অর্থনীতিতে গতি বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৭:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪ ১৮৫ বার পড়া হয়েছে
সব মানুষের জীবন এবং জীবিকার জন্য আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করবো। এমনি আশা প্রকাশ করেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি মনে করি অর্থনীতির গতি মন্থর হয়ে গেছে। এই গতি আমরা বাড়াবো। আমরা চাচ্ছি সমতাভিত্তিক, ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে। মানুষের আয়ের সংস্থান বাড়ুক, বাজারে মূল্যস্ফীতি কমুক।
শনিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু কিছু লোক সিলেক্টেড, তারাই খালি তোষামোদ করে। আপনারা একটু প্রো-অ্যাকটিভ হবেন। আমাদের সাজেশন দেবেন। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলাম, যখনই কিছু বলতাম বলত স্যার আমরা সব করে ফেলব। এরকম রিঅ্যাকটিভ হলে তো কাজ হবে না। এ অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে।
ব্যাংকিং কমিশন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি সংস্কারের আগে ব্যাংকের ওপর আস্থার বিষয়গুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কার্যক্রম চালু হোক তারপর। এখন ইমিডিয়েট এটি করতে গেলে তো অন্য সব কাজ বন্ধ হয়ে যাবে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে আমাদের ক্ষুদ্র অর্থনীতি ছাড়াও এতোদিন কিছু ভুল ছিল। উন্নয়ন কৌশল নীতির সুফল কিন্তু মানুষ পায়নি। আমরা চাচ্ছি সমতাভিত্তিক, ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে। মানুষের আয়ের সংস্থান বাড়ুক, বাজারে মূল্যস্ফীতি কমুক। সব মানুষের জীবন এবং জীবিকার জন্য আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করব।
টাকা পাচার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সেটা আমরা জানি। ওটার একটা প্রক্রিয়া আছে। তথ্য লাগবে। যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে করতে হয় এটি আমরা করব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে তিনি জবাবদিহিতার আওতা থেকে বের হয়ে যাবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই গভর্নর বলেন, সেখানে একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপার আছে। পদত্যাগপত্র তিনি দিয়েছেন। সেটা আমি একা সিদ্ধান্ত নেবো না। কাল বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
এটা একটা সেনসিটিভ বিষয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বা বাংলাদেশের যথেষ্ট আইন কানুন আছে, কিন্তু সেটা মানা হয়নি। যারা মানাবে তারা মানেনি, যারা মানবে তারাও মানেনি। যারা মানেনি নিশ্চয়ই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।