উত্তরজনপদে বন্যার পদধ্বনি, নির্ঘুম তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা

- আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২০ বার পড়া হয়েছে

পানি বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহীর গোদাগাড়ীর চর বয়ারমারী থেকে বাড়িঘর ভেঙে নিয়ে আসছেন লোকজন। বৃহস্পতিবার গোদাগাড়ী রেলবাজার ঘাটের চিত্র : ছবি সংগ্রহ
পানি বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহীর গোদাগাড়ীর চর বয়ারমারী থেকে বাড়িঘর ভেঙে নিয়ে আসছেন লোকজন। বৃহস্পতিবার গোদাগাড়ী রেলবাজার ঘাটের চিত্র : ছবি সংগ্রহ
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, কয়েক দিন যাবত তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। শনিবারের (২৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যে পানি আরও দ্রুত বাড়তে পারে। এতে নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে হঠাৎ ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলেও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদী তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও আত্রাইয়ের পানি ফুঁসে ওঠছে। এখনো এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। তিস্তা নদীর পানি আজ বিপৎসীমার কাছাকাছি বা অতিক্রমও করে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ শনিবার থেকে তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। আগামী চার-পাঁচ দিন পর গঙ্গা অববাহিকায় পানি বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় গতকাল ১০০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দেশের মধ্যাঞ্চলের এলাকা রাজধানীসহ ঢাকা বিভাগেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া অঞ্চলের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, লালমনিরহাটের দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বুধবার তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার কিছুটা বেড়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে। গতকাল শুক্রবার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।