ঢাকা ১২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মঙ্গলবার লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১২:১৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসায় বিদেশ যাত্রার জন্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির রাজকীয় বহরের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন। সর্বাধুনিক চিকিৎসা সুবিধা সম্বলিত এই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ফ্লাইটে করেই মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা নাগাদ লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা রয়েছে।

এই সফরে মধ্য দিয়ে সাত বছর পর দেখা মিলবে জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার দেশের ফেরার তারিখ নির্ধারণ হবে।

রোববার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সকল সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন খালেদা জিয়া। এছাড়াও এক সময়কার বিএনপি নেতা ও পরবর্তী রাজনৈতিক দল এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ এবং রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি খালেদা জিয়া।

দলীয় সূত্রের খবর, লন্ডনে পৌঁছে সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা রয়েছে খালেদা জিয়ার। বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে কিছুদিন থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। সেখানে মেরিল্যান্ডের পূর্ব বাল্টিমোরে অবস্থিত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন তিনি।

শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এরপর থেকেই বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবার এবং দলের তরফে দাবি জানিয়ে আসছিলো।

কারাবাসকালীন বেগম খালেদা জিয়াকে কারা কর্তৃপক্ষ তৎকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করলেও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার। ২০২০ সালের মার্চে তৎকালীন সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি পান তিনি।

কারামুক্তির পর থেকে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় থাকলেও এ সময়ে তাকে একাধিকবার জরুরি ভিত্তিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে, লিভার সিরোসিসের চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিকিৎসক এনে টিপস করানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও তার বিদেশে চিকিৎসার দরজা উন্মুক্ত হচ্ছিল না।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ভারতে পলায়নের পর ৬ আগস্ট খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এর পরপরই তার বিদেশযাত্রা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়। তিনি কোন দেশে যেতে পারেন, সেটা নিয়ে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড ও পরিবার একাধিকবার বৈঠক করেছে।

এ সময়ের মধ্যে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থাও দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য পারমিট করছিল না। এমন অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ ভ্রমণের উপযোগী করে তোলা, কোনোভাবে তাকে বিদেশে নেওয়া যায় এবং তার পাসপোর্ট জটিলতা নিরসনের ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এরইমধ্যে বেগম জিয়ার নতুন পাসপোর্ট করানো, ভিসা জটিলতা কেটে গেছে। তিনি যুক্তরাজ্য ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের ভিসাও পেয়েছেন।

২০০৭ সাল থেকে বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে। মঙ্গলবার রাত ১০টায় বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ফ্লাইটে ঢাকার আকাশ থেকে উড্ডয়নের কয়েক ঘণ্টা পর লন্ডনে পৌঁছাবেন খালেদা জিয়া। সেখানেই দেখা হবে তারেক রহমানের সঙ্গে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মঙ্গলবার লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

আপডেট সময় : ১২:১৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

 

খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসায় বিদেশ যাত্রার জন্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির রাজকীয় বহরের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন। সর্বাধুনিক চিকিৎসা সুবিধা সম্বলিত এই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ফ্লাইটে করেই মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা নাগাদ লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা রয়েছে।

এই সফরে মধ্য দিয়ে সাত বছর পর দেখা মিলবে জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার দেশের ফেরার তারিখ নির্ধারণ হবে।

রোববার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সকল সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন খালেদা জিয়া। এছাড়াও এক সময়কার বিএনপি নেতা ও পরবর্তী রাজনৈতিক দল এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ এবং রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি খালেদা জিয়া।

দলীয় সূত্রের খবর, লন্ডনে পৌঁছে সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা রয়েছে খালেদা জিয়ার। বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে কিছুদিন থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। সেখানে মেরিল্যান্ডের পূর্ব বাল্টিমোরে অবস্থিত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন তিনি।

শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এরপর থেকেই বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবার এবং দলের তরফে দাবি জানিয়ে আসছিলো।

কারাবাসকালীন বেগম খালেদা জিয়াকে কারা কর্তৃপক্ষ তৎকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করলেও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার। ২০২০ সালের মার্চে তৎকালীন সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি পান তিনি।

কারামুক্তির পর থেকে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় থাকলেও এ সময়ে তাকে একাধিকবার জরুরি ভিত্তিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে, লিভার সিরোসিসের চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিকিৎসক এনে টিপস করানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও তার বিদেশে চিকিৎসার দরজা উন্মুক্ত হচ্ছিল না।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ভারতে পলায়নের পর ৬ আগস্ট খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এর পরপরই তার বিদেশযাত্রা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়। তিনি কোন দেশে যেতে পারেন, সেটা নিয়ে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড ও পরিবার একাধিকবার বৈঠক করেছে।

এ সময়ের মধ্যে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থাও দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য পারমিট করছিল না। এমন অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ ভ্রমণের উপযোগী করে তোলা, কোনোভাবে তাকে বিদেশে নেওয়া যায় এবং তার পাসপোর্ট জটিলতা নিরসনের ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এরইমধ্যে বেগম জিয়ার নতুন পাসপোর্ট করানো, ভিসা জটিলতা কেটে গেছে। তিনি যুক্তরাজ্য ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের ভিসাও পেয়েছেন।

২০০৭ সাল থেকে বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে। মঙ্গলবার রাত ১০টায় বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ফ্লাইটে ঢাকার আকাশ থেকে উড্ডয়নের কয়েক ঘণ্টা পর লন্ডনে পৌঁছাবেন খালেদা জিয়া। সেখানেই দেখা হবে তারেক রহমানের সঙ্গে।