ঢাকা ০৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

পাথরঘাটায় অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ

কোস্টগার্ডের স্থাপনা ও যানবাহন ভাংচুর

মনির হোসেন, মোংলা
  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বরগুনার পাথরঘাটায় অবৈধ আর্টিসানাল ট্রলিং বোট জব্দকে কেন্দ্র করে কোস্টগার্ডের স্থাপনা ও যানবাহন ভাংচুরসহ কোস্টগার্ড সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে অবরুদ্ধের অপচেষ্টা।
আজ বুধবার সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় টেকসই মৎস্য আহরণ ও সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার দুপুরে কোস্টগার্ড স্টেশন পাথরঘাটা কর্তৃক বরগুনার পাথরঘাটা থানায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২টি অবৈধ আর্টিসানাল ট্রলিং বোট জব্দ করা হয় এবং তল্লাশি করে ২০০ কেজি সামুদ্রিক মাছ উদ্ধার করা হয়। বোটে থাকা অভিযুক্ত ২৪ জন জেলেকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জব্দকৃত মাছ গরিব ও অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
উক্ত অভিযানকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার রাতে ৩০০ জন স্থানীয় দুষ্কৃতিকারী কোস্ট গার্ডের স্থাপনায় হামলা চালায়। দুষ্কৃতিকারীরা কোস্ট গার্ড সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা করে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং কোস্টগার্ডের ১টি পিকআপ ও ১টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এছাড়া টহল কাজে ব্যবহৃত একটি কাঠের বোট নদীতে ডুবিয়ে দেয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশের সমন্বিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

আটক জেলেরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ট্রলিংবোটের মাধ্যমে অগভীর পানিতে কাঁদা নিংড়ে মাছের পোনা ধ্বংস করে আসছে। এর ফলে সাগরে মাছ বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। ছোট মাছ ধরার পাশাপাশি ট্রলিং গিয়ারের আঘাতে প্রতিবছর কোটি কোটি মাছের পোনা ধ্বংস হচ্ছে। এতে অগভীর পানি বিষাক্ত হয়ে ডিম ও মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে তাদের এই ধ্বংসাত্মক কাজের ফলে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আজ হুমকির মুখে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে সাগর-মৎস্যশূন্য হয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। কোস্ট গার্ডের এখতিয়ারভুক্ত এলাকা সমূহে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এরূপ তৎপর অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাথরঘাটায় অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ

কোস্টগার্ডের স্থাপনা ও যানবাহন ভাংচুর

আপডেট সময় : ০১:৪৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

বরগুনার পাথরঘাটায় অবৈধ আর্টিসানাল ট্রলিং বোট জব্দকে কেন্দ্র করে কোস্টগার্ডের স্থাপনা ও যানবাহন ভাংচুরসহ কোস্টগার্ড সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে অবরুদ্ধের অপচেষ্টা।
আজ বুধবার সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় টেকসই মৎস্য আহরণ ও সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার দুপুরে কোস্টগার্ড স্টেশন পাথরঘাটা কর্তৃক বরগুনার পাথরঘাটা থানায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২টি অবৈধ আর্টিসানাল ট্রলিং বোট জব্দ করা হয় এবং তল্লাশি করে ২০০ কেজি সামুদ্রিক মাছ উদ্ধার করা হয়। বোটে থাকা অভিযুক্ত ২৪ জন জেলেকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জব্দকৃত মাছ গরিব ও অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
উক্ত অভিযানকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার রাতে ৩০০ জন স্থানীয় দুষ্কৃতিকারী কোস্ট গার্ডের স্থাপনায় হামলা চালায়। দুষ্কৃতিকারীরা কোস্ট গার্ড সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা করে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং কোস্টগার্ডের ১টি পিকআপ ও ১টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এছাড়া টহল কাজে ব্যবহৃত একটি কাঠের বোট নদীতে ডুবিয়ে দেয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশের সমন্বিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

আটক জেলেরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ট্রলিংবোটের মাধ্যমে অগভীর পানিতে কাঁদা নিংড়ে মাছের পোনা ধ্বংস করে আসছে। এর ফলে সাগরে মাছ বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। ছোট মাছ ধরার পাশাপাশি ট্রলিং গিয়ারের আঘাতে প্রতিবছর কোটি কোটি মাছের পোনা ধ্বংস হচ্ছে। এতে অগভীর পানি বিষাক্ত হয়ে ডিম ও মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে তাদের এই ধ্বংসাত্মক কাজের ফলে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আজ হুমকির মুখে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে সাগর-মৎস্যশূন্য হয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। কোস্ট গার্ডের এখতিয়ারভুক্ত এলাকা সমূহে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এরূপ তৎপর অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।