ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বাদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা কলঙ্কমুক্ত করার আহ্বান Logo আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মধ্যে পালটা-পালটি অভিযোগ Logo রাজবাড়ীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদসহ  ৫ ডাকাত  সদস্য গ্রেফতার Logo কেশবপুরে মাছের ঘেরে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন Logo টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি Logo ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে সুফলভোগী খামারিদের মাঝে ছাগল , মুরগি সহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ  Logo নালিতাবাড়ীতে র‍্যাবের অভিযানে মদ সহ নাছিরকে গ্রেফতার Logo ফুলপুরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ২ নেতাকে গণধোলাই দিল ছাত্রজনতা Logo গোমস্তাপুর উপজেলায় কুরবানির চাহিদার তুলনায় গবাদি পশুর সংখ্যা বেশি Logo চাঁদপুরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ৮ কেজি গাঁজা জব্দ 

অভিজ্ঞদের রেখে কী লাভ , প্রয়োজনে নতুনদের বসাবো

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:০৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ২১৪ বার পড়া হয়েছে

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রেখেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘এখনও আপনাদের (প্রশাসন) অসহযোগিতার কারণে যে স্থবিরতা আছে, এটার জন্য গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত আমাদের সর্বশেষ ক্যাবিনেট মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের হয়তো অনেক কঠিন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। সিস্টেম ভাঙার প্রয়োজন পড়লে আমরা সিস্টেম ভাঙবো। প্রয়োজনে নতুন নিয়োগ নিয়ে এই জায়গাগুলোতে নতুন লোকদের বসাবো।’

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ে কর্মকর্তাদের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। ট্রাস্কফোর্স বা ভোক্তা অধিকার আপনারা কয়টা অভিযান পরিচালনা করেছেন, কী পরিমাণ কাজ করেছেন সে বিষয়ে আমি কিছুই পাইনি। আমাকে বাণিজ্য সচিব তিন দিনের টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলেন। আমি সেই প্রতিবেদেন একদিন চট্টগ্রামের নাম পেয়েছি, বাকি দুই দিন আপনাদের নামই নেই। ৪০-৪৫টা জেলার মধ্যে টাস্কফোর্সের অভিযান করেছে কিন্তু চট্টগ্রামে তিন দিনের মধ্যে দুই দিনই কোনও অভিযানই হয়নি। আমার মনে হয় এই জায়গায় আপনাদের সদিচ্ছার ঘাটতি আছে কিংবা সরকারের প্রতি অসহযোগিতার একটা ব্যাপার আছে।’

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভাঙতে কঠোর হতে হবে। প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা থাকার পরও যদি আপনারা করতে না পারেন তাহলে নতুনদের আমরা নিয়ে আসি। আপনাদের রেখে আমরা কী করবো। দ্রব্যমূল্য নিয়ে আপনারা বলছেন ভোক্তা অধিকারের আইন কঠোর না, কিন্তু আমাদের তো বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকের বিধান আছে। তাহলে সিন্ডিকেটে যারা আছে তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’

এর আগে, উপদেষ্টা চট্টগ্রাম জহুর আহাম্মদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও এম এ আজিজ স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে সকাল ৯টায় সাগরিকায় জহুর আহাম্মদ চৌধুরী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গিয়ে তিনি স্টেডিয়াম গ্রাউন্ড, গ্যালারি ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তিনি কাজীর দেউড়ি এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এসে বিভিন্ন অবকাঠামো ঘুরে দেখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অভিজ্ঞদের রেখে কী লাভ , প্রয়োজনে নতুনদের বসাবো

আপডেট সময় : ০৬:০৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

 

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘এখনও আপনাদের (প্রশাসন) অসহযোগিতার কারণে যে স্থবিরতা আছে, এটার জন্য গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত আমাদের সর্বশেষ ক্যাবিনেট মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের হয়তো অনেক কঠিন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। সিস্টেম ভাঙার প্রয়োজন পড়লে আমরা সিস্টেম ভাঙবো। প্রয়োজনে নতুন নিয়োগ নিয়ে এই জায়গাগুলোতে নতুন লোকদের বসাবো।’

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ে কর্মকর্তাদের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। ট্রাস্কফোর্স বা ভোক্তা অধিকার আপনারা কয়টা অভিযান পরিচালনা করেছেন, কী পরিমাণ কাজ করেছেন সে বিষয়ে আমি কিছুই পাইনি। আমাকে বাণিজ্য সচিব তিন দিনের টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলেন। আমি সেই প্রতিবেদেন একদিন চট্টগ্রামের নাম পেয়েছি, বাকি দুই দিন আপনাদের নামই নেই। ৪০-৪৫টা জেলার মধ্যে টাস্কফোর্সের অভিযান করেছে কিন্তু চট্টগ্রামে তিন দিনের মধ্যে দুই দিনই কোনও অভিযানই হয়নি। আমার মনে হয় এই জায়গায় আপনাদের সদিচ্ছার ঘাটতি আছে কিংবা সরকারের প্রতি অসহযোগিতার একটা ব্যাপার আছে।’

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভাঙতে কঠোর হতে হবে। প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা থাকার পরও যদি আপনারা করতে না পারেন তাহলে নতুনদের আমরা নিয়ে আসি। আপনাদের রেখে আমরা কী করবো। দ্রব্যমূল্য নিয়ে আপনারা বলছেন ভোক্তা অধিকারের আইন কঠোর না, কিন্তু আমাদের তো বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকের বিধান আছে। তাহলে সিন্ডিকেটে যারা আছে তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’

এর আগে, উপদেষ্টা চট্টগ্রাম জহুর আহাম্মদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও এম এ আজিজ স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে সকাল ৯টায় সাগরিকায় জহুর আহাম্মদ চৌধুরী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গিয়ে তিনি স্টেডিয়াম গ্রাউন্ড, গ্যালারি ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তিনি কাজীর দেউড়ি এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এসে বিভিন্ন অবকাঠামো ঘুরে দেখেন।