ঢাকা ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ত্রিশালে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই শতাধিক পেঁপে গাছ নিধনের অভিযোগ Logo দাগনভূঞায় সেতু আছে, সড়ক নেই। জনভোগান্তি চরমে Logo বাগেরহাটে জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে Logo নিয়ামতপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক Logo দিনাজপুরে পুষ্টির সচেতনতামূলক বৃদ্ধিকরন নিয়ে কর্মশালা Logo শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ১৫ বছর পর চালু হলো ৩ কেবিন  Logo পাথরঘাটায় প্রবাসী স্ত্রীকে মারধর করে টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, ১৮ লাখ চাঁদা দাবি  Logo নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ Logo মামলার বাদীকে ভয়ভীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo নাটোরে জুঁই হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম, দিল বৈষম্যছাত্র বিরোধী আন্দোলন

বাংলাদেশে নতুন ঋণ কর্মসূচি শুরু করার আগ্রহ আইএমএফ’র

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নিউইর্য়কে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা। সাক্ষাতে বাংলাদেশের অর্থনীতিসহ ও অন্যান্য খাতের সংস্কারে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টালিনা।

মঙ্গলবার (সেপ্টেম্বর ২৪) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা জানান, বাংলাদেশকে ঋণ সহায়তা দিতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ঢাকায় একটি দল পাঠানো হয়েছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থান এবং আগের স্বৈরাচারী শাসনের পতনের কথা সংক্ষেপে তুলে ধরলে ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, বাংলাদেশ এখন এক ভিন্ন দেশ।

নির্বাচন, বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতিবিরোধী এবং সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে তার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কমিশনের সুপারিশ নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।

সংস্কারের বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করা হলে এবং ভোটার তালিকা তৈরি হলে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানান ড. ইউনূস।

আইএমএফের প্রধান নির্বাহী সংস্কার উদ্যোগে তার সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, ঋণদাতারা সরকারকে ফাস্ট-ট্র্যাক আর্থিক সহায়তা দেবে।

ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, তিনি বাংলাদেশে ‘দ্রুত’ একটি আইএমএফ দল পাঠিয়েছেন এবং তারা এই মুহূর্তে ঢাকায় রয়েছে। দলটি আগামী মাসে আইএমএফ পরিচালনা পর্ষদের কাছে তাদের প্রতিবেদন দেবে।

আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আইএমএফ বোর্ড টিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ঋণদান কর্মসূচি শুরু করতে পারে অথবা গত বছরের শুরুর দিকে চালু হওয়া বিদ্যমান সহায়তা কর্মসূচির অধীনে আরও ঋণ দিতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশে নতুন ঋণ কর্মসূচি শুরু করার আগ্রহ আইএমএফ’র

আপডেট সময় : ০২:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

নিউইর্য়কে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা। সাক্ষাতে বাংলাদেশের অর্থনীতিসহ ও অন্যান্য খাতের সংস্কারে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টালিনা।

মঙ্গলবার (সেপ্টেম্বর ২৪) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা জানান, বাংলাদেশকে ঋণ সহায়তা দিতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ঢাকায় একটি দল পাঠানো হয়েছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থান এবং আগের স্বৈরাচারী শাসনের পতনের কথা সংক্ষেপে তুলে ধরলে ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, বাংলাদেশ এখন এক ভিন্ন দেশ।

নির্বাচন, বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতিবিরোধী এবং সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে তার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কমিশনের সুপারিশ নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।

সংস্কারের বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করা হলে এবং ভোটার তালিকা তৈরি হলে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানান ড. ইউনূস।

আইএমএফের প্রধান নির্বাহী সংস্কার উদ্যোগে তার সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, ঋণদাতারা সরকারকে ফাস্ট-ট্র্যাক আর্থিক সহায়তা দেবে।

ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, তিনি বাংলাদেশে ‘দ্রুত’ একটি আইএমএফ দল পাঠিয়েছেন এবং তারা এই মুহূর্তে ঢাকায় রয়েছে। দলটি আগামী মাসে আইএমএফ পরিচালনা পর্ষদের কাছে তাদের প্রতিবেদন দেবে।

আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আইএমএফ বোর্ড টিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ঋণদান কর্মসূচি শুরু করতে পারে অথবা গত বছরের শুরুর দিকে চালু হওয়া বিদ্যমান সহায়তা কর্মসূচির অধীনে আরও ঋণ দিতে পারে।