ঢাকা ০৭:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

নগর পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে – ডিএনসিসি প্রশাসক

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০:৩৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নগর পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে এবং নগর উন্নয়নে তাঁদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। গত বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে চায়না ওয়ার্ল্ড হোটেলে অনুষ্ঠিত এশিয়ান মেয়রস ফোরামের এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নাগরিকদের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক আদর্শ নগরী গড়ে তুলতে নগর পরিকল্পনায় সক্রিয় নাগরিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা আবশ্যক। তিনি উল্লেখ করেন, নাগরিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠাই হওয়া উচিত নগর পরিকল্পনার মূলভিত্তি। এই আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ডিএনসিসি প্রশাসক ফোরামে টেকসই নগর উন্নয়ন, জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো এবং নগর শাসনে উদ্ভাবনের ভূমিকা বিষয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও অগ্রগতি তুলে ধরেন। ফোরামে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ন্যায্য অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেতৃত্বের ভূমিকাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে বেইজিংয়ের চায়না ওয়ার্ল্ড হোটেলে ফোরামের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। ইউএনডিপির চীনে নিযুক্ত প্রতিনিধি বেয়াতে ট্রাংকমান (ইবধঃব ঞৎধহশসধহহ) উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, শহরগুলোকে নেতৃত্ব, সহযোগিতা এবং অর্থায়নের কাঠামোতে নতুন চিন্তা নিয়ে এগোতে হবে, যাতে তারা টেকসই উন্নয়নের পথ তৈরি করতে পারে। শক্তিশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদ্ভাবনী শাসন ব্যবস্থাই শহরকে গতি ও স্থিতিশীলতা দিতে পারে। এবারের ফোরামের প্রতিপাদ্য ছিল: সহযোগিতামূলক উদ্ভাবন: একটি নিম্ন-কার্বন ও টেকসই ভবিষ্যতের শহর নির্মাণ। এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চল থেকে আগত ১৬টিরও বেশি শহরের মেয়র, শহর প্রশাসক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা এই ফোরামে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও অংশগ্রহণ করেন জাতিসংঘ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (টঘ ঊঝঈঅচ), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (অউই), টঘঈঞঅউ, সিটি নেট, চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়, জওঈঝ এবং আরুপ-এর প্রতিনিধিরা। ফোরামে উপস্থিত ছিলেন ৫০০-এরও বেশি আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারী। বাংলাদেশের পক্ষে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ-এর এই অংশগ্রহণ দেশের নগর উন্নয়ন প্রচেষ্টার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যা আগামী দিনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তার নতুন দ্বার উন্মোচনে ভূমিকা রাখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নগর পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে – ডিএনসিসি প্রশাসক

আপডেট সময় : ১০:৩৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

নগর পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে এবং নগর উন্নয়নে তাঁদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। গত বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে চায়না ওয়ার্ল্ড হোটেলে অনুষ্ঠিত এশিয়ান মেয়রস ফোরামের এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নাগরিকদের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক আদর্শ নগরী গড়ে তুলতে নগর পরিকল্পনায় সক্রিয় নাগরিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা আবশ্যক। তিনি উল্লেখ করেন, নাগরিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠাই হওয়া উচিত নগর পরিকল্পনার মূলভিত্তি। এই আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ডিএনসিসি প্রশাসক ফোরামে টেকসই নগর উন্নয়ন, জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো এবং নগর শাসনে উদ্ভাবনের ভূমিকা বিষয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও অগ্রগতি তুলে ধরেন। ফোরামে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ন্যায্য অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেতৃত্বের ভূমিকাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে বেইজিংয়ের চায়না ওয়ার্ল্ড হোটেলে ফোরামের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। ইউএনডিপির চীনে নিযুক্ত প্রতিনিধি বেয়াতে ট্রাংকমান (ইবধঃব ঞৎধহশসধহহ) উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, শহরগুলোকে নেতৃত্ব, সহযোগিতা এবং অর্থায়নের কাঠামোতে নতুন চিন্তা নিয়ে এগোতে হবে, যাতে তারা টেকসই উন্নয়নের পথ তৈরি করতে পারে। শক্তিশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদ্ভাবনী শাসন ব্যবস্থাই শহরকে গতি ও স্থিতিশীলতা দিতে পারে। এবারের ফোরামের প্রতিপাদ্য ছিল: সহযোগিতামূলক উদ্ভাবন: একটি নিম্ন-কার্বন ও টেকসই ভবিষ্যতের শহর নির্মাণ। এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চল থেকে আগত ১৬টিরও বেশি শহরের মেয়র, শহর প্রশাসক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা এই ফোরামে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও অংশগ্রহণ করেন জাতিসংঘ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (টঘ ঊঝঈঅচ), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (অউই), টঘঈঞঅউ, সিটি নেট, চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়, জওঈঝ এবং আরুপ-এর প্রতিনিধিরা। ফোরামে উপস্থিত ছিলেন ৫০০-এরও বেশি আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারী। বাংলাদেশের পক্ষে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ-এর এই অংশগ্রহণ দেশের নগর উন্নয়ন প্রচেষ্টার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যা আগামী দিনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তার নতুন দ্বার উন্মোচনে ভূমিকা রাখবে।