ঢাকা ০৬:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

পত্নীতলায় আউস ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

হাসান শাহারিয়ার পল্লব, নওগাঁ ব্যুরো
  • আপডেট সময় : ১২:৫০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫ ৬৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নওগাঁ উত্তরে ভারত সীমান্ত ঘেষা বরেন্দ্রভূমি জনপদে শস্য ভান্ডার খ্যাত পত্নীতলা উপজেলায় মাঠজুড়ে চলছে আউস ধান রোপণ এর মহা উৎসব।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে চলতি আউস মৌসুমে প্রায় ৬ হাজার ৬শ ৬০ হেক্টর জমিতে আউস ধান চাষ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রণোদনার আওতায় ৪ হাজার ৫শ জন প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ডি.এ.পি-১০কেজি, এম.ও.পি-১০ কেজি ও ধানবীজ-৫ কেজি করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ,উঠান বৈঠক,মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এবার উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান-৪৮,ব্রিধান-৫৬ ব্রিধান-৯৮সহ স্থানীয় জাতের আউস ধান রোপণ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায় আউস ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষিশ্রমিক ও কৃষকেরা।কেউ জমিতে মই দিচ্ছে,কেউ চারা তুলে দিচ্ছে,কেউ রোপণ করছে।আউস ধান রোপণ চুক্তিতে বিঘা প্রতি ১ হাজার ৬শ টাকা করে নিচ্ছে কৃষি শ্রমিকরা।
উপজেলার নজিপুর ইউনিয়নের নাদৌড় গ্রামের কৃষক অনিল চন্দ্র মহন্ত(৫৬) বলেন, তিনি এবার প্রায় ৫ বিঘা জমিতে আউস ধান রোপণ করেছেন।বর্ষায় বৃষ্টি না হওয়ায় পানিসেচ দিয়ে আউস ধান রোপণ করতে হয়েছে।
গত বছরের তুলনায় কৃষিশ্রমিক অনেক সংকট।আউস ধান রোপণের খরচও এ বছর বেশি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো.সোহরাব হোসেন বলেন,আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও রোগবালাই কম হলে কৃষকরা লাভবান হবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পত্নীতলায় আউস ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

আপডেট সময় : ১২:৫০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

নওগাঁ উত্তরে ভারত সীমান্ত ঘেষা বরেন্দ্রভূমি জনপদে শস্য ভান্ডার খ্যাত পত্নীতলা উপজেলায় মাঠজুড়ে চলছে আউস ধান রোপণ এর মহা উৎসব।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে চলতি আউস মৌসুমে প্রায় ৬ হাজার ৬শ ৬০ হেক্টর জমিতে আউস ধান চাষ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রণোদনার আওতায় ৪ হাজার ৫শ জন প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ডি.এ.পি-১০কেজি, এম.ও.পি-১০ কেজি ও ধানবীজ-৫ কেজি করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ,উঠান বৈঠক,মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এবার উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান-৪৮,ব্রিধান-৫৬ ব্রিধান-৯৮সহ স্থানীয় জাতের আউস ধান রোপণ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায় আউস ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষিশ্রমিক ও কৃষকেরা।কেউ জমিতে মই দিচ্ছে,কেউ চারা তুলে দিচ্ছে,কেউ রোপণ করছে।আউস ধান রোপণ চুক্তিতে বিঘা প্রতি ১ হাজার ৬শ টাকা করে নিচ্ছে কৃষি শ্রমিকরা।
উপজেলার নজিপুর ইউনিয়নের নাদৌড় গ্রামের কৃষক অনিল চন্দ্র মহন্ত(৫৬) বলেন, তিনি এবার প্রায় ৫ বিঘা জমিতে আউস ধান রোপণ করেছেন।বর্ষায় বৃষ্টি না হওয়ায় পানিসেচ দিয়ে আউস ধান রোপণ করতে হয়েছে।
গত বছরের তুলনায় কৃষিশ্রমিক অনেক সংকট।আউস ধান রোপণের খরচও এ বছর বেশি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো.সোহরাব হোসেন বলেন,আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও রোগবালাই কম হলে কৃষকরা লাভবান হবেন।