ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাজধানীতে আসছে উত্তরাঞ্চলের মৌসুমি কসাই Logo জমে উঠছে রাজধানীর পশুরহাট ব্যাপারীরা ক্রেতার অপেক্ষায় Logo ভোগান্তিহীন স্বস্তির ঈদযাত্রা ঢাকার ভেতরেই যত বিড়ম্বনা Logo কালীগঞ্জে ৩ হাজার ২শত কৃষককে দেওয়া হল বিনামূল্যে সার ও বীজ Logo খাতের সফল খামারি উদ্যোক্তাদের মাঝে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান Logo কাজী মামুনুর রশীদ কচি সদস্য হওয়াতে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা Logo মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে জাতীয় ভোক্তা অধিকারের মতবিনিময় সভা Logo ইসলামপুর ইউনিয়নে ঈদের চাল নিয়ে পরিষদ সদস্যকে মারপিটের অভিযোগ Logo মর্গ্যান স্কুলের দুর্নীতির তদন্তে যাওয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে মারধর, ৬ শিক্ষকের নামে মামলা Logo মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের জেলা কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

বন্যা কবলিত ১৫ জেলা, ক্ষতিগ্রস্ত ২০ লাখ মানুষ

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৫:০৩:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪ ৩৮১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং অভ্যন্তরীণ বৃষ্টিপাতে দেশের ১৫ জেলা বন্যাকবলিত। এতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বানভাসি। শনিবার (৬ জুলাই) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, গাইবান্ধা, ফেনী, রাঙ্গামাটি, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট ও কক্সবাজার জেলা বন্যা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

মহিবুবর রহমান জানান, বন্যা আক্রান্ত ১৫ জেলায় এ পর্যন্ত নগদ তিন কোটি ১০ লাখ টাকা, ৮ হাজার ৭০০ টন ত্রাণের চাল, ৫৮ হাজার ৫০০ বস্তা শুকনো ব্যাগও অন্যান্য খাবার, শিশু খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই বন্যা বিস্তৃতি লাভ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুরো ১৫ জেলায় মানুষ পানিবন্দী নয়। কোনো কোনো জেলা আংশিকভাবে বন্যা কবলিত। এখন পর্যন্ত আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ২২৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ। কেউ মারা যায়নি। এর মধ্যেই পানিবন্দী মানুষ রয়েছেন। প্রতিদিনই মানুষ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।

বন্যা আক্রান্ত অঞ্চল নিয়ে সরকার কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বন্যা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃতি লাভ করলে সেই জায়গাগুলোকেও আমরা এড্রেস করবো। বন্যার কারণে দক্ষিণ দিকেও প্লাবিত হতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী মাস (আগস্ট) কিংবা তার পরের মাসেও (সেপ্টেম্বর) এ রকম আরেকটা বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বন্যার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।

সবার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি। তারপরও বিভিন্ন সময় পত্রিকায় দেখি যে কোনো কোনো জায়গায় খাদ্য পায়নি। এজন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবো।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে সংসদ সদস্য, ডিসি, ইউএনও-যখন যেটা চাচ্ছে আমরা দিচ্ছি। তারপরও গ্যাপ থাকার কোনো কারণ নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বন্যা কবলিত ১৫ জেলা, ক্ষতিগ্রস্ত ২০ লাখ মানুষ

আপডেট সময় : ০৫:০৩:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

 

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং অভ্যন্তরীণ বৃষ্টিপাতে দেশের ১৫ জেলা বন্যাকবলিত। এতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বানভাসি। শনিবার (৬ জুলাই) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, গাইবান্ধা, ফেনী, রাঙ্গামাটি, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট ও কক্সবাজার জেলা বন্যা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

মহিবুবর রহমান জানান, বন্যা আক্রান্ত ১৫ জেলায় এ পর্যন্ত নগদ তিন কোটি ১০ লাখ টাকা, ৮ হাজার ৭০০ টন ত্রাণের চাল, ৫৮ হাজার ৫০০ বস্তা শুকনো ব্যাগও অন্যান্য খাবার, শিশু খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই বন্যা বিস্তৃতি লাভ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুরো ১৫ জেলায় মানুষ পানিবন্দী নয়। কোনো কোনো জেলা আংশিকভাবে বন্যা কবলিত। এখন পর্যন্ত আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ২২৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ। কেউ মারা যায়নি। এর মধ্যেই পানিবন্দী মানুষ রয়েছেন। প্রতিদিনই মানুষ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।

বন্যা আক্রান্ত অঞ্চল নিয়ে সরকার কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বন্যা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃতি লাভ করলে সেই জায়গাগুলোকেও আমরা এড্রেস করবো। বন্যার কারণে দক্ষিণ দিকেও প্লাবিত হতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী মাস (আগস্ট) কিংবা তার পরের মাসেও (সেপ্টেম্বর) এ রকম আরেকটা বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বন্যার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।

সবার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি। তারপরও বিভিন্ন সময় পত্রিকায় দেখি যে কোনো কোনো জায়গায় খাদ্য পায়নি। এজন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবো।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে সংসদ সদস্য, ডিসি, ইউএনও-যখন যেটা চাচ্ছে আমরা দিচ্ছি। তারপরও গ্যাপ থাকার কোনো কারণ নেই।