ঢাকা ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জিয়া পরিবার পাচ্ছেন ভিআইপি প্রটোকলসহ সর্ব্বোচ নিরাপত্তা Logo যাত্রীদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে বিমান কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব নাকচ করে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বেগম খালেদা জিয়া Logo মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশী আহত Logo শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার Logo ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে গড়বো এ দেশ নতুন করে’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে আজ পালিত হচ্ছে মে দিবস Logo আধুনিক বিমান বাহিনী গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে : প্রধান উপদেষ্টা Logo পলিথিনের দৌরাত্ম্যও পাটের ব্যাগে অনীহা Logo লাইসেন্স পাওয়ার পথে স্টারলিংক Logo বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা… Logo অতিষ্ঠ কারা কর্তৃপক্ষ

ভারতে জাহাজ ডুবি, কলকাতায় রাহুলের পরিবারে মাতম

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:২৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪০৭ বার পড়া হয়েছে

রাহুল রায়, এখন কেবলই স্মৃতি

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বিয়ের আর মাত্র ৫ মাস বাকি তার আগেই সলিল সমাধি সব স্বপ্নের। উদ্বেগ আর শূন্যতায় প্রহর কাটছে বারাসাতে হৃদয়পুরের শান্তিনগর এলাকার রায় পরিবারের। কলকাতা খিদিরপুর ডক থেকে আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরে পণ্যবাহী জাহাজ ডুবি হয়।

সেই খবর ছাব্বিশ আগস্ট সন্ধ্যায় এসে পৌঁছায় ওই জাহাজে কেবিন ক্রু মেম্বার রাহুল রায়ের বাবা সুবোধ কুমার রায়ের কাছে। সুবোধবাবু পেশায় ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির উচ্চপদে কর্মরত আধিকারিক। রাহুল রায়ের পরিবার থেকে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।

কলকাতার একটি বেসরকারি জাহাজ কোম্পানি আইটিটির জাহাজটি ১৫ বছরের পুরনো। সুবোধবাবু দাবি জাহাজের ১১ জন কর্মীকে উদ্ধার করলেও এখনো রাহুল রায় ও ক্যাপ্টেনসহ নিখোঁজ তিনজন। তাদের উদ্ধারকার্য করবার জন্য কোস্টগার্ড ও ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স এর হেলিকপ্টার তল্লাশি চালাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকালেই পুনে থেকে দাদার নিখোঁজের খবর শুনে বারাসাতে হৃদয়পুরের বাড়িতে পৌঁছান রাহুলের ছোট ভাই এমবিএ পড়ুয়া রোহণ রায়। এদিন ছেলের নিখোঁজের শোক ও উদ্বেগের হাতিয়ে সুবোধ বাবু অভিযোগ করেন সরকার ও প্রশাসনের দেখা উচিত যে জাহাজ গুলি গভীর সমুদ্রে যাচ্ছে সেগুলির ফিটনেটস সার্টিফিকেট সঠিক কিনা।

অনেক বেসরকারি কোম্পানি পুরনো জাহাজ চালায়। তাতে যেমন জাহাজ কর্মীদের মৃত্যু হয়, তেমন লোকসানে পড়ে অন্য সরবরাহকারী কোম্পানিগুলি। রাহুলের কোম্পানি তরফ থেকে পরিবারকে জানানো হয়, ২৫ আগস্ট জাহাজটি রওনা দেয় খিদিরপুর ডক থেকে ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পোর্ট ব্লেয়ার ব্লেয়ারের উদ্দেশ্যে।

২৬ তারিখ বিকেল চারটে নাগাদ জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কলকাতা থেকে ৯০ নটিকাল মাইল দূরে। জাহাজের ১১ জনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকি তিনজন এখনো নিখোঁজ। এই সংবাদে কান্নায় ভেঙে পড়েন গোটা রায় পরিবার। বৃহস্পতিবারও সর্বশেষ খোঁজ নিতে পাড়া-প্রতিবেশীরা হাজির হন রাহুলের বাড়িতে। উদ্বেগে আছে তার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরা।

৭২ ঘন্টা পার হয়ে গেল এখনো কেন উদ্ধার হলো না সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুলের বাবা সুবোধবাবু। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে তার বিবাহ ঠিক হয়েছিল। বড় ছেলের রাহুলের সেই বিবাহ অনুষ্ঠান এখন অনিশ্চিত। তবে তার বেঁচে থাকার আসা উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রতিবেশীরা। তবে কোস্টগার্ড এবং ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের তরফে যদি আরও খোঁজখবর তল্লাশি চালানো হয় তাহলে উদ্ধার হতে পারে রাহুলসহ বাকি তিনজন। ছেলে ঘরে ফিরবে সেই আশায় প্রহর গুনছে রায় পরিবার ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভারতে জাহাজ ডুবি, কলকাতায় রাহুলের পরিবারে মাতম

আপডেট সময় : ০২:২৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

বিয়ের আর মাত্র ৫ মাস বাকি তার আগেই সলিল সমাধি সব স্বপ্নের। উদ্বেগ আর শূন্যতায় প্রহর কাটছে বারাসাতে হৃদয়পুরের শান্তিনগর এলাকার রায় পরিবারের। কলকাতা খিদিরপুর ডক থেকে আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরে পণ্যবাহী জাহাজ ডুবি হয়।

সেই খবর ছাব্বিশ আগস্ট সন্ধ্যায় এসে পৌঁছায় ওই জাহাজে কেবিন ক্রু মেম্বার রাহুল রায়ের বাবা সুবোধ কুমার রায়ের কাছে। সুবোধবাবু পেশায় ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির উচ্চপদে কর্মরত আধিকারিক। রাহুল রায়ের পরিবার থেকে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।

কলকাতার একটি বেসরকারি জাহাজ কোম্পানি আইটিটির জাহাজটি ১৫ বছরের পুরনো। সুবোধবাবু দাবি জাহাজের ১১ জন কর্মীকে উদ্ধার করলেও এখনো রাহুল রায় ও ক্যাপ্টেনসহ নিখোঁজ তিনজন। তাদের উদ্ধারকার্য করবার জন্য কোস্টগার্ড ও ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স এর হেলিকপ্টার তল্লাশি চালাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকালেই পুনে থেকে দাদার নিখোঁজের খবর শুনে বারাসাতে হৃদয়পুরের বাড়িতে পৌঁছান রাহুলের ছোট ভাই এমবিএ পড়ুয়া রোহণ রায়। এদিন ছেলের নিখোঁজের শোক ও উদ্বেগের হাতিয়ে সুবোধ বাবু অভিযোগ করেন সরকার ও প্রশাসনের দেখা উচিত যে জাহাজ গুলি গভীর সমুদ্রে যাচ্ছে সেগুলির ফিটনেটস সার্টিফিকেট সঠিক কিনা।

অনেক বেসরকারি কোম্পানি পুরনো জাহাজ চালায়। তাতে যেমন জাহাজ কর্মীদের মৃত্যু হয়, তেমন লোকসানে পড়ে অন্য সরবরাহকারী কোম্পানিগুলি। রাহুলের কোম্পানি তরফ থেকে পরিবারকে জানানো হয়, ২৫ আগস্ট জাহাজটি রওনা দেয় খিদিরপুর ডক থেকে ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পোর্ট ব্লেয়ার ব্লেয়ারের উদ্দেশ্যে।

২৬ তারিখ বিকেল চারটে নাগাদ জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কলকাতা থেকে ৯০ নটিকাল মাইল দূরে। জাহাজের ১১ জনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকি তিনজন এখনো নিখোঁজ। এই সংবাদে কান্নায় ভেঙে পড়েন গোটা রায় পরিবার। বৃহস্পতিবারও সর্বশেষ খোঁজ নিতে পাড়া-প্রতিবেশীরা হাজির হন রাহুলের বাড়িতে। উদ্বেগে আছে তার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরা।

৭২ ঘন্টা পার হয়ে গেল এখনো কেন উদ্ধার হলো না সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুলের বাবা সুবোধবাবু। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে তার বিবাহ ঠিক হয়েছিল। বড় ছেলের রাহুলের সেই বিবাহ অনুষ্ঠান এখন অনিশ্চিত। তবে তার বেঁচে থাকার আসা উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রতিবেশীরা। তবে কোস্টগার্ড এবং ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের তরফে যদি আরও খোঁজখবর তল্লাশি চালানো হয় তাহলে উদ্ধার হতে পারে রাহুলসহ বাকি তিনজন। ছেলে ঘরে ফিরবে সেই আশায় প্রহর গুনছে রায় পরিবার ।