ঢাকা ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কালিগঞ্জে নিরাপদ সড়ক দিবসে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo মোংলায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন Logo কক্সবাজারে পর্যটক নিরাপত্তায় রিজিয়ন ট্যুরিস্ট পুলিশের এডিআইজি আপেল মাহমুদ Logo সিরাজদিখানে গ্রাম পুলিশের মাঝে পোশাক ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ Logo কালিগঞ্জে মাংসের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত Logo পলাশবাড়ী পৌরসভার বহুমুখী উন্নয়নে কাস্টার ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান শীর্ষক দিনব্যাপি কর্মশালা Logo টেকনাফে পাহাড়ের পর সাগর পথে পাচার কালে ২৯ জন ভুক্তভোগী সহ মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য আটক Logo তিতাসে বিএনপির লিপলেট বিতরণ Logo গোমস্তাপুরে জোরপূর্বক ধানীজমি দখলের চেষ্টা Logo কিশোরগঞ্জে রেলের গাছ কেটে বিক্রি করলেন কর্মচারীরা

ডিমলায় জব্দকৃত পাথর লুটপাট

ডিমলা ( নীলফামারী)প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২১০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নীলফামারীর ডিমলায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দকৃত সরকারী পাথরের স্তুপ গভীর রাতে তিস্তা নদী হতে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তরন কারী সিন্ডিকেটের গডফাদার কর্তৃক লুটতরাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি সম্পদ লুন্ঠনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। লুট হয়ে যাওয়া পাথর উদ্ধার সহ ঘটনায় জড়িত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি সচেতন মহলের। নয়তো তিস্তা নদী হতে অবৈধ পাথর উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধে সরকারের নির্দেশিত আইন প্রয়োগে বিঘ্নিত ঘটে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে নিশ্চিত।
দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকায় তিস্তা নদীত পাথর উত্তোলনের একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে উপজেলা প্রশাসন কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
জানা গেছে,তিস্তায় শ্যলো ইঞ্জিন চালিত নৌকায় লোহার তৈরি যন্ত্র দিয়ে নদীর তলদেশে গভীর গর্ত করে পাথর উত্তোলন করছে এলাকার একাধিক প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় শ্রমিকরা । তিস্তা ব্যারেজের আশপাশ, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার , চরখড়িবাড়ি, বাইশপুকুর, কালিগঞ্জ, ভেন্ডাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় পাথর উত্তোলনে প্রায় ১৫ টি প্রভাবশালী চক্র । তবে চক্রটির এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে ও নিরুৎসাহী করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করে নৌকা ও শ্যালো মেশিন ভাঙচুর , বালু পাথর উত্তোলনের যন্ত্রাংশ জব্দ এবং মোটা অংকের টাকা জরিমান করা হয়। তার পরেও চক্রটির রাষ্ট্রবিরোধী এ অবৈধ কার্যক্রম পরিচানা অব্যাহত রাখে। এই চক্রটির নেতারা পাথর উত্তোলনের শ্রমিকদের অনেকটাই জিম্মি করে তিস্তা নদী হতে পাথর উত্তোলনে বাধ্য করে । শ্রমিকদের উত্তোলকৃত পাথর প্রতি সে: ৪০ থেকে ৫০ টাকায় কিনে ট্রলিতে করে নিয়ে গয়াবাড়ি ও খালিশা চাপানী ইউনিয়ন সহ শুটিবাড়ী বাজার সংলগ্ন এলাকার পাকা রাস্তার ধারে ফাঁকা জায়গায় স্তুুপ করে রাখে। পরবর্তীতে সেখান থেকে সেই পাথর গুলি প্রতি সেফটি ১২০-১৫০ টাকা দরে পাথর ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে মোটা অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছেন অবৈধ পাথর উত্তোলন কারী চক্রের নেতারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরানুজ্জামান , সম্প্রতি তিস্তা হতে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থান নীতি গ্রহণ করেন। তিনি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পাথর ও অবৈধ পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত উপকরণ ও যন্ত্রাংশ জব্দ করেন এবং নদীতে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের সময় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ১৩ টি নৌকা বিনষ্ট করে দেন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও বাজার জাত করণের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃঢ় অবস্থানে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন । সরকারের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলমান অভিযানের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী অবৈধ পাথর চক্রের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরানুজ্জামান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রওশন কবির। এ সময় সার্বিক সহযোগিতা করেন ডিমলা থানা পুলিশের একটি দল এবং টেপাখড়িবাড়ি ইউ,পি চেয়ারম্যান মো, রবিউল ইসলাম শাহীন । অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন ও বাজার জাত বন্ধে এ অভিযানে শুটি বাড়ি বাজারের পূর্ব পার্শ্বে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারী চক্রের গডফাদার জাহাঙ্গীর আলমের চারটি পাথর ভাঙার যন্ত্র (মেশিন) ও প্রায় ৮ হাজার ঘনফুট (সেফটি) পাথর জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মেশিন ও পাথরগুলি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মসুদ ও গ্রাম্য পুলিশ মোশাররফ হোসেনের জিম্মায় রাখা হয়।
জব্দকৃত পাথরগুলির ঐ দিনেই (৩০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাত ১২ টার দিকে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারী চক্রের গডফাদার ও গয়াবাড়ি গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও জুয়েল খান মৃত আকবরের ছেলে রজব আলী এবং মৃত মোসাদ্দেক আলীর ছেলে মো,জাফর আলী ও আব্দুর রহমান ৪ টি ট্রাক্টরে করে অধিকাংশ পাথর লুটতরাজ করে নিয়ে যায়।
গ্রাম্য পুলিশ মশিয়ার রহমান বাধা দিলে তাকে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখানো হলে তিনি পাথর নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মাসুদকে জানালে তিনি ঘটনার বিষয়টি রাত দুইটার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। জব্দকৃত পাথর লুট করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সংবাদ পেয়ে ইউএনও ঘটনার রাতেই ডিমলা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই মো, আবুল কালাম আজাদ কে ঘটানা স্থানে পাঠালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পাথর লুট কারীরা পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে গয়া বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মাসুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি ঘটনার রাত সাড়ে ১২ টার সময় আমার চৌকিদার মোশাররফ হোসেনের মোবাইল ফোনে ঘটনায় বিষয় জানতে পেরে ঘটনার স্থলে গিয়ে পাথর লুট করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণিক আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে ঘটনাটি অবহিত করি।
ডিমলা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই মো, আবুল কালাম আজাদ জানান,ইউএনও স্যারের মোবাইল ফোন পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেলে আমার উপস্থিত টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যান।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো, ইমরানুজ্জামান, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দকৃত পাথর লুণ্ঠন কারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ডিমলায় জব্দকৃত পাথর লুটপাট

আপডেট সময় :

নীলফামারীর ডিমলায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দকৃত সরকারী পাথরের স্তুপ গভীর রাতে তিস্তা নদী হতে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তরন কারী সিন্ডিকেটের গডফাদার কর্তৃক লুটতরাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি সম্পদ লুন্ঠনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। লুট হয়ে যাওয়া পাথর উদ্ধার সহ ঘটনায় জড়িত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি সচেতন মহলের। নয়তো তিস্তা নদী হতে অবৈধ পাথর উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধে সরকারের নির্দেশিত আইন প্রয়োগে বিঘ্নিত ঘটে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে নিশ্চিত।
দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকায় তিস্তা নদীত পাথর উত্তোলনের একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে উপজেলা প্রশাসন কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
জানা গেছে,তিস্তায় শ্যলো ইঞ্জিন চালিত নৌকায় লোহার তৈরি যন্ত্র দিয়ে নদীর তলদেশে গভীর গর্ত করে পাথর উত্তোলন করছে এলাকার একাধিক প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় শ্রমিকরা । তিস্তা ব্যারেজের আশপাশ, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার , চরখড়িবাড়ি, বাইশপুকুর, কালিগঞ্জ, ভেন্ডাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় পাথর উত্তোলনে প্রায় ১৫ টি প্রভাবশালী চক্র । তবে চক্রটির এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে ও নিরুৎসাহী করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করে নৌকা ও শ্যালো মেশিন ভাঙচুর , বালু পাথর উত্তোলনের যন্ত্রাংশ জব্দ এবং মোটা অংকের টাকা জরিমান করা হয়। তার পরেও চক্রটির রাষ্ট্রবিরোধী এ অবৈধ কার্যক্রম পরিচানা অব্যাহত রাখে। এই চক্রটির নেতারা পাথর উত্তোলনের শ্রমিকদের অনেকটাই জিম্মি করে তিস্তা নদী হতে পাথর উত্তোলনে বাধ্য করে । শ্রমিকদের উত্তোলকৃত পাথর প্রতি সে: ৪০ থেকে ৫০ টাকায় কিনে ট্রলিতে করে নিয়ে গয়াবাড়ি ও খালিশা চাপানী ইউনিয়ন সহ শুটিবাড়ী বাজার সংলগ্ন এলাকার পাকা রাস্তার ধারে ফাঁকা জায়গায় স্তুুপ করে রাখে। পরবর্তীতে সেখান থেকে সেই পাথর গুলি প্রতি সেফটি ১২০-১৫০ টাকা দরে পাথর ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে মোটা অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছেন অবৈধ পাথর উত্তোলন কারী চক্রের নেতারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরানুজ্জামান , সম্প্রতি তিস্তা হতে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থান নীতি গ্রহণ করেন। তিনি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পাথর ও অবৈধ পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত উপকরণ ও যন্ত্রাংশ জব্দ করেন এবং নদীতে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের সময় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ১৩ টি নৌকা বিনষ্ট করে দেন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও বাজার জাত করণের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃঢ় অবস্থানে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন । সরকারের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলমান অভিযানের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী অবৈধ পাথর চক্রের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরানুজ্জামান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রওশন কবির। এ সময় সার্বিক সহযোগিতা করেন ডিমলা থানা পুলিশের একটি দল এবং টেপাখড়িবাড়ি ইউ,পি চেয়ারম্যান মো, রবিউল ইসলাম শাহীন । অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন ও বাজার জাত বন্ধে এ অভিযানে শুটি বাড়ি বাজারের পূর্ব পার্শ্বে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারী চক্রের গডফাদার জাহাঙ্গীর আলমের চারটি পাথর ভাঙার যন্ত্র (মেশিন) ও প্রায় ৮ হাজার ঘনফুট (সেফটি) পাথর জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মেশিন ও পাথরগুলি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মসুদ ও গ্রাম্য পুলিশ মোশাররফ হোসেনের জিম্মায় রাখা হয়।
জব্দকৃত পাথরগুলির ঐ দিনেই (৩০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাত ১২ টার দিকে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারী চক্রের গডফাদার ও গয়াবাড়ি গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও জুয়েল খান মৃত আকবরের ছেলে রজব আলী এবং মৃত মোসাদ্দেক আলীর ছেলে মো,জাফর আলী ও আব্দুর রহমান ৪ টি ট্রাক্টরে করে অধিকাংশ পাথর লুটতরাজ করে নিয়ে যায়।
গ্রাম্য পুলিশ মশিয়ার রহমান বাধা দিলে তাকে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখানো হলে তিনি পাথর নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মাসুদকে জানালে তিনি ঘটনার বিষয়টি রাত দুইটার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। জব্দকৃত পাথর লুট করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সংবাদ পেয়ে ইউএনও ঘটনার রাতেই ডিমলা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই মো, আবুল কালাম আজাদ কে ঘটানা স্থানে পাঠালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পাথর লুট কারীরা পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে গয়া বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মাসুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি ঘটনার রাত সাড়ে ১২ টার সময় আমার চৌকিদার মোশাররফ হোসেনের মোবাইল ফোনে ঘটনায় বিষয় জানতে পেরে ঘটনার স্থলে গিয়ে পাথর লুট করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণিক আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে ঘটনাটি অবহিত করি।
ডিমলা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই মো, আবুল কালাম আজাদ জানান,ইউএনও স্যারের মোবাইল ফোন পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেলে আমার উপস্থিত টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যান।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো, ইমরানুজ্জামান, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দকৃত পাথর লুণ্ঠন কারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।