ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

খুলনায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৯ গ্রাম প্লাবিত, লাখো পানি বন্দিমানুষ

পাইকগাছা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:২৫:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪ ১০৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি : সংগৃহীত

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

খুলনার পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে ১৯ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তাতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ। পাইকগাছার কালিনগর রেখামারি বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৩টি গ্রাম এবং দাকোপের পানখালীর খলিসায় বাঁধ ভেঙে ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এর ফলে চিংড়িঘের, রোপা আমন ধান ও বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও পাইকগাছা ও দাকোপের বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে আটকানোর অনেক চেষ্টা করা হয়। তবে সেই চেষ্টা সফল হয়নি। জোয়ারের পানির চাপ অতিমাত্রায় রয়েছে। এ কারণে বাঁশের খুঁটি দিয়েও মাটি আটকানো যাচ্ছে না।

পাইকগাছার বেড়িবাঁধের একটি অংশে ফাটল ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে চোখের সামনেই তা ভেঙে যায়। এরপর এলাকার ৫টি ওয়ার্ডের মসজিদ-মন্দিরের মাইক দিয়ে এ খবর প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয় লোকজন নিয়ে বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা করা হয়। যা সফল হয়নি।

জানা যায়, কালীনগর গ্রামের পাশেই রয়েছে ভদ্রা নদী। দুপুরের দিকে সেখানে পাউবোর ২২ নম্বর পোল্ডারের উপকূল রক্ষার বেড়িবাঁধের প্রায় ৯০ ফুটের মতো অংশ ভেঙে যায়। এ সময় ওই পোল্ডারের ভেতরে থাকা ১৩টি গ্রামের মধ্যে পানি প্রবেশ শুরু করে। প্লাবিত গ্রামগুলো হলো, কালীনগর, দারুল মল্লিক, গোপী পাগলা, তেলিখালী, সৈয়দখালী, খেজুরতলা, সেনের বেড়, হাটবাড়ি, ফুলবাড়ী, বাগীরদানা, দুর্গাপুর, হরিণখোলা ও নোয়াই।

অপর দিকে দাকোপের খলিসা এলাকা কাজীবাছা নদীর তীরে। এ স্থানটিতে ৫০-৬০ হাত ভেঙেছে। ভাঙন বাড়ছে জোয়ারের চাপের কারণে। ফলে প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলো হচ্ছে খলিসা, পানখালী, আনন্দনগর, ছোট চালনা, মৌখালী ও হোগলাবুনিয়া।

এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, ২২ নম্বর পোল্ডারের আয়তন প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর। ভদ্রা নদীর ৩০ মিটার ভেঙেছে। পানি আটকানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় ২০০ বাঁশ এবং দুটি মাটি কাটার যন্ত্র (ভেকু) দিয়ে কাজ চলমান আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

খুলনায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৯ গ্রাম প্লাবিত, লাখো পানি বন্দিমানুষ

আপডেট সময় : ০৯:২৫:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪

 

খুলনার পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে ১৯ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তাতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ। পাইকগাছার কালিনগর রেখামারি বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৩টি গ্রাম এবং দাকোপের পানখালীর খলিসায় বাঁধ ভেঙে ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এর ফলে চিংড়িঘের, রোপা আমন ধান ও বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও পাইকগাছা ও দাকোপের বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে আটকানোর অনেক চেষ্টা করা হয়। তবে সেই চেষ্টা সফল হয়নি। জোয়ারের পানির চাপ অতিমাত্রায় রয়েছে। এ কারণে বাঁশের খুঁটি দিয়েও মাটি আটকানো যাচ্ছে না।

পাইকগাছার বেড়িবাঁধের একটি অংশে ফাটল ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে চোখের সামনেই তা ভেঙে যায়। এরপর এলাকার ৫টি ওয়ার্ডের মসজিদ-মন্দিরের মাইক দিয়ে এ খবর প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয় লোকজন নিয়ে বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা করা হয়। যা সফল হয়নি।

জানা যায়, কালীনগর গ্রামের পাশেই রয়েছে ভদ্রা নদী। দুপুরের দিকে সেখানে পাউবোর ২২ নম্বর পোল্ডারের উপকূল রক্ষার বেড়িবাঁধের প্রায় ৯০ ফুটের মতো অংশ ভেঙে যায়। এ সময় ওই পোল্ডারের ভেতরে থাকা ১৩টি গ্রামের মধ্যে পানি প্রবেশ শুরু করে। প্লাবিত গ্রামগুলো হলো, কালীনগর, দারুল মল্লিক, গোপী পাগলা, তেলিখালী, সৈয়দখালী, খেজুরতলা, সেনের বেড়, হাটবাড়ি, ফুলবাড়ী, বাগীরদানা, দুর্গাপুর, হরিণখোলা ও নোয়াই।

অপর দিকে দাকোপের খলিসা এলাকা কাজীবাছা নদীর তীরে। এ স্থানটিতে ৫০-৬০ হাত ভেঙেছে। ভাঙন বাড়ছে জোয়ারের চাপের কারণে। ফলে প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলো হচ্ছে খলিসা, পানখালী, আনন্দনগর, ছোট চালনা, মৌখালী ও হোগলাবুনিয়া।

এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, ২২ নম্বর পোল্ডারের আয়তন প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর। ভদ্রা নদীর ৩০ মিটার ভেঙেছে। পানি আটকানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় ২০০ বাঁশ এবং দুটি মাটি কাটার যন্ত্র (ভেকু) দিয়ে কাজ চলমান আছে।