ঢাকা ০১:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

শোক প্রত্যাখ্যান করে মুখে লাল কাপড় বেঁধে রাবি শিক্ষকদের প্রতিবাদ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:২২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪ ২৭৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সরকার ঘোষিত শোক প্রত্যাখ্যান ও দেশব্যাপী ছাত্রহত্যা, নিপীড়ন ও হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এক সংহতি সমাবেশে এই প্রতিবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়ন-বিরোধী শিক্ষকরা।

সমাবেশে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান শিক্ষকরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে ভয়ঙ্কর জায়গায় নিয়ে গেছে সরকার। শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে। ডিবি কার্যালয়ে বসিয়ে বিবৃতি দেয়ানোসহ সকল ধরনের নোংরা পন্থা অবলম্বন করেছে সরকার। আমরা এগুলোর অবসান চাই। নির্বিচারে যেসব হত্যা করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচার চাই।

ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের রক্তে আজ রঞ্জিত। সারাদেশে শিক্ষার্থীদের এবং সাধারণ জনতার ওপর যেভাবে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে সরকার তা সবাই দেখেছে। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড শুধু শিক্ষকদের নয়, বিশ্বের মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। মানুষ আজ সরকার ঘোষিত শোক প্রত্যাখ্যান করেছে।

আরবী বিভাগের অধ্যাপক ইফতেখার আলম মাসুদ, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এলিমেল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ইসমাত আরা বেগম ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শোক প্রত্যাখ্যান করে মুখে লাল কাপড় বেঁধে রাবি শিক্ষকদের প্রতিবাদ

আপডেট সময় : ০৭:২২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

 

সরকার ঘোষিত শোক প্রত্যাখ্যান ও দেশব্যাপী ছাত্রহত্যা, নিপীড়ন ও হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এক সংহতি সমাবেশে এই প্রতিবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়ন-বিরোধী শিক্ষকরা।

সমাবেশে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান শিক্ষকরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে ভয়ঙ্কর জায়গায় নিয়ে গেছে সরকার। শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে। ডিবি কার্যালয়ে বসিয়ে বিবৃতি দেয়ানোসহ সকল ধরনের নোংরা পন্থা অবলম্বন করেছে সরকার। আমরা এগুলোর অবসান চাই। নির্বিচারে যেসব হত্যা করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচার চাই।

ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের রক্তে আজ রঞ্জিত। সারাদেশে শিক্ষার্থীদের এবং সাধারণ জনতার ওপর যেভাবে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে সরকার তা সবাই দেখেছে। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড শুধু শিক্ষকদের নয়, বিশ্বের মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। মানুষ আজ সরকার ঘোষিত শোক প্রত্যাখ্যান করেছে।

আরবী বিভাগের অধ্যাপক ইফতেখার আলম মাসুদ, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এলিমেল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ইসমাত আরা বেগম ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।