বাংলাদেশকে শক্তিহীন রাষ্ট্রে পরিণত করতেই পিলখানা হত্যাকাণ্ড
- আপডেট সময় : ০৭:৩৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪ ৬৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশকে শক্তিহীন রাষ্ট্রে পরিণত করতেই পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানায় প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপি)।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পিলখানা হত্যার পুনঃতদন্ত, ষড়যন্ত্রকারীদের সেনা আইনে বিচারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে পিএনপি’র চেয়ারম্যান ফিরোজ মোহাম্মদ লিটন একথা বলেন।
ফিরোজ মোহাম্মদ লিটন বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘ মিশনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার সম্মান কুড়িয়েছে।
সার্বভৌমত্ব বিরোধীরা পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ২৫ শে ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মত লোমহর্ষক ঘটনা ঘটিয়েছে। যা দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র, বিডিআর বিদ্রোহের নামে সুপরিকল্পিতভাবে দেশপ্রেমিক ৫৭ জন সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে।
লিটন বলেন, বাংলাদেশকে শক্তিহীন রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য দেশবিরোধী আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে সাবেক শেখ হাসিনা, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, মির্জা আজম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুন, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন ভারতের বিখ্যাত লেখক অবিনাশ পালিয়ল এর লেখা বই নিউ জার্নিশ বইয়ে স্পষ্ট লেখা আছে, নেত্র নিউজের আর্টিকেলও লেখা আছে এই হত্যার ষড়যন্ত্র পরিকল্পিত। আর এজন্য জেনারেল শাকিল আত্মচিৎকার করেও কোন সহযোগিতা পাননি। তাই আমরা আমাদের দল মনে করে এ হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত করে সেনা আইনে বিচার ও ২৫শে ফেব্রুয়ারি কে জাতীয় শোক দিবস হিসাবে ঘোষণা করার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব টি. এম কামরুল হাসান হৃদয়, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ হেলাল উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক হাজী মো. নুরুন্নবী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ আকমল আলী প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।