ঢাকা ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ত্রিশালে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই শতাধিক পেঁপে গাছ নিধনের অভিযোগ Logo দাগনভূঞায় সেতু আছে, সড়ক নেই। জনভোগান্তি চরমে Logo বাগেরহাটে জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে Logo নিয়ামতপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক Logo পুষ্টির সচেতনতা বিষয়ক  প্রশিক্ষন কর্মশালা Logo শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ১৫ বছর পর চালু হলো ৩ কেবিন  Logo পাথরঘাটায় প্রবাসী স্ত্রীকে মারধর করে টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, ১৮ লাখ চাঁদা দাবি  Logo নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ Logo মামলার বাদীকে ভয়ভীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo নাটোরে জুঁই হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম, দিল বৈষম্যছাত্র বিরোধী আন্দোলন

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪ ১৯৭ বার পড়া হয়েছে

সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশে শিক্ষার্থীরা

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রোববার (১৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা চাকরি পাবে না। চাকরি পাবে যত সব রাজাকারের বাচ্চা, নাতিপুতিরা? বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের হেয় করেছেন বলে দাবি তাদের। এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশটির আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এ সময় আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আমাদের ভাইবোনেরা মাঠে নামা শুরু করেছে। আপনারা বিশ্বাস করেন কিনা ৫৬ শতাংশ কোটা উন্নত বাংলাদেশের সঙ্গে যায় না। ৫৬ শতাংশ কোটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যায় না। রোববার প্রধানমন্ত্রী আমাদের উদ্দেশ করে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যা বলেছেন, তা আমাদের আশাহত করেছে।

আমরা আমাদের সব দাবি নির্বাহী বিভাগ, আইনসভার কাছে উপস্থাপন করেছিলাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, দাবি বাস্তবায়নে আমরা প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি যা বলেছেন, এতে আমাদের আস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমাদের যেই ফ্রেমিংই করা হোক না কেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো কোটার যৌক্তিক সংস্কার। আমরা তপ্ত দুপুরে রাজু ভাস্কর্যে লড়াইয়ের জন্য আসিনি। আমরা এসেছি পড়াশোনা করার জন্য, তাই আমরা যেন পড়ার টেবিলে ফিরতে পারি সরকারকেই সে ব্যবস্থা করতে হবে বলে তিনি জোর দেন।

মিডিয়ার উদ্দেশে সারজিস বলেন, মিডিয়ার ওপর আস্থা রাখি। আশা করি আপনারা সত্য তথ্য তুলে ধরেন। আপনাদের মধ্যে থাকা সাংবাদিক নামধারী কয়েকজন এই পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এই হলুদ সাংবাদিকতা বন্ধ করতে হবে। এই বিষয়ে আপনাদেরই সোচ্চার হতে হবে। গুটিকয়েক কালপ্রিট আর তোষামোদকারীর জন্য পুরো সাংবাদিক সমাজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলেও দাবি করেন সারজিস।

এর আগে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে জড়ো হতে থাকেন। স্লোগান দিতে থাকেন প্রায় একঘণ্টা ধরে। ইডেন কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা বের হতে চাইলে ছাত্রলীগ নেত্রীরা গেটে আটকে দেয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে বের হয়ে ঢাকা কলেজসহ মিছিল নিয়ে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করে দুপুর সোয়া ১টায়। দুপুর দেড়টায় সমাবেশে যোগ দেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।

সকাল ১১টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শহীদ মিনারে আধঘণ্টার মতো অবস্থান করেন। এরপর সাড়ে ১১টায় সমবেতভাবে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সমাবেশে অংশ নেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

আপডেট সময় : ০৪:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

 

রোববার (১৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা চাকরি পাবে না। চাকরি পাবে যত সব রাজাকারের বাচ্চা, নাতিপুতিরা? বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের হেয় করেছেন বলে দাবি তাদের। এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশটির আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এ সময় আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আমাদের ভাইবোনেরা মাঠে নামা শুরু করেছে। আপনারা বিশ্বাস করেন কিনা ৫৬ শতাংশ কোটা উন্নত বাংলাদেশের সঙ্গে যায় না। ৫৬ শতাংশ কোটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যায় না। রোববার প্রধানমন্ত্রী আমাদের উদ্দেশ করে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যা বলেছেন, তা আমাদের আশাহত করেছে।

আমরা আমাদের সব দাবি নির্বাহী বিভাগ, আইনসভার কাছে উপস্থাপন করেছিলাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, দাবি বাস্তবায়নে আমরা প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি যা বলেছেন, এতে আমাদের আস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমাদের যেই ফ্রেমিংই করা হোক না কেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো কোটার যৌক্তিক সংস্কার। আমরা তপ্ত দুপুরে রাজু ভাস্কর্যে লড়াইয়ের জন্য আসিনি। আমরা এসেছি পড়াশোনা করার জন্য, তাই আমরা যেন পড়ার টেবিলে ফিরতে পারি সরকারকেই সে ব্যবস্থা করতে হবে বলে তিনি জোর দেন।

মিডিয়ার উদ্দেশে সারজিস বলেন, মিডিয়ার ওপর আস্থা রাখি। আশা করি আপনারা সত্য তথ্য তুলে ধরেন। আপনাদের মধ্যে থাকা সাংবাদিক নামধারী কয়েকজন এই পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এই হলুদ সাংবাদিকতা বন্ধ করতে হবে। এই বিষয়ে আপনাদেরই সোচ্চার হতে হবে। গুটিকয়েক কালপ্রিট আর তোষামোদকারীর জন্য পুরো সাংবাদিক সমাজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলেও দাবি করেন সারজিস।

এর আগে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে জড়ো হতে থাকেন। স্লোগান দিতে থাকেন প্রায় একঘণ্টা ধরে। ইডেন কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা বের হতে চাইলে ছাত্রলীগ নেত্রীরা গেটে আটকে দেয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে বের হয়ে ঢাকা কলেজসহ মিছিল নিয়ে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করে দুপুর সোয়া ১টায়। দুপুর দেড়টায় সমাবেশে যোগ দেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।

সকাল ১১টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শহীদ মিনারে আধঘণ্টার মতো অবস্থান করেন। এরপর সাড়ে ১১টায় সমবেতভাবে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সমাবেশে অংশ নেন তারা।