপুর মৌজাস্থ চরেরবিল নামক স্থানে কপোতাক্ষ নদের ওয়াপদার বাঁধ বার বার ভেঙ্গে নদে বিলীন হচ্ছে। সম্প্রতি ভাঙ্গনে ১৭০ মিটার ওয়াপদা বাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলে উক্ত বাঁধ নির্মাণে ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাধের চলমান কাজের মাটি ধ্বসে পড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে এলাকাবাসী আতংকিত হয়ে পড়ে। বিষয়টি কতৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক ভাবে অবহিত করা হলে উপ বিভাগীয় সহকারী প্রৌকশলী এসএম রিফাত বিন রফিক (এসডিও)বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে স্থানীয় চরের বিলের জমির মালিক তৈয়েবুর রহমান বলেন, ইতিপূর্বে একবছর আগে প্রচন্ড ভাঙ্গনে চরের বিল সম্পুর্ন প্লাবিত হয়ে ১৬ শত বিঘা জমির মাছ ও ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। পরবর্তীতে বিকল্প বাঁধ নির্মান করা হয়, আবারও সে বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ঘের মালিক মিনারুল ইসলাম জানান, আমার কয়েকটা চিংড়ী ঘের রয়েছে। কিছুদিন পর ধান রোপন করা হবে। এমতস্থায় দ্রুততম সময়ে ওয়াপদার বাঁধ মজবুত করা না গেলে ধান ও মাছ চাষে মারাত্মকভাবে বাঁধাগ্রস্থ হবে। পাউবি’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এসএম রিফাত বিন রফিক বলেন, পানির চাপ প্রচন্ড। এজন্য ভাঙ্গন যেনতেন ভাবে রোধ করা যাবেনা। নতুন করে ব্যবস্থা নিতে হবে। উর্ধতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।