ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

১২২ বছরের ইতিহাসকে সঙ্গী করে পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছে স্পেশাল ট্রেন

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৫৬ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শুরুটা হয়েছিলো ১৯০২ সাল থেকে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের হয়রত আলী আব্দুল কাদের সামশুল কাদের সৈয়দ শাহ্ মোরশেদ আলী আল্ কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল্ বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আ:)-এর বেশ অনুসারী রয়েছেন রাজবাড়ী জেলায়।

এসব ভক্তদের অনেকেই প্রতিবছর বার্ষিক ও ওরশে অংশ নিতে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর যান। তাদের যাতায়তের সুবিধার্থে একটি বিশেষ টে নের ব্যবস্থা করা হয় এবং ১৯০২ সাল থেকে এই রেওয়াজ আজও চলমান।

আগামী শনিবার (১৭ ফেব্রুযারি) ১২৩তম বার্ষিক ওরশ উদ্যাপিত হবে। সেখানে ২ হাজার ২৫১জন অংশ নেবেন। এ বিষয়ে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ীর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ কাদেরী খোকন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ওরশ শরিফে যোগ দিতে এ বছর এক হাজার তিনশ ১৬ জন পুরুষ, আটশ ৫২ জন নারী এবং ৮৩ জন শিশুসহ মোট দুই হাজার দুইশ ৫১ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ছেড়ে যাবে। ওরশ শেষে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী ফিরবে।

ফাইল ছবি

এবারে বাংলাদেশের রাজবাড়ীর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে ১২৩তম বার্ষিক ওরস শরিফ উৎযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের রাজবাড়ী থেকে ২ হাজার ২০০ বেশি ভক্ত সেখানে অংশ নেবেন। তাদের যাতায়তে বাংলাদেশের রেলওয়ের পশ্চিব বিভাগের একটি বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ করা হয়েছে। যার নামকরণ করা হয়েছে ওরস স্পেশাল ট্রেন।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে ২৪ বগি বিশেষ ট্রেনটি ভারতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে এবং ওরস শেষে ট্রেনটি ১৯ ফেব্রুয়ারি ফিরে আসবে।

বাংলাদেশ-ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। এর মধ্যে দেশভাগ হয়ে গেলেও ঐতিহ্য রক্ষায় দুই দেশের রেল কর্তৃপক্ষ এই সেবা চালু রেখেছে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে ওরশ স্পেশাল ট্রেন যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

১২২ বছরের ইতিহাসকে সঙ্গী করে পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছে স্পেশাল ট্রেন

আপডেট সময় : ০১:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

শুরুটা হয়েছিলো ১৯০২ সাল থেকে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের হয়রত আলী আব্দুল কাদের সামশুল কাদের সৈয়দ শাহ্ মোরশেদ আলী আল্ কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল্ বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আ:)-এর বেশ অনুসারী রয়েছেন রাজবাড়ী জেলায়।

এসব ভক্তদের অনেকেই প্রতিবছর বার্ষিক ও ওরশে অংশ নিতে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর যান। তাদের যাতায়তের সুবিধার্থে একটি বিশেষ টে নের ব্যবস্থা করা হয় এবং ১৯০২ সাল থেকে এই রেওয়াজ আজও চলমান।

আগামী শনিবার (১৭ ফেব্রুযারি) ১২৩তম বার্ষিক ওরশ উদ্যাপিত হবে। সেখানে ২ হাজার ২৫১জন অংশ নেবেন। এ বিষয়ে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ীর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ কাদেরী খোকন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ওরশ শরিফে যোগ দিতে এ বছর এক হাজার তিনশ ১৬ জন পুরুষ, আটশ ৫২ জন নারী এবং ৮৩ জন শিশুসহ মোট দুই হাজার দুইশ ৫১ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ছেড়ে যাবে। ওরশ শেষে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী ফিরবে।

ফাইল ছবি

এবারে বাংলাদেশের রাজবাড়ীর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে ১২৩তম বার্ষিক ওরস শরিফ উৎযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের রাজবাড়ী থেকে ২ হাজার ২০০ বেশি ভক্ত সেখানে অংশ নেবেন। তাদের যাতায়তে বাংলাদেশের রেলওয়ের পশ্চিব বিভাগের একটি বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ করা হয়েছে। যার নামকরণ করা হয়েছে ওরস স্পেশাল ট্রেন।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে ২৪ বগি বিশেষ ট্রেনটি ভারতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে এবং ওরস শেষে ট্রেনটি ১৯ ফেব্রুয়ারি ফিরে আসবে।

বাংলাদেশ-ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। এর মধ্যে দেশভাগ হয়ে গেলেও ঐতিহ্য রক্ষায় দুই দেশের রেল কর্তৃপক্ষ এই সেবা চালু রেখেছে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে ওরশ স্পেশাল ট্রেন যায়নি।