ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

রামগতিতে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৯৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে অনুমোদনহীন অবৈধ ইটভাটা বন্ধের লক্ষ্যে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন ও সরকারি আদেশ সংক্রান্ত অবহিতকরণ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সহযোগিতায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, রামগতি সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাফি, পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ, র থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কবির হোসেন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুর রহিম, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল জেএসডি সাধারণ সম্পাদক মো,লোকমান হোসেন বাবলু, প্রেসক্লাব সভাপতি রেজাউল হক, সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ বিনু। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দ, এবং ইটভাটা মালিকগন। সভায় আলোচনায় অংশ নিয়ে ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছানা উল্যাহ বলেন, ইটভাটা প্রস্তুত করার আগেই ক্ষতি কারক দিকগুলো নিয়ে ব্যপক অবহিতকরণ প্রয়োজন ছিল, একটা উপজেলায় অনেক ইটভাটা রয়েছে দায় স্বীকার করে বলেন, বিদ্যমান ভাটাগুলো কে পরিবেশ ছাড়পত্র সহ আইনী প্রক্রিয়া সহজিকরণ করে ভাটা পরিচালনার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাসুদ জাহান বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা ও ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে জরিপ করে দেখা গেছে উপজেলার যে এলাকায় ইটভাটা পরিমাণ বেশী ওই সমস্ত এলাকার নারী শিশুরা সর্দি কাসিসহ নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে তাদের স্বাস্থ্যে ঝুঁকি বাড়ছে। উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুর রহিম বলেন বিগত সরকারের আমলে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন রকম ছাড়পত্র ছাড়াই ব্যপক হারে অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠে যার পরিমাণ ৫০ টির অধিক, এগুলো মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি করছে।এছাড়া ফসলি জমির টপ সয়েল, সবুজ বনায়ন এবং রাস্তার ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি ওজনের ইট বোঝাই ট্রাকের মাধ্যেমে ইট পরিবহন করায় সমস্ত রাস্তা ঘাট ধসে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভাটা মালিকগন এদেশের লোক তাদের উচিৎ দেশের বিবেচনায় অপ্রয়োজনীয় ভাটা কমিয়ে আনা, পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, বর্তমানে রামগতিতে ৫১ টি ইটভাটা চলমান আছে যার মধ্যে বনলতা ও সরকার ব্রিকস নামে দুটি ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র নিয়েছেন বাকি ৪৯ টি ইটভাটা ছাড়পত্র নেই। ফলে বাকি সব অবৈধ ভাটা বন্ধ করুন। মহামান্য হাইকোর্টের সুস্পষ্ট দির্দেশনা হচ্ছে সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধ রাখার, অনতিবিলম্বে তা কর্যকর করা হবে। এসময় সভার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, বিগত সৃজনে ৫১ টি ইটভাটা ৫১ বার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা ও পরিবেশ ছাড়পত্র সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ভাটা মালিকদের কাছ থেকে ৮৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।চিমনি না থাকায় ও জালানি কাজে গাছের গুড়ি ব্যবহার করায় ১২ টি ইটভাটা মালিক পক্ষ ভাটা বন্ধ রাখতে মুচলেকা দেন। এসময় ভেকু মেশিনের সাহায্য ভাটা গুড়িয়ে দেওয়াসহ কয়েক লক্ষ কাচা ইট বিনষ্ট করা হয়। হাইকোর্টের আদেশ কার্যকর করতে ও অবৈধ ইটভাটা বন্ধ রাখাতে গত আগাস্ট মাসে নির্দেশ অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নিতে এলাকায় মাইকিং করে প্রচারনা চালানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রামগতিতে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় :

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে অনুমোদনহীন অবৈধ ইটভাটা বন্ধের লক্ষ্যে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন ও সরকারি আদেশ সংক্রান্ত অবহিতকরণ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সহযোগিতায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, রামগতি সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাফি, পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ, র থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কবির হোসেন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুর রহিম, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল জেএসডি সাধারণ সম্পাদক মো,লোকমান হোসেন বাবলু, প্রেসক্লাব সভাপতি রেজাউল হক, সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ বিনু। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দ, এবং ইটভাটা মালিকগন। সভায় আলোচনায় অংশ নিয়ে ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছানা উল্যাহ বলেন, ইটভাটা প্রস্তুত করার আগেই ক্ষতি কারক দিকগুলো নিয়ে ব্যপক অবহিতকরণ প্রয়োজন ছিল, একটা উপজেলায় অনেক ইটভাটা রয়েছে দায় স্বীকার করে বলেন, বিদ্যমান ভাটাগুলো কে পরিবেশ ছাড়পত্র সহ আইনী প্রক্রিয়া সহজিকরণ করে ভাটা পরিচালনার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাসুদ জাহান বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা ও ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে জরিপ করে দেখা গেছে উপজেলার যে এলাকায় ইটভাটা পরিমাণ বেশী ওই সমস্ত এলাকার নারী শিশুরা সর্দি কাসিসহ নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে তাদের স্বাস্থ্যে ঝুঁকি বাড়ছে। উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুর রহিম বলেন বিগত সরকারের আমলে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন রকম ছাড়পত্র ছাড়াই ব্যপক হারে অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠে যার পরিমাণ ৫০ টির অধিক, এগুলো মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি করছে।এছাড়া ফসলি জমির টপ সয়েল, সবুজ বনায়ন এবং রাস্তার ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি ওজনের ইট বোঝাই ট্রাকের মাধ্যেমে ইট পরিবহন করায় সমস্ত রাস্তা ঘাট ধসে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভাটা মালিকগন এদেশের লোক তাদের উচিৎ দেশের বিবেচনায় অপ্রয়োজনীয় ভাটা কমিয়ে আনা, পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, বর্তমানে রামগতিতে ৫১ টি ইটভাটা চলমান আছে যার মধ্যে বনলতা ও সরকার ব্রিকস নামে দুটি ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র নিয়েছেন বাকি ৪৯ টি ইটভাটা ছাড়পত্র নেই। ফলে বাকি সব অবৈধ ভাটা বন্ধ করুন। মহামান্য হাইকোর্টের সুস্পষ্ট দির্দেশনা হচ্ছে সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধ রাখার, অনতিবিলম্বে তা কর্যকর করা হবে। এসময় সভার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, বিগত সৃজনে ৫১ টি ইটভাটা ৫১ বার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা ও পরিবেশ ছাড়পত্র সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ভাটা মালিকদের কাছ থেকে ৮৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।চিমনি না থাকায় ও জালানি কাজে গাছের গুড়ি ব্যবহার করায় ১২ টি ইটভাটা মালিক পক্ষ ভাটা বন্ধ রাখতে মুচলেকা দেন। এসময় ভেকু মেশিনের সাহায্য ভাটা গুড়িয়ে দেওয়াসহ কয়েক লক্ষ কাচা ইট বিনষ্ট করা হয়। হাইকোর্টের আদেশ কার্যকর করতে ও অবৈধ ইটভাটা বন্ধ রাখাতে গত আগাস্ট মাসে নির্দেশ অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নিতে এলাকায় মাইকিং করে প্রচারনা চালানো হয়।