ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই পুনর্জাগরণ উপলক্ষে মুক্তাগাছায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান Logo স্ত্রীর ধোঁকায় যুবকের আত্মহনন Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo রাজবাড়ীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন Logo মাছরাঙা টেলিভিশনের বান্দরবানে ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপন Logo ভাণ্ডারিয়ায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ Logo নগরকান্দা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ ও পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি Logo দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক ২ জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান Logo শিবগঞ্জে নদীগর্ভে প্রায় ৮০টি বাড়ি, ঝুকিতে শতাধিক পরিবার

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছেন দুই শিক্ষার্থী

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ২৭২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের (৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেড পর্যন্ত) ক্ষেত্রে কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছেন দুই শিক্ষার্থী। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) এই লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়।

দুই শিক্ষার্থীর আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক এদিন দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়েছে। এতে হাইকোর্টের রায় বাতিল বা সংশোধন চাওয়া হয়েছে। শুনানির বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ শনিবার জানানো হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেড পর্যন্ত) কোটাপদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

পরিপত্রের বৈধতা নিয়ে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাত সন্তান। চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট নির্দেশনাসহ এই পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় ঘোষণা করেন।

হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে প্রথমে রাষ্ট্রপক্ষ ও পরে দুই শিক্ষার্থী আপিল বিভাগে আবেদন করেন। দুই শিক্ষার্থী হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও উর্দু বিভাগের ছাত্র আহনাফ সাঈদ খান।

রাষ্ট্রপক্ষ ও দুই শিক্ষার্থীর আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ১০ জুলাই আপিল বিভাগ পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনাসহ আদেশ দেন। আপিল বিভাগের আদেশে লিভ টু আপিল দায়ের করা পর্যন্ত কোটার বিষয়ে (সাবজেক্ট ম্যাটার) সবপক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের রায় সে সময় পর্যন্ত অকার্যকর থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে শুনানির জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন রাখেন।

১৪ জুলাই হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা পুনর্বহাল ও অন্যান্য কোটা (জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, উপজাতি ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কোটাসহ, যদি অন্যান্য থাকে) বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রয়োজনে উল্লেখিত শ্রেণির ক্ষেত্রে কোটা পরিবর্তন ও হার কমানো বা বাড়ানোর বিষয়ে এই রায় কোনো বাধা তৈরি করবে না বলে উল্লেখ করা হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল দায়ের করে। আজ দুই শিক্ষার্থী লিভ টু আপিল দায়ের করলেন।

লিভ টু আপিল দায়েরের পর গত মঙ্গলবার অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, স্বাভাবিকভাবে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে। লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে আবেদনে। শুনানির বিষয়ে আগামী সপ্তাহে পরবর্তী উদ্যোগ নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছেন দুই শিক্ষার্থী

আপডেট সময় :

 

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের (৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেড পর্যন্ত) ক্ষেত্রে কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছেন দুই শিক্ষার্থী। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) এই লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়।

দুই শিক্ষার্থীর আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক এদিন দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়েছে। এতে হাইকোর্টের রায় বাতিল বা সংশোধন চাওয়া হয়েছে। শুনানির বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ শনিবার জানানো হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেড পর্যন্ত) কোটাপদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

পরিপত্রের বৈধতা নিয়ে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাত সন্তান। চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট নির্দেশনাসহ এই পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় ঘোষণা করেন।

হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে প্রথমে রাষ্ট্রপক্ষ ও পরে দুই শিক্ষার্থী আপিল বিভাগে আবেদন করেন। দুই শিক্ষার্থী হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও উর্দু বিভাগের ছাত্র আহনাফ সাঈদ খান।

রাষ্ট্রপক্ষ ও দুই শিক্ষার্থীর আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ১০ জুলাই আপিল বিভাগ পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনাসহ আদেশ দেন। আপিল বিভাগের আদেশে লিভ টু আপিল দায়ের করা পর্যন্ত কোটার বিষয়ে (সাবজেক্ট ম্যাটার) সবপক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের রায় সে সময় পর্যন্ত অকার্যকর থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে শুনানির জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন রাখেন।

১৪ জুলাই হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা পুনর্বহাল ও অন্যান্য কোটা (জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, উপজাতি ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কোটাসহ, যদি অন্যান্য থাকে) বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রয়োজনে উল্লেখিত শ্রেণির ক্ষেত্রে কোটা পরিবর্তন ও হার কমানো বা বাড়ানোর বিষয়ে এই রায় কোনো বাধা তৈরি করবে না বলে উল্লেখ করা হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল দায়ের করে। আজ দুই শিক্ষার্থী লিভ টু আপিল দায়ের করলেন।

লিভ টু আপিল দায়েরের পর গত মঙ্গলবার অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, স্বাভাবিকভাবে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে। লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে আবেদনে। শুনানির বিষয়ে আগামী সপ্তাহে পরবর্তী উদ্যোগ নেওয়া হবে।