ঢাকা ০২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই পুনর্জাগরণ উপলক্ষে মুক্তাগাছায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান Logo স্ত্রীর ধোঁকায় যুবকের আত্মহনন Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo রাজবাড়ীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন Logo মাছরাঙা টেলিভিশনের বান্দরবানে ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপন Logo ভাণ্ডারিয়ায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ Logo নগরকান্দা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ ও পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি Logo দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক ২ জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান Logo শিবগঞ্জে নদীগর্ভে প্রায় ৮০টি বাড়ি, ঝুকিতে শতাধিক পরিবার

কার্নিশে ঝুলে থাকা ছাত্রকে গুলির তদন্ত শেষ পর্যায়

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ৮০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খুব শিগগিরই এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউসনের হাতে আসবে – গাজী এমএইচ তামিম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর রামপুরায় একটি ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা এক ছাত্রকে গুলির ঘটনার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম গতকাল শনিবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা আমির হোসেনের ওপরে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ এবং ঘটনাস্থলের সামনে আরও দুইজনকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ট্র্যাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছ থেকে আমরা অবগত হয়েছি যে, খুব শিগগিরই এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউসনের হাতে আসবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরায় একটি ভবনের ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকা আমির হোসেন নামের এক তরুণকে গুলি করার অভিযোগে গ্রেফতার এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে গত ২৮ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গত ২৬ জানুয়ারি রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি টিম দীঘিনালা থানা থেকে এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে গ্রেফতার করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই আমির হোসেন জুমার নামাজ পড়ে বাসায় ফিরছিলেন। আমিরের ভাষ্য, বাসার কাছে তখন পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যে পড়ে যান তিনি। এসময় পুলিশ গুলি করা শুরু করে। এসময় আমির হোসেন দৌড়ে নির্মাণাধীন একটি ভবনের চারতলায় গিয়ে আশ্রয় নেন। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে পুলিশ ভবনটির চারতলায় উঠে যায়। সেখানে আমির হোসেনকে পেয়ে পুলিশ সদস্যরা তার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে বারবার নিচে লাফ দিতে বলেন। একজন পুলিশ সদস্য তাকে ভয় দেখাতে কয়েকটি গুলিও করেন। একপর্যায়ে ভয়ে আমি হোসেন লাফ দিয়ে নির্মাণাধীন ভবনটির রড ধরে ঝুলে থাকেন। তখন তৃতীয় তলা থেকে একজন পুলিশ সদস্য আমির হোসেনকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি করেন। গুলিগুলো আমিরের দুই পায়ে লাগে। একপর্যায়ে পুলিশ চলে গেলে আমির হোসেন ঝাঁপ দিয়ে কোনোরকমে তৃতীয় তলায় পড়েন। তখন তার দুই পা দিয়ে রক্ত ঝরছিল। প্রায় তিনঘণ্টা পর একজন শিক্ষার্থী ও দুইজন চিকিৎসক আমির হোসেনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। নির্মম এই ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান আমির হোসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কার্নিশে ঝুলে থাকা ছাত্রকে গুলির তদন্ত শেষ পর্যায়

আপডেট সময় :

খুব শিগগিরই এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউসনের হাতে আসবে – গাজী এমএইচ তামিম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর রামপুরায় একটি ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা এক ছাত্রকে গুলির ঘটনার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম গতকাল শনিবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা আমির হোসেনের ওপরে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ এবং ঘটনাস্থলের সামনে আরও দুইজনকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ট্র্যাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছ থেকে আমরা অবগত হয়েছি যে, খুব শিগগিরই এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউসনের হাতে আসবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরায় একটি ভবনের ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকা আমির হোসেন নামের এক তরুণকে গুলি করার অভিযোগে গ্রেফতার এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে গত ২৮ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গত ২৬ জানুয়ারি রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি টিম দীঘিনালা থানা থেকে এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে গ্রেফতার করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই আমির হোসেন জুমার নামাজ পড়ে বাসায় ফিরছিলেন। আমিরের ভাষ্য, বাসার কাছে তখন পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যে পড়ে যান তিনি। এসময় পুলিশ গুলি করা শুরু করে। এসময় আমির হোসেন দৌড়ে নির্মাণাধীন একটি ভবনের চারতলায় গিয়ে আশ্রয় নেন। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে পুলিশ ভবনটির চারতলায় উঠে যায়। সেখানে আমির হোসেনকে পেয়ে পুলিশ সদস্যরা তার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে বারবার নিচে লাফ দিতে বলেন। একজন পুলিশ সদস্য তাকে ভয় দেখাতে কয়েকটি গুলিও করেন। একপর্যায়ে ভয়ে আমি হোসেন লাফ দিয়ে নির্মাণাধীন ভবনটির রড ধরে ঝুলে থাকেন। তখন তৃতীয় তলা থেকে একজন পুলিশ সদস্য আমির হোসেনকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি করেন। গুলিগুলো আমিরের দুই পায়ে লাগে। একপর্যায়ে পুলিশ চলে গেলে আমির হোসেন ঝাঁপ দিয়ে কোনোরকমে তৃতীয় তলায় পড়েন। তখন তার দুই পা দিয়ে রক্ত ঝরছিল। প্রায় তিনঘণ্টা পর একজন শিক্ষার্থী ও দুইজন চিকিৎসক আমির হোসেনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। নির্মম এই ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান আমির হোসেন।