ঢাকা ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ সমন্বয়কের পদত্যাগ Logo মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেওয়া ফাতেমার বাড়িতে প্রতি মাসে বাজার দেন তারেক রহমান Logo ওয়াসা খসড়ায় অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন Logo গ্যাস অনুসন্ধান: ২০২৮ সাল নাগাদ ১৩৫টি কূপ খনন:উপদেষ্টা Logo শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসছে বিএনপি Logo শিগগিরই বাতিল হবে সাইবার নিরাপত্তা আইন: আসিফ নজরুল Logo বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৯২টি গুলি ছোঁড়েন আওয়ামী গফুর মোল্লা Logo নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চুক্তি স্বাক্ষর Logo টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম Logo নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এক দশক পর বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জয়

সরসপুর কল্যাণ সংঘের মানবসেবা অব্যাহত

হতদরিদ্র মৃত তরিকুলের পরিবারকে গরু ও সেলাই মেশিন দিয়ে সহায়তা প্রদান

মো. রবিউল ইসলাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৪০১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিডনি জটিলতায় হতদরিদ্র যুবক তরিকুলের অকাল মৃত্যুর পরে তার অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াল সমাজকল্যাণমূলক সংগঠন সরসপুর কল্যাণ সংঘ। পরিবারের একমাত্র অবলম্বনের প্রয়াণের পর দিশাহারা পরিবারটি যখন চরম হতাশা আর অনিশ্চয়তার দিকে ছিলো তখন মানবতার দূত হিসেবে পরিবারটিকে উপর্জনের উপকরণ সেলাই মেশিন ও জীবিকার অন্বেষনে একটি বলদ গরু দেয়ার কারণে পরিবারটি পেল বেঁচে থাকার কিছু একটা অবলম্বন।
সহায়তা পেয়ে আপ্লুত পরিবারটি অনেক আনন্দিত। মৃত তরিকুলের স্ত্রী বার বার সরসপুর কল্যাণ সংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, মেয়েটিকে নিয়ে যখন চারদিকে অন্ধকার দেখছিলাম তখন আপনাদের এই উপকারের প্রতিদান আল্লাহ আপনাদের দিবে।

উল্লেখ্য, ‘একতা, শিক্ষা ও পারস্পরিক সহমর্মিতাই শক্তি এবং সেবাই ব্রত’ এই প্রত্যয়কে সামনে রেখে একটি অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সামাজিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৮ সাল থেকে সরশপুর কল্যাণ সংঘের পদচারণা শুরু হয়। বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলাধীন ৬ নং কোদালিয়া ইউনিয়নের সরশপুর গ্রামের তরুণদের নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল এই সামাজিক সংগঠনটি।

এখন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের প্রচেষ্টা ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই সংগঠনটি ইতোমধ্যেই নানাবিধ জন কল্যাণমূলক কাজ করেছে। সরশপুর গ্রামের ৫/৬ জন মানুষের চিকিৎসায় সহযোগিতা ও বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক ও সচেতনতা মূলক কাজ করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

শুধুমাত্র ব্যক্তি কেন্দ্রিক সেবা প্রদানই এই সংগঠনের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ নয়, প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও এই প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ২০১৯ সালে মহামারী করোনার সময় সরশপুর গ্রামের সাশমুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্রদের কল্যাণ ও শিক্ষকদের বেতন প্রদানের জন্য এককালীন ৫০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা প্রদান করে এই সংগঠনটি। সরসপুর গ্রামের অপর একটি মহিলা মাদ্রাসা “হযরত ফাতেমাতুজ জহরা (রা:) নছুফিয়া মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা” আর্থীক সহযোগিতা করেছে সরসপুর কল্যাণ সংঘ। খেলাধূলা ক্ষেত্রেও এই সংগঠনের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। যেমন সরসপুর বাজার সংলগ্ন খেলার মাঠ সম্প্রসারণ ও সংস্করণ (সরকারি ও গ্রামের মানুষের সহায়তা), মাঠে যাতে কিশোর ও যুবকরা নিয়মিত খেলাধুলা করতে যায় এবং খেলা প্রোয়জনীয় সামগ্রী পায় সেগুলোর ব্যবস্থা করেছে কল্যাণ সংঘ। এছাড়াও সবার মাঝে প্রকৃত ধর্মীয় জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে গ্রামের সকল জনসাধারণ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো সার্বজনীন ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে সংগঠনটি।

এই সংগঠনটির সেবা শুধু সরসপুর গ্রামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতেও এই প্রতিষ্ঠানের সেবামূলক কার্যক্রম বিস্তৃত। যেমন পার্শ্ববর্তী চালটুরী গ্রামে একটা মসজিদ “চাউলটুরী দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদ” নির্মাণে ৯০ (নব্বই হাজার) টাকা অনুদান সংগ্রহ করে দেয় সংগঠনটি।

অত্র এলাকার মানুষ কে সাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করতে এবং অহসায় দরিদ্র মানুষদের কে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে ২০২৩ সালের ১লা মে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান এবং রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের আয়োজন করে এই সরশপুর কল্যাণ সংঘ। দিনব্যাপী এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইনে চিকিৎসাসেবা প্রদান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যায়ের নিউরো সার্জন ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. কে. এম তারিকুল ইসলাম ও মোল্লাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোসা মাহফুজা খাতুন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারী হাসপাতালের অন্তত ৪/৫ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ সেবা প্রদান করেন। এই ক্যাম্পেইনে অত্র অঞ্চলের সহস্রাধিক মানুষকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা, ঔষধ প্রদান এবং রক্তের গ্রুপ নির্নয়ের মাধ্যমে বিশেষ সেবা প্রদান করা হয়।

সংগঠনটির উপদেষ্টা ড. মোঃ ইবাদ আলী (মিস্টু) বলেন, দিন দিন এই প্রতিষ্ঠানের সেবামূলক কাজের পরিধি এবং কাজের এলাকা সম্প্রসারিত হচ্ছে। সংগঠন টি যখন যাত্রা শুরু করেছিল তখন হয়তো বছরে একটা ভালো কাজ তথা সেবামূলক কাজ হাতে নিতে পারতো এই সংগঠনটি কিন্ত বর্তমানে বছরে ২/৩ টি সেবামূলক কাজ করছে। সুতরাং যাতে এই সংগঠনটির সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকে এবং আরো বেশি বেশি সেবামূলক কাজ করতে পারে, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের বিপদে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে পারে। তাই সমাজের বৃত্তবান মানুষের প্রতি আমাদের এই সংগঠনের পক্ষ থেকে উদার্তো আহ্বান জানাচ্ছি যেন তাঁরা এই প্রতিষ্ঠানটির পাশে দাড়ায়। এই পাশে দাঁড়ানোর মানেই হলো আপনি একটা অসহায় মানুষের তথা একটা দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। আপনাদের এই সহযোগিতা বা শুভ দৃষ্টি আমাদের এই কল্যাণ সংঘকে আরো উৎসাহিত করবে এবং আমরা আরো অনেক ভালো কাজ করতে উৎসাহিত হবো এবং সরসপুর গ্রাম তথা অত্র অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আমরা আশা করি কোনো মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না এবং কোন ছেলেমেয়ে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে না। আমাদের কল্যাণ সংঘের উদ্দেশ্য সেবা প্রদানের মাধ্যমে মানুষ কে সাবলমবি করা, সচেতন করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সরসপুর কল্যাণ সংঘের মানবসেবা অব্যাহত

হতদরিদ্র মৃত তরিকুলের পরিবারকে গরু ও সেলাই মেশিন দিয়ে সহায়তা প্রদান

আপডেট সময় : ০৩:০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কিডনি জটিলতায় হতদরিদ্র যুবক তরিকুলের অকাল মৃত্যুর পরে তার অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াল সমাজকল্যাণমূলক সংগঠন সরসপুর কল্যাণ সংঘ। পরিবারের একমাত্র অবলম্বনের প্রয়াণের পর দিশাহারা পরিবারটি যখন চরম হতাশা আর অনিশ্চয়তার দিকে ছিলো তখন মানবতার দূত হিসেবে পরিবারটিকে উপর্জনের উপকরণ সেলাই মেশিন ও জীবিকার অন্বেষনে একটি বলদ গরু দেয়ার কারণে পরিবারটি পেল বেঁচে থাকার কিছু একটা অবলম্বন।
সহায়তা পেয়ে আপ্লুত পরিবারটি অনেক আনন্দিত। মৃত তরিকুলের স্ত্রী বার বার সরসপুর কল্যাণ সংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, মেয়েটিকে নিয়ে যখন চারদিকে অন্ধকার দেখছিলাম তখন আপনাদের এই উপকারের প্রতিদান আল্লাহ আপনাদের দিবে।

উল্লেখ্য, ‘একতা, শিক্ষা ও পারস্পরিক সহমর্মিতাই শক্তি এবং সেবাই ব্রত’ এই প্রত্যয়কে সামনে রেখে একটি অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সামাজিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৮ সাল থেকে সরশপুর কল্যাণ সংঘের পদচারণা শুরু হয়। বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলাধীন ৬ নং কোদালিয়া ইউনিয়নের সরশপুর গ্রামের তরুণদের নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল এই সামাজিক সংগঠনটি।

এখন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের প্রচেষ্টা ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই সংগঠনটি ইতোমধ্যেই নানাবিধ জন কল্যাণমূলক কাজ করেছে। সরশপুর গ্রামের ৫/৬ জন মানুষের চিকিৎসায় সহযোগিতা ও বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক ও সচেতনতা মূলক কাজ করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

শুধুমাত্র ব্যক্তি কেন্দ্রিক সেবা প্রদানই এই সংগঠনের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ নয়, প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও এই প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ২০১৯ সালে মহামারী করোনার সময় সরশপুর গ্রামের সাশমুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্রদের কল্যাণ ও শিক্ষকদের বেতন প্রদানের জন্য এককালীন ৫০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা প্রদান করে এই সংগঠনটি। সরসপুর গ্রামের অপর একটি মহিলা মাদ্রাসা “হযরত ফাতেমাতুজ জহরা (রা:) নছুফিয়া মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা” আর্থীক সহযোগিতা করেছে সরসপুর কল্যাণ সংঘ। খেলাধূলা ক্ষেত্রেও এই সংগঠনের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। যেমন সরসপুর বাজার সংলগ্ন খেলার মাঠ সম্প্রসারণ ও সংস্করণ (সরকারি ও গ্রামের মানুষের সহায়তা), মাঠে যাতে কিশোর ও যুবকরা নিয়মিত খেলাধুলা করতে যায় এবং খেলা প্রোয়জনীয় সামগ্রী পায় সেগুলোর ব্যবস্থা করেছে কল্যাণ সংঘ। এছাড়াও সবার মাঝে প্রকৃত ধর্মীয় জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে গ্রামের সকল জনসাধারণ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো সার্বজনীন ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে সংগঠনটি।

এই সংগঠনটির সেবা শুধু সরসপুর গ্রামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতেও এই প্রতিষ্ঠানের সেবামূলক কার্যক্রম বিস্তৃত। যেমন পার্শ্ববর্তী চালটুরী গ্রামে একটা মসজিদ “চাউলটুরী দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদ” নির্মাণে ৯০ (নব্বই হাজার) টাকা অনুদান সংগ্রহ করে দেয় সংগঠনটি।

অত্র এলাকার মানুষ কে সাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করতে এবং অহসায় দরিদ্র মানুষদের কে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে ২০২৩ সালের ১লা মে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান এবং রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের আয়োজন করে এই সরশপুর কল্যাণ সংঘ। দিনব্যাপী এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইনে চিকিৎসাসেবা প্রদান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যায়ের নিউরো সার্জন ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. কে. এম তারিকুল ইসলাম ও মোল্লাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোসা মাহফুজা খাতুন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারী হাসপাতালের অন্তত ৪/৫ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ সেবা প্রদান করেন। এই ক্যাম্পেইনে অত্র অঞ্চলের সহস্রাধিক মানুষকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা, ঔষধ প্রদান এবং রক্তের গ্রুপ নির্নয়ের মাধ্যমে বিশেষ সেবা প্রদান করা হয়।

সংগঠনটির উপদেষ্টা ড. মোঃ ইবাদ আলী (মিস্টু) বলেন, দিন দিন এই প্রতিষ্ঠানের সেবামূলক কাজের পরিধি এবং কাজের এলাকা সম্প্রসারিত হচ্ছে। সংগঠন টি যখন যাত্রা শুরু করেছিল তখন হয়তো বছরে একটা ভালো কাজ তথা সেবামূলক কাজ হাতে নিতে পারতো এই সংগঠনটি কিন্ত বর্তমানে বছরে ২/৩ টি সেবামূলক কাজ করছে। সুতরাং যাতে এই সংগঠনটির সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকে এবং আরো বেশি বেশি সেবামূলক কাজ করতে পারে, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের বিপদে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে পারে। তাই সমাজের বৃত্তবান মানুষের প্রতি আমাদের এই সংগঠনের পক্ষ থেকে উদার্তো আহ্বান জানাচ্ছি যেন তাঁরা এই প্রতিষ্ঠানটির পাশে দাড়ায়। এই পাশে দাঁড়ানোর মানেই হলো আপনি একটা অসহায় মানুষের তথা একটা দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। আপনাদের এই সহযোগিতা বা শুভ দৃষ্টি আমাদের এই কল্যাণ সংঘকে আরো উৎসাহিত করবে এবং আমরা আরো অনেক ভালো কাজ করতে উৎসাহিত হবো এবং সরসপুর গ্রাম তথা অত্র অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আমরা আশা করি কোনো মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না এবং কোন ছেলেমেয়ে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে না। আমাদের কল্যাণ সংঘের উদ্দেশ্য সেবা প্রদানের মাধ্যমে মানুষ কে সাবলমবি করা, সচেতন করা।