দু’দিন পর তাপমাত্রা কমার আভাস, চলাচলে সাবধান হতে হবে
- আপডেট সময় : ০৯:২২:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে
অতিমাত্রায় গরম। রাস্তায় চলতে গিয়ে চোখে প্রচন্ড জ্বালা। সঙ্গে থাকা পানির বোতল খুলে চোখে-মুখে পানি ছিটিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। রাস্তায় অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় নানা ধরণের শরবত পানে ও তরমুজ, শশা খেয়ে তেষ্টা মেটানোর চেষ্টা পেশাজীবী মানুষের। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, „আরও দু’দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে।
আবহাওয়া অফিসের বার্তা শনিবার (৪ মে) দেশের অধিকাংশ এলাকায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। দিনের তাপমাত্রা উষ্ণ এবং রাতের তাপমাত্রাও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। আগামী সোম ও মঙ্গলবার বৃষ্টি বাড়ে তাপমাত্রা কিছুটা কমার অভাস আবহাওয়া অফিসের।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা শহরে বৃষ্টির পরও তাপমাত্রা কমেনি। শুক্রবার দুপুর থেকে তাপপ্রবাহ ফিরে আসে। অপরিকল্পিত ঢাকায় বাসযোগ্য পরিবেশ নেই। অতিরিক্ত জনসংখ্যা এই শহরে ইটপাথরের ভবন, রাস্তায় চলাচলকারী যনাবাহন, পরিবেশ দূষণ, ধূলোবালি আল শব্দ দূষণের ঢাকায় তাপমাত্রা কমার একমাত্র উপায় ভারী বৃষ্টিপাত।
ঢাকা নগরীতে অতিরিক্ত গরম অনুভূত হবার বিষয়ে অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু বলেন, ঢাকায় অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল, ভবন, পরিবেশ দূষণের কারণে গরম বেশি অনুভূত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গাছপালা নিয়ামক হিসাবে কাজ করতে পারে।
বিশেষ এই চিকিৎসক আরও বলেন, গাছ শব্দ দূষণ প্রতিরোধ করে। যেখানে যতবেশি গাছ, সেখানে শব্দ দূষণ কম। ধানমণ্ডি লেকের একটি রেষ্টুরেন্টের উদারহরণ টেনে অধ্যাপক লিটু বলেন, সেখানে বসলে শব্দ দূষণ তেমন অনুভূত হয় না।
অপর দিকে দেশজুড়ে যখন তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তখন পঞ্চগড়ের রাতের তাপমাত্রা এক লাফে ১৩ ডিগ্রিতে নেমে আসে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কোথাও কোথাও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। কিছু স্থানে হতে পারে শিলাবৃষ্টিও।
গরমজনিত রোগবালাই ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। অসুস্থতার তালিকায় শিশু ও বয়ষ্ক মানুষের সংখ্যাই বেশি।
তাপপ্রবাহের কারণে ঢাকাসহ দেশের ২৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে। ঈদের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ২০ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহের ছুটি ঘোষণা করা হয়।
তাপপ্রবাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় অঞ্চলভেদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়।