ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বান্দরবানে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন Logo জয়পুরহাটে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডালপালা ছাঁটাই স্থগিত করেছে নেসকো Logo গাইবান্ধা সদর আসনে মাঠ-ময়দানে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর Logo কোম্পানীগঞ্জে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত Logo টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মাহত আমিন গ্রেপ্তার Logo জনগণই বিএনপির শক্তি-বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম Logo আগুনে পুড়ে সর্বস্ব হারানো জুয়েল মিয়ার পাশে কুড়িগ্রাম জেলা চর উন্নয়ন কমিটি Logo জুড়ীতে বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা Logo স্বতন্ত্র নার্সিং প্রশাসন রক্ষার দাবিতে কুড়িগ্রামে নার্সদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়ে তুলতে সংগ্রাম চলবেই

লক্ষীপুরে মামুনুল হক: শেখ হাসিনা প্রতিশোধের রাজনীতি করেছিল

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, শুধু জুলাই-আগস্টে ১৬৩২ জন মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আরও অসংখ্য মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। তাদের লাশ পর্যন্ত পরিবার-পরিজনদের কাছে কোন হদিস নাই। এভাবেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতার মস্তককে আখড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা  এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণ করার জন্য রাজনীতিতে এসেছিল। সে শুধু বাংলাদেশের মানুষ ও জাতির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নয়, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও প্রতিশোধ নিয়েছে। এভাবে বিভাজনের ও প্রতিশোধের রাজনীতি করে করে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার যত আয়োজন সব করেছে শেখ হাসিনা। সে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই নাই, তিনি চেয়েছিলেন তিলকবাদী মুখ্যমন্ত্রী হতে।

দেশের অর্থ পাচার করে বাংলাদেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে শেখ হাসিনা। মেঘা প্রকল্পের নামে, মেঘা দূর্নীতি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এভাবেই বাংলাদেশকে অন্তসার শূন্য করে একটি পরনির্ভরশীল দেশ এবং জাতি হিসেবে অস্তিত্বকে বিপন্ন করাই ছিল শেখ হাসিনার রাজনীতি।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর)  লক্ষীপুর শহরের লিল্লাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাপলা চত্বরে আন্দোলন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচারের দাবি এবং নৈরাজ্যবাদ প্রতিরোধে গণ-সমাবেশের আয়োজন করেছে লক্ষ্মীপুর জেলা খেলাফত মজলিস।

মামুনুল হিক আরও বলেন, বিজয়ের আনন্দে আত্মহারা হয়ে থাকলে চলবে না, সবাইকে সজাগ এবং সচেতন থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রের এবং চক্রান্তের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারের দ্বারা নিপিড়ীত, নিষ্পেষিত হয়েছি, যাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছে।  তাদের সবাইকে ঐক্য আরো বহুদিন ধরে রাখতে হবে।

এখনই পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে সেই ফ্যাসিবাদকে আবার রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না। এজন্য বিএনপি, জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামী ইসলাম, এমডিপি, এনপিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ সবাই ঐক্য আরও দীর্ঘ মেয়াদিভাবে ধরে রাখতে হবে। মজবুতভাবে আখড়ে ধরে রাখতে হবে।

অন্তবর্তিকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ এবং তাদের রাজনীতি ছিল সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতি। তাই শুধু ছাত্রলীগ নয়, আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজিনীতি তগেকে নিষিদ্ধের দাবি তোলেন তিনি।

জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা মোহাম্মাদ ফয়সাল, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মাওলানা ওযায়ের আমিন, আ.ন.ম নোমান সিদ্দিকী প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

লক্ষীপুরে মামুনুল হক: শেখ হাসিনা প্রতিশোধের রাজনীতি করেছিল

আপডেট সময় :

 

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, শুধু জুলাই-আগস্টে ১৬৩২ জন মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আরও অসংখ্য মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। তাদের লাশ পর্যন্ত পরিবার-পরিজনদের কাছে কোন হদিস নাই। এভাবেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতার মস্তককে আখড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা  এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণ করার জন্য রাজনীতিতে এসেছিল। সে শুধু বাংলাদেশের মানুষ ও জাতির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নয়, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও প্রতিশোধ নিয়েছে। এভাবে বিভাজনের ও প্রতিশোধের রাজনীতি করে করে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার যত আয়োজন সব করেছে শেখ হাসিনা। সে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই নাই, তিনি চেয়েছিলেন তিলকবাদী মুখ্যমন্ত্রী হতে।

দেশের অর্থ পাচার করে বাংলাদেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে শেখ হাসিনা। মেঘা প্রকল্পের নামে, মেঘা দূর্নীতি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এভাবেই বাংলাদেশকে অন্তসার শূন্য করে একটি পরনির্ভরশীল দেশ এবং জাতি হিসেবে অস্তিত্বকে বিপন্ন করাই ছিল শেখ হাসিনার রাজনীতি।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর)  লক্ষীপুর শহরের লিল্লাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাপলা চত্বরে আন্দোলন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচারের দাবি এবং নৈরাজ্যবাদ প্রতিরোধে গণ-সমাবেশের আয়োজন করেছে লক্ষ্মীপুর জেলা খেলাফত মজলিস।

মামুনুল হিক আরও বলেন, বিজয়ের আনন্দে আত্মহারা হয়ে থাকলে চলবে না, সবাইকে সজাগ এবং সচেতন থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রের এবং চক্রান্তের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারের দ্বারা নিপিড়ীত, নিষ্পেষিত হয়েছি, যাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছে।  তাদের সবাইকে ঐক্য আরো বহুদিন ধরে রাখতে হবে।

এখনই পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে সেই ফ্যাসিবাদকে আবার রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না। এজন্য বিএনপি, জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামী ইসলাম, এমডিপি, এনপিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ সবাই ঐক্য আরও দীর্ঘ মেয়াদিভাবে ধরে রাখতে হবে। মজবুতভাবে আখড়ে ধরে রাখতে হবে।

অন্তবর্তিকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ এবং তাদের রাজনীতি ছিল সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতি। তাই শুধু ছাত্রলীগ নয়, আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজিনীতি তগেকে নিষিদ্ধের দাবি তোলেন তিনি।

জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা মোহাম্মাদ ফয়সাল, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মাওলানা ওযায়ের আমিন, আ.ন.ম নোমান সিদ্দিকী প্রমুখ।