ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুড়ীতে ডিবি হাতে ৪১০ ইয়াবাসহ ০১ জন আটক  Logo কিশোরগঞ্জে নিকলী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারও মাদক নির্মূলে সংবাদ সম্মেলন করছেন  Logo ঝিনাইদহে ভয়াবহ আগুনে পড়ল দুটি ট্রাক Logo পলাশবাড়ীতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি রবি গ্রেফতার Logo ডামুড্যায় জাকের পার্টি মৎস্যজীবী ফ্রন্টের দাওয়াতি মিশন সভা অনুষ্ঠিত Logo বিএমএসএস ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ফিরোজ এর আগমণে সিলেট জেলা ২০৯৭ শ্রমিক জোটের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান Logo নাটোরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ: যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড Logo ছাত্রনেতা পারভেজ হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তিতাস উপজেলা ছাত্রদল  Logo নেত্রকোণার কলমাকান্দায় অবৈধভাবে জমি বিক্রয়ের সাইনবোর্ড টাঙানোর অভিযোগ  Logo ভবদহ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে তিন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পরিদর্শন

রমজান পরবর্তী মসলাদার ভারী খাবার খেলে কি হয়, জানুন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪ ৪৬২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মুসলিম ধর্মাবলম্বি মানুষ দীর্ঘ একমাত্র পবিত্র রোজান পালন করে থাকেন। ভোর রাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লম্বা সময় না খেয়ে কাটানোর এক অভ্যস্ত হয়ে ওঠে একমাসে।

রোজা পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে এই অবস্থা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে হয়।

পুষ্ঠি বিজ্ঞানীরা মতে, রোজার পর হঠাৎ মসলাদার ভারি খাবার খেলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের বদহজম, গ্যাসের সমস্যা, কারও ডায়রিয়া হবার আশঙ্কা থাকে।

তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কারও কারও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এই উপসর্গ থেকে কি ভাবে নিজেকে মুক্ত রাখবেন, চলুন জেনে নিই।

একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। চিবিয়ে অল্প অল্প করে খেতে হবে।

খাবারের আধঘণ্টা আগে বা পরে পানি খেতে হবে। খাবার গ্রহণকালে অতিরিক্ত পানি খাওয়া ঠিক নয়।

গরমের সময় তৈরি খাবার বেশিক্ষণ বাইরে রাখা ঠিক নয়। সম্ভব হলে খাবার ফ্রিজে রাখুন।

এসময়টাতে খাদ্যতালিকায় সহজপাচ্য খাবার রাখতে হবে।

ফুলকপি, বাঁধাকপি, ভুট্টা, কর্নফ্লেকস খেলে অনেকের হজমের সমস্যা হতে পারে।

খাওয়া শেষে করেই বিছানায় গেলে খাবার হজমে সমস্যা হয়, এই বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরী। রাতের খাবার আটা নাগাদ সেরে ফেলা ভালো।

ভারী খাবার শেষে নিয়ম করে কিছুক্ষণ হাঁটলে ভালো। হাঁটা শেষে ১-২ ঘণ্টার মধ্যে শুয়ে পড়ুন। ভারী খাবার শেষে ঘরে তৈরি বোরহানি বা জিরাপানি খেতে যেতে পারে।

বদহজম হলে করনীয় :

কারও যদি বদহজম হয় বা গ্যাস হয়, সেক্ষেত্রে আরাম দিতে পারে জিরাপানি বা টক দই। আদা-চায়েও অনেকটা আরাম দিতে পারে। সকালে খালি পেটে ঘর থেকে বেরুনোর অভ্যস ত্যাগ করতে হবে।

অ্যাসিডিটির ওষুধে বদহজম নিরাময় হলেও অনেক দিন এ ধরণের ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। যদি ডায়রিয়া বা বারবার টয়লেট হয়, সেক্ষেত্রে স্যালাইন খেতে হবে।

এসময় দুধ ও শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কাঁচকলা এ ক্ষেত্রে উপকারী। কোন কোন ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক লাগতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া ভালো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রমজান পরবর্তী মসলাদার ভারী খাবার খেলে কি হয়, জানুন

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

 

মুসলিম ধর্মাবলম্বি মানুষ দীর্ঘ একমাত্র পবিত্র রোজান পালন করে থাকেন। ভোর রাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লম্বা সময় না খেয়ে কাটানোর এক অভ্যস্ত হয়ে ওঠে একমাসে।

রোজা পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে এই অবস্থা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে হয়।

পুষ্ঠি বিজ্ঞানীরা মতে, রোজার পর হঠাৎ মসলাদার ভারি খাবার খেলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের বদহজম, গ্যাসের সমস্যা, কারও ডায়রিয়া হবার আশঙ্কা থাকে।

তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কারও কারও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এই উপসর্গ থেকে কি ভাবে নিজেকে মুক্ত রাখবেন, চলুন জেনে নিই।

একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। চিবিয়ে অল্প অল্প করে খেতে হবে।

খাবারের আধঘণ্টা আগে বা পরে পানি খেতে হবে। খাবার গ্রহণকালে অতিরিক্ত পানি খাওয়া ঠিক নয়।

গরমের সময় তৈরি খাবার বেশিক্ষণ বাইরে রাখা ঠিক নয়। সম্ভব হলে খাবার ফ্রিজে রাখুন।

এসময়টাতে খাদ্যতালিকায় সহজপাচ্য খাবার রাখতে হবে।

ফুলকপি, বাঁধাকপি, ভুট্টা, কর্নফ্লেকস খেলে অনেকের হজমের সমস্যা হতে পারে।

খাওয়া শেষে করেই বিছানায় গেলে খাবার হজমে সমস্যা হয়, এই বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরী। রাতের খাবার আটা নাগাদ সেরে ফেলা ভালো।

ভারী খাবার শেষে নিয়ম করে কিছুক্ষণ হাঁটলে ভালো। হাঁটা শেষে ১-২ ঘণ্টার মধ্যে শুয়ে পড়ুন। ভারী খাবার শেষে ঘরে তৈরি বোরহানি বা জিরাপানি খেতে যেতে পারে।

বদহজম হলে করনীয় :

কারও যদি বদহজম হয় বা গ্যাস হয়, সেক্ষেত্রে আরাম দিতে পারে জিরাপানি বা টক দই। আদা-চায়েও অনেকটা আরাম দিতে পারে। সকালে খালি পেটে ঘর থেকে বেরুনোর অভ্যস ত্যাগ করতে হবে।

অ্যাসিডিটির ওষুধে বদহজম নিরাময় হলেও অনেক দিন এ ধরণের ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। যদি ডায়রিয়া বা বারবার টয়লেট হয়, সেক্ষেত্রে স্যালাইন খেতে হবে।

এসময় দুধ ও শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কাঁচকলা এ ক্ষেত্রে উপকারী। কোন কোন ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক লাগতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া ভালো।