জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ সমন্বয়কের পদত্যাগ
- আপডেট সময় : ০৯:০১:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে সরকারি দলের মতো আচরণ ও গণ–অভ্যুত্থানের স্পিরিট–বিরুদ্ধ কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ সমন্বয়ক ও ৪ সহসমন্বয়ক পদত্যাগ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কেরা ওই পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
পদত্যাগ করা সমন্বয়কেরা হলেন আবদুর রশিদ, রুদ্র মুহাম্মদ সফিউল্লাহ, হাসিব জামান, জাহিদুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, ফাহমিদা ফাইজা, রোকাইয়া জান্নাত, মিশু খাতুন, রাফিদ হাসান, হাসানুর রহমান, আব্দুল হাই, নাসিম আল তারিক ও ঐন্দ্রিলা মজুমদার। তাঁদের মধ্যে রশিদ কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করেন।
পদত্যাগ করা সহসমন্বয়কেরা হলেন জিয়া উদ্দিন, তানজিম আহমেদ, জাহিদুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবদুর রশিদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন পরবর্তী সময় ৯ দফার ওপর ভিত্তি করে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে ফ্যাসিবাদের পতনের মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। তবে ৯ দফায় অন্তর্ভুক্ত দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের দাবিগুলোতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একপ্রকার নিশ্চুপ রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠনের মতো ভূমিকা পালন করছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশের সর্বস্তরের আন্দোলনকারীদের একই ব্যানারে অন্তর্ভুক্ত করতে ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে আমরা মনে করি, এই ব্যানার এখনো বজায় থাকা আন্দোলনে সর্ব পেশার, সর্বস্তরের ও সর্ব দলের মানুষের অংশগ্রহণের ইতিহাসকে ম্লান করে দিচ্ছে। তাই এই ব্যানার যত দ্রুত সম্ভব বিলুপ্ত করে দিতে হবে।’
আবদুর রশিদ বলেন, ‘আমরা মনে করি, গত ৫ আগস্টে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতা সর্বস্তরের, সর্ব পেশার ও সর্ব মতের। কেউ আন্দোলনের একক কৃতিত্বধারী নন। একই সঙ্গে সহস্রাধিক শহীদ, আহত ব্যক্তিদের রক্ত ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিসর্জনের মাধ্যমে অর্জিত এই নতুন বাংলাদেশ শুধু একটি গোষ্ঠীর নয়; বরং সবার। গণমানুষের মেহনত, ঘাম ও রক্তের ফসল এই দ্বিতীয় স্বাধীনতাকে সমুন্নত করতে এবং এর স্পিরিটকে লালন করতে যাঁর যাঁর জায়গা থেকে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’