ঢাকা ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪ ১৪০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।

আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে ঢাবির দোয়েল চত্বর এলাকা অবস্থান নেন তারা। এ সময় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের একটি গ্রুপ এবং পুলিশের সাঁজোয়া যান একসঙ্গে সামনের দিকে যেতে দেখা যায়।

এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেওয়া শুরু করে। এসময় ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারকে বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে।

এদিকে সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটের দিকে শহীদউল্লাহ হলের ভেতরে অবস্থান করা কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জাভেদ হোসেনের উপস্থিতিতে হলের নিচে নেমে আসেন। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশকে দেখে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হামলা করে ছাত্রলীগ। মূলত ঢাবির একটি হল থেকে হামলার সূত্রপাত হয়। এরপর চলতে থাকে সংঘর্ষ। এতে আহত হয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

এরপর বিকাল ৫টার দিকে শহীদউল্লাহ হলের সামনে আবারও সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায় এবং ছাত্রলীগ ও কোটা আন্দোলনকারী উভয়পক্ষকে ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

 

কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।

আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে ঢাবির দোয়েল চত্বর এলাকা অবস্থান নেন তারা। এ সময় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের একটি গ্রুপ এবং পুলিশের সাঁজোয়া যান একসঙ্গে সামনের দিকে যেতে দেখা যায়।

এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেওয়া শুরু করে। এসময় ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারকে বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে।

এদিকে সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটের দিকে শহীদউল্লাহ হলের ভেতরে অবস্থান করা কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জাভেদ হোসেনের উপস্থিতিতে হলের নিচে নেমে আসেন। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশকে দেখে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হামলা করে ছাত্রলীগ। মূলত ঢাবির একটি হল থেকে হামলার সূত্রপাত হয়। এরপর চলতে থাকে সংঘর্ষ। এতে আহত হয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

এরপর বিকাল ৫টার দিকে শহীদউল্লাহ হলের সামনে আবারও সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায় এবং ছাত্রলীগ ও কোটা আন্দোলনকারী উভয়পক্ষকে ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়।