ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo `জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার’ Logo ডামুড্যায় গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo বিশ্বনাথে আলোকিত সুর সাংস্কৃতিক ফোরাম অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা Logo বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা Logo সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo ঝিনাইদহে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo ভালো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল ভূমিকা রাখছে Logo বন্ধু একাদশ হাকিমপুরকে হারিয়ে মুন্সিপাড়া ওয়ারিয়ার্স দিনাজপুর চ্যাম্পিয়ান Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা

পতিত স্বৈরাচার আবার পুনর্বাসিত হলে এই দেশ হবে জল্লাদের উল্লাস ভূমি

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১৮১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি অসুর শক্তির পতন হয়েছে। দেবী দুর্গার আবির্ভাব হয়েছে পৃথিবীতে অসুর শক্তিকে বধ করার জন্য। মানুষে মানুষে ভাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার জন্য। হিংসা, প্রতিশোধ, প্রতিহিংসাকে দূর করে ভালোবাসার প্রেমের সমাজ নির্মাণ করার জন্য। আজকে সেই সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে।

অতীতে যেমন আমরা আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আপনাদের প্রতিটি সমস্যায় পাশে এসে দাঁড়িয়েছি, ঠিক একইভাবে আগামীতেও আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকব। এ দেশটা কারও একার না। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম, বাংলাদেশকে আমরা সত্যিকার অর্থেই একটা
অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণ করব। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নগরীর বড় বাজার কালিবাড়ি মন্দির, হেলাতলা পূজামণ্ডপ, ধর্মসভা মন্দিরসহ বিভিন্ন দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

তিনি আরও বলেন, যারা এত দিন গুম-খুন আর আয়নাঘরের সংস্কৃতি তৈরি করেছিল, তারা যদি পুনর্বাসিত হয় তাহলে এ দেশে আর মানুষ বসবাস করতে পারবে না। পতিত স্বৈরাচার আবার পুনর্বাসিত হলে এই দেশ হবে জল্লাদের উল্লাসভূমি। এখানে গণতন্ত্র, কথা বলা, মতপ্রকাশের
স্বাধীনতা চিরদিনের জন্য গোরস্তানে চলে যাবে।

শতাব্দীর পর শতাব্দী আমরা বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান
একসঙ্গে বসবাস করে আসছি। এটা আমাদের ঐতিহ্য। একজনের প্রতি অন্যজনের যে সহমর্মিতা, এটা অতীতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।

পরিদর্শনকালে পূজা কমিটির সাধারন সম্পাদক শিবপদ, বাপ্পি, ধিরেন্দ্রনাথসহ অন্যান্যরা খুলনা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানান এবং কুশল বিনিময় করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন

আরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, আনোয়ার হোসেন, ইশহাক তালুকদার, রবিউল ইসলাম রবি, মিজানুজ্জামান তাজ, ইকবাল হোসেন, শামীম আশরাফ, রাজিবুল আলম বাপ্পি, শামীম খান, মোস্তফা জামান মিন্টু, শাকিল আহমেদ, মাহবুব হাসান মুন্না, সালাউদ্দিন সান্নু, আসমত হোসেন, মামুন রহমান, কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, পিএম শহিদ, জুয়েল হোসেন, কমল প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পতিত স্বৈরাচার আবার পুনর্বাসিত হলে এই দেশ হবে জল্লাদের উল্লাস ভূমি

আপডেট সময় :

 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি অসুর শক্তির পতন হয়েছে। দেবী দুর্গার আবির্ভাব হয়েছে পৃথিবীতে অসুর শক্তিকে বধ করার জন্য। মানুষে মানুষে ভাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার জন্য। হিংসা, প্রতিশোধ, প্রতিহিংসাকে দূর করে ভালোবাসার প্রেমের সমাজ নির্মাণ করার জন্য। আজকে সেই সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে।

অতীতে যেমন আমরা আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আপনাদের প্রতিটি সমস্যায় পাশে এসে দাঁড়িয়েছি, ঠিক একইভাবে আগামীতেও আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকব। এ দেশটা কারও একার না। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম, বাংলাদেশকে আমরা সত্যিকার অর্থেই একটা
অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণ করব। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নগরীর বড় বাজার কালিবাড়ি মন্দির, হেলাতলা পূজামণ্ডপ, ধর্মসভা মন্দিরসহ বিভিন্ন দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

তিনি আরও বলেন, যারা এত দিন গুম-খুন আর আয়নাঘরের সংস্কৃতি তৈরি করেছিল, তারা যদি পুনর্বাসিত হয় তাহলে এ দেশে আর মানুষ বসবাস করতে পারবে না। পতিত স্বৈরাচার আবার পুনর্বাসিত হলে এই দেশ হবে জল্লাদের উল্লাসভূমি। এখানে গণতন্ত্র, কথা বলা, মতপ্রকাশের
স্বাধীনতা চিরদিনের জন্য গোরস্তানে চলে যাবে।

শতাব্দীর পর শতাব্দী আমরা বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান
একসঙ্গে বসবাস করে আসছি। এটা আমাদের ঐতিহ্য। একজনের প্রতি অন্যজনের যে সহমর্মিতা, এটা অতীতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।

পরিদর্শনকালে পূজা কমিটির সাধারন সম্পাদক শিবপদ, বাপ্পি, ধিরেন্দ্রনাথসহ অন্যান্যরা খুলনা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানান এবং কুশল বিনিময় করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন

আরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, আনোয়ার হোসেন, ইশহাক তালুকদার, রবিউল ইসলাম রবি, মিজানুজ্জামান তাজ, ইকবাল হোসেন, শামীম আশরাফ, রাজিবুল আলম বাপ্পি, শামীম খান, মোস্তফা জামান মিন্টু, শাকিল আহমেদ, মাহবুব হাসান মুন্না, সালাউদ্দিন সান্নু, আসমত হোসেন, মামুন রহমান, কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, পিএম শহিদ, জুয়েল হোসেন, কমল প্রমুখ।