ঢাকা ০১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গভর্নরের বৈঠক, ৪ সিদ্ধান্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪ ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

ড. মুহাম্মদ ইউনূস

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

বৈঠকে আর্থিক খাত স্থিতিশীল ও সংস্কার এবং মূল্যস্ফীতি মোকাবিলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে-

১। চাহিদা ও জোগানের যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে হবে। এজন্য মুদ্রানীতিকে সংকোচমূলক অবস্থায় ধরে রাখতে হবে এবং একই সঙ্গে সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে স্বস্তি পেতে সবাইকে আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরতে হবে।

২। বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে তারল্য বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যান্ড ১ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

৩। ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কারের বিষয়টি চলে এসেছে। ব্যাংকিং খাতে টেকসই সংস্কারের জন্য একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করে দ্রুত কার্যক্রম নেওয়া হবে।

৪। আর্থিক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি এবং সংস্কারের বিষয়ে একটি রূপকল্প তৈরি করা হবে, যা অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গভর্নরের বৈঠক, ৪ সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ১২:৫৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

 

দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

বৈঠকে আর্থিক খাত স্থিতিশীল ও সংস্কার এবং মূল্যস্ফীতি মোকাবিলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে-

১। চাহিদা ও জোগানের যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে হবে। এজন্য মুদ্রানীতিকে সংকোচমূলক অবস্থায় ধরে রাখতে হবে এবং একই সঙ্গে সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে স্বস্তি পেতে সবাইকে আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরতে হবে।

২। বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে তারল্য বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যান্ড ১ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

৩। ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কারের বিষয়টি চলে এসেছে। ব্যাংকিং খাতে টেকসই সংস্কারের জন্য একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করে দ্রুত কার্যক্রম নেওয়া হবে।

৪। আর্থিক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি এবং সংস্কারের বিষয়ে একটি রূপকল্প তৈরি করা হবে, যা অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।